মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশনের কড়াকড়ি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০১৯ | ৯:১৯ অপরাহ্ণ
মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশনের কড়াকড়ি

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে গত ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগ ৩ হাজার ১৫৫ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠিয়েছে। মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশনের সূত্রে জানা যায়, ভিসা পাওয়া মানেই দেশটিতে প্রবেশের অনুমতি পাওয়া নয়। আরও কড়াকড়ি আরোপ করা হচ্ছে।

মোট ৪৪ হাজার ৯৪১ জন বিদেশিকে এনটিএল-এর বিধানের অধীনে মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। এর মধ্যে রয়েছেন ইন্দোনেশিয়ার ২০ হাজার ৬৭৬ জন, ভারতের ৬ হাজার ৩৯৮ জন, চায়নার ৪ হাজার ৭৯৩ জন, বাংলাদেশের ৩ হাজার ১৫৫ জন, মিয়ানমারের ২ হাজার ৪৪৫ জন। বাকিরা অন্যান্য দেশের।

মালয়েশীয় ইমিগ্রেশনের মহাপরিচালক খায়রুল জায়মি বলেন, মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগ দেশের নিরাপত্তা এবং সার্বভৌমত্বের ক্ষেত্রে কোন ধরনের ছাড় দিতে রাজি নয়। যেসব বিদেশিকে সন্দেহ করা হবে বা দেশে প্রবেশের নিয়মগুলো সর্ম্পকে অবহিত থাকবে না বা দুর্বলতা থাকবে, তারা এ দেশে প্রবেশ করতে পারবেন না।

একজন বিদেশি দর্শনার্থীর যদি ভিসা থাকে এবং সব তথ্যও থাকে তারপরও তাকে ইমিগ্রেশনে যাচাইয়ের মধ্য দিয়ে প্রবেশ করতে হবে। বিদেশি অতিথিদের অবশ্যই দেশের নিয়ম মেনে প্রবেশ করতে হবে এবং ইমিগ্রেশন ব্যবস্থাপনার যাচাই প্রক্রিয়া স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউরের (এসওপি) মাধ্যমে যেতে হবে। সেটা না হলে এনটিএল-এর বিধানের অধীনে তাকে ফেরত পাঠানো হবে।

বিদেশি পর্যটকদের দেশে ফেরার ফিরতি বিমান টিকিট, অবস্থান করার হোটেল বুকিং, মেয়াদসহ ভিসা এবং বৈধ পাসপোর্ট এবং অর্থনৈতিক অবস্থার প্রমাণ দিতে হবে। এছাড়া কালো তালিকাভুক্ত হলে তাকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।

আরও পড়ুন

এছাড়াও মালয়েশিয়ার প্রবেশ পথগুলোতে আরও কড়াকড়ি আরোপ করা হচ্ছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এরই মধ্যে ৪৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। ২০২০ সালের প্রথম দিন থেকে আরও ক্লোজ সার্কিট টেলিভিশন বসানো হবে। এছাড়াও চুরি যাওয়া এবং হারিয়ে যাওয়া পণ্য খুঁজে পেতেও ব্যবস্থাপনা জোরদার করা হবে এবং ডাটাবেজ আপডেট করা হবে।

প্রসঙ্গত, ইন্দোনেশিয়া হয়ে মালয়েশিয়ায় মানবপাচারের কারণে এরইমধ্যে আরও নজরদারি বাড়ানোর কথা বলেছে ইন্দোনেশিয়াকে। ইন্দোনেশিয়ার বালি ও মেদান দ্বীপকে ব্যবহার করে নৌকা এবং ঢাকা থেকে বিমানে কুয়ালালামপুর হয়ে জাকার্তায় এবং সেখানে নেমে চলে যাচ্ছে সোরাবাইয়া,বালি,বাতাম এবং মেদানে। সুযোগ বুঝে পাচারের অপেক্ষায় রাখা হয় দীর্ঘদিন। এর আগেও পাচারের অপেক্ষায় রাখা বহু বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করা হয় বালি থেকে। অবৈধভাবে সাগরপথে মালয়েশিয়ায় প্রবেশের চেষ্টার সময় ২০১৮ সালের এপ্রিলে ৩০ বাংলাদেশিকে আটক করে মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন ও মেরিন পুলিশ।

কর্মকর্তারা আরও জানান, অনেক বাংলাদেশি নাগরিক অন অ্যারাইভাল ভিসার সুযোগে ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, ভানুয়াতু এবং জামাইকার মতো দেশে পাচারের শিকার হন। অন অ্যারাইভাল ভিসা প্রাপ্তির সুযোগ কাজে লাগিয়ে ইন্দোনেশিয়া হয়ে মালয়েশিয়া, ভিয়েতনামের মতো দেশে গিয়ে অন্য দেশে যাওয়ার প্রবণতাও বেড়েছে। এছাড়া, দালালের মাধ্যমে শ্রীলঙ্কা হয়ে মালদ্বীপ, কেনিয়া হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা, ল্যাটিন আমেরিকার মতো দেশগুলোতে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।

মুক্ত ক্যাম্পাস/এমআর

পূর্ববর্তী নিবন্ধজাবির শিক্ষা কার্যক্রম চালু করার লক্ষ্যে জরুরি সিন্ডিকেট সভা আগামীকাল
পরবর্তী নিবন্ধপ্রকৃতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে: গুতেরেস