পাসপোর্ট ছাড়া বিদেশ গমন, ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা ক্লোজড

মুক্ত ক্যাম্পাস প্রতিবেদক
শনিবার, ০৮ জুন ২০১৯ | ১:৩৪ অপরাহ্ণ | 333 বার পঠিত
পাসপোর্ট ছাড়া বিদেশ গমন

পাসপোর্ট ছাড়া বিদেশ গমন : বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাইলট ফজল মাহমুদ পাসপোর্ট ছাড়াই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আনতে কাতারে যাওয়ার ঘটনায় ইমিগ্রেশনের এক কর্মকর্তাকে ক্লোজড করা হয়েছে। এ ছাড়া বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশের এক কর্মকর্তাকেও ক্লোজড করা হয়েছে। এর আগে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে একটি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

বিদেশ সফর থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে বিমানের বোয়িং ৭৮৭ উড়োজাহাজ নিয়ে গত বুধবার পাসপোর্ট ছাড়াই কাতার যান ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদ। পাসপোর্ট ছাড়া বিদেশ ভ্রমণে যাওয়ায় দোহা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদকে আটকে দেয় কাতার ইমিগ্রেশন। বিষয়টি গণমাধ্যমে আসার পর ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃাষ্ট হয়।

ইমিগ্রেশন পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার পেছনে কার অবহেলা ছিল তা জানতে ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরায় ধারণকৃত ফুটেজ পর্যালোচনা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে এই ঘটনায় চার থেকে পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তবে এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন পার হওয়ার সময় পাইলট ফজল মাহমুদ সংশ্লিষ্ট ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাকে সহযোগিতা করেননি। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানের পাইলট হওয়ায় ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাও তার বিষয়ে ছিলেন নমনীয়।

পাসপোর্ট ছাড়া পাইলটের বিদেশ গমন, ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা ক্লোজড

ইমিগ্রেশন পুলিশের বিশেষ শাখার পুলিশ সুপার (ইমিগ্রেশন) মোহাম্মদ শাহরিয়ার সাংবাদিকদের জানান, ঘটনার পরপরই তারা দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তদন্তের জন্য সব কিছুই আমলে নিয়েছিলেন তারা।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, গতকাল বিকেলে ইমিগ্রেশন পুলিশের এক কর্মকর্তাকে ক্লোজ করা হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, পাসপোর্ট ছাড়াই বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পাইলট ফজল মাহমুদের বিদেশযাত্রার ঘটনায় কার দায় বেশি সেটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তবে এটিকে একটি ‘ভুল’ হিসেবেই দেখা হচ্ছে। এর পরও দায়িত্বে অবহেলা কারা করেছেন তা চিহ্নিত করা হচ্ছে, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা আর না ঘটে।

অন্যদিকে পাইলট ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদ গণমাধ্যমকে জানান, ঈদের দিন বিকেলে তারা রওনা হন। ঈদের দিন হওয়ায় সবাই ফেস্টিভ মুডেই ছিলেন। ইমিগ্রেশনে তার পাসপোর্ট দেখতে চাইলে এ ভুল আর হতো না। ধরা পড়লে তখনই পাসপোর্ট এনে ফ্লাইটে যেতে পারতেন তিনি। তিনি বলেন, ‘আসলে আমি যেমন ভুল করেছি, ইমিগ্রেশনও ভুল করেছে।’

তবে পাইলট আটকের ঘটনা ঠিক নয় বলে দাবি করেছেল বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে তারা জানায়, কিছু সংবাদমাধ্যমে দোহা ইমিগ্রেশন পুলিশ কর্তৃক বিমানের পাইলট আটক বা গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে, যা মোটেও সঠিক নয়। প্রকৃতপক্ষে সেখানে কোনো বিমান পাইলটকে আটক, গ্রেপ্তার বা আটকে দেওয়ার ঘটনা ঘটেনি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বুধবার (৫ জুন) ঢাকা-চট্টগ্রাম-দোহা রুটে বিজি ১২৫ ফ্লাইটের অপারেটিং ক্যাপ্টেন হিসেবে ফ্লাইট পরিচালনা করেন ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদ। দোহায় অবতরণ করার পর তিনি লক্ষ্য করেন, তার পাসপোর্টটি সঙ্গে নেই। এমতাবস্থায় তিনি ইমিগ্রেশনে না গিয়ে দোহা এয়ারপোর্টে বিমান স্টেশন ম্যানেজার ও ঢাকা অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। দোহা এয়ারপোর্টে ইমিগ্রেশন চেক পয়েন্টের আগে ট্রানজিট হোটেল অরিক্সে চলে যান তিনি। পরের দিন ৬ জুন (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় তার পাসপোর্ট দোহায় পাঠানো হয় এবং তিনি স্বাভাবিক নিয়মেই কোনো জটিলতা ছাড়াই ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করে দোহা নগরীতে বিমান ক্রুদের নির্ধারিত হোটেল ক্রাউন প্লাজায় চলে যান।

প্রিয় পাঠক, শিক্ষা ও ক্যারিয়ার বিষয়ক সর্বশেষ আপডেট পেতে মুক্ত ক্যাম্পাসের ফেসবুক পেজে লাইক দিন। লিঙ্ক : https://www.facebook.com/Muktocam

পূর্ববর্তী নিবন্ধদলীয় প্রধানের পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন মে
পরবর্তী নিবন্ধবাংলাদেশ একাদশে পরিবর্তন আসছে