লকডাউনে শিক্ষার্থীদের সময়কে কাজে লাগানোর কৌশল

মোঃ কামরুজ্জামান
শুক্রবার, ২৪ এপ্রিল ২০২০ | ৬:৩৩ অপরাহ্ণ | 263 বার পঠিত

সময় অত্যন্ত মূল্যবান। সময়কে সঠিকভাবে ব্যবহার করলে আপনার জীবন হতে পারে অধিক স্বাচ্ছন্দের। করোনা পরিস্থিতির কারণে দেশে এখন সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। শিক্ষার্থীরা যে যার মত নিজ নিজ বাসায় অবস্থান করছে। এমতাবস্থায় আমরা কিভাবে আমাদের পড়াশুনা সচল রাখতে পারি- সে বিষয়েই আজকে আমার লেখা। কয়েকটি উপায়ে আমরা আমাদের পড়াশুনা সচল রাখতে পারি।

১. ইউটিউব ভিডিও দেখে:

বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে অনলাইন অনেক বড় একটা স্থান দখল করে আছে তার মধ্যে ইউটিউবে ভিডিও শেয়ারিং অন্যতম জনপ্রিয় মাধ্যম। এখানে যেমনি ভালো ভিডিও আছে ঠিক তেমনি অনেক খারাপ কন্টেন্ট এর ভিডিও আছে। আমরা আমাদের নিজের পড়াশুনা ঠিক রাখার জন্য এখান থেকে কিছু বাছাই করবো। অতঃপর সেগুলো দেখে আমরা অনুশীলন করতে পারবো। এখন একটা প্রশ্ন আসতে পারে মাথায় কিভাবে আমার প্রয়োজনীয় ভিডিওটা পাবো? তাহলে শুনুন আপনি যে টপিকস নিয়ে পড়তে চাচ্ছেন সে টপিকস নিয়ে ইউটিউব এর সার্চ অপশনে লিখে সার্চ করুন। অনেক গুলো ভিডিও পাবেন সেখান থেকে যেটা আপনার কাছে সহজ সাবলীল মনে হবে সেটাই দেখুন আর চর্চা করুন।

২. ইন্টারনেটে বই পড়ে:

বর্তমান সময়ে গুগল ছাড়া পৃথিবী অচল এমন একটা পরিস্থিতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন সাধারণ শিক্ষার্থীরা গুগলে বিভিন্ন লেখকের বইয়ের নাম সার্চ করে বা পিডিএফ সহকারে অনেক বই পেয়ে যায়। সেখান থেকে প্রয়োজনীয় বই ডাউনলোড করতে পারেন। আবার কিছু কিছু হয়তো পে করতে বলবে সেগুলো ডলার বা টাকা নিয়ে পে করে ডাউনলোড করে নিতে পারেন।

*** বাংলা সাহিত্যের সেরা ১০০ টি বইয়ের তালিকা:

১। হাজার বছর ধরে- জহির রায়হান
২। চোখের বালি- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৩। চিলেকোঠার সেপাই – আখতারুজ্জামান ইলিয়াস
৪। দূরবীন – শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
৫। পথের পাঁচালি- বিভূতিভূষণ
৬। নিষিদ্ধ লোবান- সৈয়দ সামছুল হক
৭।ট্রিলজি ( সেই সময়, প্রথম আলো, পূর্ব পশ্চিম) – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়।
৮। সূর্য দীঘল বাড়ি – আবু ইসহাক
৯। গঙ্গা – সমরেশ বসু
১০। জীবন আমার বোন- মাহমুদুল হক
১১। মাইকেল মধ্যসুদন দত্ত – কৃষ্ণকুমারী
১২। সাতকাহন – সমরেশ মজুমদার
১৩। নীল দর্পন – দীনবন্ধু মিত্র
১৪। কড়ি দিয়ে কিনলাম – বিমল মিত্র
১৫। রক্তাক্ত প্রান্তর – মুনীর চৌধুরী
১৬। দুর্গেশ নন্দিনী – বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
১৭। সুবচন নির্বাসনে – আবদুল্লাহ আল মামুন
১৮। জননী — শওকত ওসমান
১৯। যে জলে আগুন জ্বলে – হেলাল হাফিজ
২০। রাজবন্দীর জবানবন্দী – কাজী নজরুল ইসলাম
২১। দেয়াল – হুমায়ূন আহমেদ
২২। গর্ভধারিণী – সমরেশ মজুমদার
২৩। লোটাকম্বল- সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়
২৪। পুতুলনাচের ইতিকথা – মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
২৫। পথের দাবি – শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
২৬। জোৎস্না ও জননীর গল্প- হুমায়ুন আহমেদ
২৭। গাভী বিত্তান্ত – আহমদ ছফা
২৮। ঝিলাম নদীর দেশ-বুলবুল সারওয়ার
২৯। দিপু নাম্বার টু – জাফর ইকবাল
৩০। অপরাজিত – বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
৩১। কবি – তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
৩২। শেষের কবিতা – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৩৩। ছাড়পত্র – সুকান্ত ভট্টাচার্য
৩৪। ন হন্যতে – মৈত্রেয়ী দেবী
৩৫। শাপমোচন – ফাল্গুনী মুখোপাধ্যায়
৩৬। নকশীকাঁথার মাঠ। – জসীমউদ্দীন
৩৭। ক্রিতদাসের হাসি -শওকত ওসমান
৩৮। বিষাদসিন্ধু – মীর মোশাররফ হোসেন
৩৯। শাম্ব – সমরেশ বসু
৪০। লাল সালু – সৈয়দ ওয়ালিউল্লাহ
৪১। রাইফেল রোটি আওরাত-আনোয়ার পাশা
৪২। হাঙর নদী গ্রেনেড – সেলিনা হোসেন
৪৩। চাঁদের অমাবস্যা – সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ
৪৪। মৃত্যুক্ষুধা – কাজী নজরুল ইসলাম
৪৫। সুলতানার স্বপ্ন – বেগম রোকেয়া
৪৬। দেশে বিদেশে- সৈয়দ মুজতবা আলী
৪৭। মাধুকরী – বুদ্ধদেব গুহ
৪৮। প্রমথ চৌধুরী – তেল নুন লকড়ি
৪৯। ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইল -হুমায়ূন আজাদ
৫০। বরফ গলা নদী – জহির রায়হান
৫১। চিতা বহ্নিমান – ফাল্গুনী মুখোপাধ্যায়
৫২। মা- আনিসুল হক
৫৩। লাল নীল দীপাবলি – হুমায়ূন আজাদ
৫৪। কাছের মানুষ – সুচিত্রা ভট্টাচার্য
৫৫। মেমসাহেব – নিমাই ভট্টাচার্য
৫৬। সঞ্চিতা – কাজী নজরুল ইসলাম
৫৭। কাঁদো নদী কাঁদো -ওলালিউল্লাহ
৫৮। সবিনয় নিবেদন – বুদ্ধদেব গুহ
৫৯। তেইশ নাম্বার তৈলচিত্র- আলাউদ্দিন আল আজাদ
৬০। সারেং বউ – শহিদুল্লাহ কায়সার
৬১। সূর্য তুমি সাথি – আহমদ ছফা
৬২। সাত সাগরের মাঝি – ফররুখ আহমদ
৬৩। পদ্মা নদীর মাঝি – মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
৬৪। শ্রীকান্ত – শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
৬৫। খোয়াবনামা – আখতারুজ্জামান ইলিয়াস
৬৬। প্রথম গান দ্বিতীয় মৃত্যুর আগে – শামসুর রাহমান
৬৭। বনলতা সেন – জীবনানন্দ দাশ
৬৮। সোনালি কাবিন – আল মাহমুদ
৬৯। রাখালি – জসিম উদ্দিন
৭০। মেঘনাদবধ কাব্য – মাইকেল মধুসূদন দত্ত
৭১। দৃষ্টিপাত-যাযাবর
৭২। জাহান্নাম হইতে বিদায় – শওকত ওসমান
৭৩। তিতাস একটি নদীর নাম – অদ্বৈত মল্লবর্মন
৭৪। নন্দিত নরকে – হুমায়ূন আহমেদ
৭৫। আমি বিরাঙ্গনা বলছি – ডঃ নীলিমা ইব্রাহীম
৭৬। জমিদার দর্পন – মীর মশাররফ হোসেন
৭৭। সংশপ্তক – শহিদুল্লাহ কায়সার
৭৮। ফেলুদা সমগ্র -সত্যজিত রায়
৭৯। কলকাতার কাছেই – গজেন্দ্রকুমার মিত্র
৮০। হাজার চুরাশির মা – মহাশ্বেতা দেবী
৮১। পল্লীসমাজ – শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
৮২। রূপমঞ্জরী- নারায়ণ সান্যাল
৮৩। আগুন পাখি- হাসান আজিজুল হক
৮৪।সাহেব বিবি গোলাম – বিমল মিত্র
৮৫। গীতাঞ্জলি- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৮৬। অগ্নিবীণা – কাজী নজরুল ইসলাম
৮৭। ঝরা পালক – জীবনানন্দ দাশ
৮৮। মতিচুর- বেগম রোকেয়া
৮৯। আলালের ঘরের দুলাল – প্যারিচাঁদ মিত্র
৯০। শ্রীকান্ত- শরৎচন্দ্র চট্টপাধ্যায়
৯১। বিলেতে সাড়ে সাতশ দিন- মুহাম্মদ আব্দুল হাই
৯২। আবদুল্লাহ – কাজী ইমদাদুল হক
৯৩। আরন্যক – বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
৯৪। একাত্তরের দিনগুলি –জাহানারা ইমাম
৯৫। হাঁসুলি বাঁকের উপকথা – তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়-
৯৬। প্রদোষে প্রাকৃতজন – শওকত আলী
৯৭। ক্রাচের কর্নেল – শাহাদুজ্জামান
৯৮। সঞ্চয়িতা – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৯৯। উপনিবেশ – নারায়ন গঙ্গোপাধ্যায়
১০০। নুরজাহান- ইমদাদুল হক মিলন

৩. ভালো মুভি দেখে:

এখন ত আমরা অনেকেই ঘরে বসেই সারাদিন অবসর সময় কাটাই। অনলাইন থেকে শিক্ষনীয় কিছু মুভি ডাউনলোড করে দেখতে পারেন। কিছু শিখতেও পারলেন সাথে সুস্থ বিনোদনও হয়ে গেলো।

৪. লেখা-লেখি:

সারাদিন বসে না থেকে ডায়েরি, কলম নিয়ে লিখতে বসে যেতে পারেন। এতে হবে কি আপনার মস্তিষ্ক সচল থাকলো এবং নতুন কিছু আবিষ্কার হলো। তাছাড়াও এসময়টাতে আপনি আপনার প্রতিটা পড়ার বিষয়ের জন্যও আলাদা নোট করতে পারেন। যা পরবর্তী সময় ক্লাস শুরু হবার পর আপনার সহায়ক হবে।

৫. সৃজনশীল কিছু করা:

আপনি যদি শখের বসে গান করা, গিটার বাজানো, ছবি আঁকা ইত্যাদি করে থাকেন তাহলে এটাই আপনার জন্য সুন্দর সময় সেগুলো চর্চা করার।

৬. শরীর চর্চা:

আপনি যদি স্বাস্থ্য সচেতন হন তাহলে আপনি এ সময়টাতে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন, সুষম খাবার খাবেন এবং ব্যায়াম করতে পারেন নিয়মিত।

৭. কম্পিউটার শিক্ষা:

এখন প্রতিটা অফিসে প্রতিটা কাজেই কম্পিউটারের চাহিদা দিন বেড়েই চলছে। এই অবসরে কম্পিউটারের বেসিক বিষয় গুলে সম্পর্কে শিখে নিতে পারেন যা ভবিষ্যতে আপনার সিভিকে করবে ভারী।

লিখেছেন -মোঃ কামরুজ্জামান,

শিক্ষার্থী, সিভিল বিভাগ, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।

আমাদের সাথে ফেসবুক পেজে কানেক্ট থাকুন: মুক্তক্যাম্পাস

মুক্ত ক্যাম্পাস/কামরুজ্জামান/জেডআর

পূর্ববর্তী নিবন্ধফার্মাসিস্ট: পর্দার আড়ালে একদল যোদ্ধাদের গল্প
পরবর্তী নিবন্ধআবারও আন্তর্জাতিক র‍্যাংকিং এ জায়গা করে নিলো খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়