‘অন্তর মম বিকশিত কর’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) আওতাধীন সৃজনী বিদ্যানিকেতনে আজ শনিবার (৬ নভেম্বর) বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আয়োজন করা হয় কবিতা উৎসব-২০২১। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত, উক্ত অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সৃজনী বিদ্যানিকেতনের অধ্যক্ষ লিটন চন্দ্র সেন।
ঘড়িতে আগারোটা হতে হতেই মঞ্চে এসে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত। শুরুতেই তিনি প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার প্রশংসা করেন এবং তার প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সাংস্কৃতিক চর্চার ব্যাপারে আরও বেশি বেশি সুযোগ সুবিধা করে দেয়ার জন্য, অধ্যক্ষ লিটন চন্দ্র সেনকেও ধন্যবাদ জানান এ ধরনের উদ্যোগ নেয়ার জন্য। মূল বক্তব্যে তিনি বলেন, “আমি আশা করি ভবিষ্যতে এই সৃজনী বিদ্যানিকেতন অত্র এলাকার মধ্যে, শুধুমাত্র দুমকি, পটুয়াখালী নয়; পুরো দক্ষিণঅঞ্চলের সাংস্কৃতিক বিকাশে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।
উপস্থাপক বললেন, মানুষের মনের অক্সিজেন হলো কবিতা, সত্যিই মানুষের মনের অন্যতম খোরাক হচ্ছে কবিতা, কবিতার মাধ্যমে মানুষের মনকে আলোকিত করা যায়, মনজগতের উন্নতি করা যায় এবং মনকে আলোকিত করা যায়। আমাদের সামনে বহু উদাহরণ আছে যে একটি কবিতাই সমগ্র মানুষকে জাগ্রত করতে পারে, একত্রিত করতে পারে। আমাদের বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের বিদ্রোহী কবিতার কথা আপনারা জানেন, ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে সকলে কিভাবে উজ্জীবিত করেছিলো। ২১শে ফেব্রুয়ারীর আব্দুল গাফফার চৌধুরীর যে কবিতা, সেটাও বাঙ্গালির স্বাধিকার আদায়ের জন্য, রাষ্ট্রে ভাষা বাংলা আদায়ের জন্য এই গণ আন্দোলনে সকলকে উদ্বুদ্ধ করেছিল। বাংলাদেশের সাম্প্রতিকালের যে ঘটনাগুলো ঘটছে এগুলোর একমাত্র সমাধানের উপায় হচ্ছে শিশু কিশোরদের মনজগতের উন্নয়ন ঘটানো, অর্থাৎ তাদেরকে কবিতার মাধ্যমে, সাহিত্যের মাধ্যমে, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাদেরকে আলোকিত করতে হবে, একজন মানুষ হিসেবে যেন গড়ে উঠতে পারে এইদিকে আমাদের চেষ্টা করতে হবে।”
বক্তব্য শেষে ‘কবিতা উৎসব-২০২১’ এর শুভ উদ্বোধন করেন তিনি। এরপর শুরু হয় সাংস্কৃতিক আয়োজন, শুরুতেই কবিতা আবৃত্তি করেন সৃজনী বিদ্যানিকেতন এর মেধাবী শিক্ষার্থীবৃন্দ এরপর নানারকম মনোরম পরিবেশনা করে শিক্ষার্থীবৃন্দ। এসকল মনমুগ্ধকর পরিবেশনা উপভোগ করেন প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ। উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা যায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছোট বড় সকলের মাঝেই।