অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিল-Smart Election Management App

নিজস্ব প্রতিবেদক
বৃহস্পতিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৩ | ৪:৩৫ অপরাহ্ণ

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিল করা যাবে। এজন্য স্মার্ট নির্বাচন ব্যবস্থাপনা বাংলাদেশ অ্যাপসের উদ্বোধন করেছে নিবাচন কমিশন। অনলাইনে মনোনয়ন পত্র জমা থেকে শুরু করে ভোটের ফলাফলও জানা যাবে এই অ্যাপে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন ভবনের অডিটোরিয়ামে অনলাইন মনোনয়নপত্র দাখিল পদ্ধতি এবং স্মার্ট নির্বাচন ব্যবস্থাপনা বাংলাদেশ অ্যাপসের উদ্বোধন করেছে নির্বাচন কমিশন। অনুষ্ঠানে এই অ্যাপ নিয়ে নানা তথ্য দেন নির্বাচন কমিশনাররা। বলেন, ঘরে বসেই অ্যাপের মাধ্যমে মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন প্রার্থীরা। যার ফলে এড়ানো যাবে অনাকাঙ্খিত ঘটনা।

অ্যাপের মাধ্যমে জানা যাবে মোট ভোটার, আসনের প্রার্থী, প্রার্থীদের বিস্তারিত হলফনামা, আয়কর সম্পর্কিত তথ্যসহ নির্বাচনী নানা তথ্য। নির্বাচনের দিন দুই ঘণ্টা পর পর ভোট প্রদানের হারও দেখা যাবে, জানা যাবে ফলাফল।

আরও পড়ুন : বাংলাদেশ ব্যাংক এডি লিখিত পরীক্ষার আসন বিন্যাস

অনুষ্ঠানে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আগামী নির্বাচনে সংঘাত-সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে রাখতে অ্যাপ দু’টি ভূমিকা রাখবে। এই প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে নির্বাচন নির্ভরযোগ্য ও স্বচ্ছ হবে। ভারতে এ প্রচলন থাকলেও নির্বাচন কমিশনের তৈরি অ্যাপ প্রতিবেশী দেশটির থেকেও আধুনিক বলে জানান সিইসি।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল অনলাইনে মনোনয়ন জমা পদ্ধতি ও স্মার্ট নির্বাচনি ব্যবস্থাপনা অ্যাপ প্রসঙ্গে বলেন, ‘এই পদ্ধতি শুধু আমাদের তথ্য সরবরাহই সহজ ও দ্রুত করে দেবে তা নয়, স্বচ্ছতার ক্ষেত্রেও এটি খুবই সহায়ক হবে। আমাদের একটু কষ্ট করে শিখে নিতে হবে অ্যাপের মাধ্যমে কীভাবে বিভিন্ন তথ্য আমরা অবলোকন করব।’

সিইসি বলেন, ‘অনলাইন সাবমিশনটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মনোনয়নপত্র জমা দিতে গিয়ে যে শোডাউন হয় তা আমাদের সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে। কিন্তু এটি করতে গিয়ে আচরণবিধি ভঙ্গ হতে পারে, অনেক সময় সংঘাতও হতে পারে। তাই এটাকে সহজ করা হয়েছে।’

অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিল

অনলাইনে মনোনয়নপত্র পূরণ ও দাখিল করতে হলে এই পোর্টালে প্রবেশ করে প্রার্থীকে জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর বা ভোটার নম্বর, মোবাইল নম্বর, ই-মেইল আইডি এবং নির্বাচনী এলাকার নম্বর ও নাম এন্ট্রি করে নিবন্ধন করতে হবে। নিবন্ধন সম্পন্ন হওয়ার পর ইউজার নেইম ও পাসওয়ার্ড পাওয়া যাবে। জাতীয় পরিচয়পত্রের বায়োমেট্রিক ফিচারে সংরক্ষিত মুখাবয়বের সঙ্গে প্রার্থী, প্রস্তাবকারী ও সমর্থনকারীর চেহারা শনাক্ত ( ফেসিয়াল রেকগনিশন) করতে হবে। পোর্টালে প্রবেশ করে প্রার্থীকে পর্যায়ক্রমে মনোনয়ন, ব্যক্তিগত তথ্যাদি ও হলফনামা সংক্রান্ত তথ্য এন্ট্রি করতে হবে। হলফনামা, আয়কর সংক্রান্ত কাগজপত্র, দলীয় প্রার্থীর ক্ষেত্রে দলের মনোনয়ন সংক্রান্ত প্রত্যয়নপত্রসহ ও সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র স্ক্যান করে পিডিএফ আকারে সংযুক্ত করতে হবে।

স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার এক শতাংশ ভোটারের সমর্থন সম্বলিত স্বাক্ষরযুক্ত তালিকা মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখের মধ্যে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসার বা সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কাছে সরাসরি দাখিল করতে হবে। জামানতের টাকা জমা দেওয়া যাবে পোর্টালের অনলাইন পেমেন্ট অপশন ব্যবহার করে। টাকা জমা দেওযার পর মনোনয়নপত্র দাখিল করতে হবে।

মনোনয়নপত্র দাখিলের পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রার্থীর মোবাইল ফোনে এর প্রাপ্তি স্বীকার, মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের স্থান ও তারিখ, বাছাইয়ের সিদ্ধান্ত, প্রার্থীতা প্রত্যাহার এবং প্রতীক বরাদ্দসহ সংশ্লিষ্ট তথ্যাদি পর্যায়ক্রমে এসএমএসের মাধ্যমে জানানো হবে। পোর্টালেও এসব তথ্য দেখা যাবে। প্রয়োজনে রিটার্নিং অফিসার অনলাইনে দাখিল করা মনোনয়নপত্রের সংশ্লিষ্ট কাগজপত্রের মূল কপি মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের নির্ধারিত দিনে তার কাছে সরাসরি দাখিল করতে প্রার্থীকে নির্দেশ দিতে পারবেন।

এ ছাড়া ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট অ্যাপসে ভোটারের তথ্যের পাশাপাশি ইসি কর্মকর্তাদের জন্য রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, জেলা প্রশাসক, এসপি এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের পরিচয় ও ফোন নম্বর দেওয়া থাকবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধওজন কমানোর উপায়-Weight loss tips
পরবর্তী নিবন্ধএইচএসসি রেজাল্ট ২০২৩-hsc result 2023