সিরাজগঞ্জের বেলকুচির রাজাপুর ইউনিয়নের সাহাপুর গ্রাম থেকে জুলেখা খাতুন নামে অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত জুলেখা ওই গ্রামের ইসমাইল হোসেনের স্ত্রী ও বেলকুচি সদর ইউনিয়নের রানীপুরা গ্রামের জুলহাস শেখের মেয়ে।
পুলিশ জানায়, শনিবার (০৮জুন) দুপুরে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রায় তিন বছর আগে সাহাপুর গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে ইসমাইলের সঙ্গে জুলেখার বিয়ে হয়। স্বামী ইসমাইল ঢাকায় শ্রমিকের কাজ করেন। অন্তঃসত্ত্বা জুলেখা বেশ কিছুদিন ধরেই বাবার বাড়িতে ছিলেন। শুক্রবার স্বামী ঢাকা থেকে বাড়িতে এলে শাশুড়ি ও ননদ গিয়ে জুলেখাকে নিতে আসেন।
শনিবার সকাল থেকেই ওই বাড়ির কোনো লোকজন ছিল না। এক পর্যায়ে প্রতিবেশিরা জুলেখার ঘরের দরজা খোলা দেখতে পেয়ে ঘরে ঢুকে তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখে পুলিশে খবর দেয়।
বেলকুচি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল আলীম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহটি যেভাবে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে তাতে এটি আত্মহত্যা কি না তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। তবে তার শরীরে কোথাও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। মরদেহটি ময়নাতদন্তের পর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান তিনি।
এদিকে, নিহতের বাবা জুলহাস আলী অভিযোগ করে বলেন, তার মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে পালিয়ে গেছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। ইসমাইল আগেও তিনটি বিয়ে করেছেন। তার এক স্ত্রী আগুনে পুড়ে মারা গেছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।