১২ সেপ্টেম্বর থেকে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু : শিক্ষামন্ত্রী

এমসি রিপোর্ট
রবিবার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ | ৫:৩০ অপরাহ্ণ | 125 বার পঠিত
সংক্রমণ ১০ শতাংশে নামলে খুলবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান : শিক্ষামন্ত্রী
ফাইল ছবি

আগামী ১২ সেপ্টম্বর থেকে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এদিন থেকে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু হবে। ৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেওয়ার প্রস্তুতি নিতে হবে। পঞ্চম শ্রেণি ও আগামী বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের নিয়মিত ক্লাস হবে। অন্যান্য শ্রেণির আপাতত সপ্তাহে একদিন করে ক্লাস হবে।

আজ রবিবার (৫ সেপ্টেম্বর) আন্তঃমন্ত্রণালয় থেকে সচিবালয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।

এর আগে ৩ সেপ্টেম্বর এক অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘স্কুল-কলেজ খোলার জন্য আমরা আগেই প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী ১২ সেপ্টেম্বরকে আমরা নির্ধারণ করেছি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুললেও অ্যাসাইনমেন্ট প্রক্রিয়া চলমান থাকবে।’

তিনি বলেন, ‘বেশিরভাগ শিক্ষকই টিকা নিয়েছেন। এছাড়া ১২ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদেরও টিকার আওতায় আনা হবে।’

এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা গ্রহণ সম্পর্কে মন্ত্রী জানান, আগের ঘোষণা অনুযায়ী পরীক্ষা হবে। অর্থাৎ নভেম্বরের মাঝামাঝি এসএসসি এবং ডিসেম্বরে এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

এর আগে, দেশে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার পক্ষে মতামত দেয় করোনা সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) রাত পৌনে ১২টায় পরামর্শক কমিটির বৈঠক শেষে এ মতামত জানানো হয়।

কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লা বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ কমে আসায় এবং টিকা প্রাপ্তি নিশ্চিত হওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে এখন কোনো বাধা নেই। তবে পরিস্থিতি বিবেচনা করে অবশ্যই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।’

গত ২ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদের অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানান, দ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা দেশের সব স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা হচ্ছে। এরইমধ্যে আমি স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। সেই ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে। শিক্ষকদের টিকাও দেওয়া হয়েছে। শিক্ষকদের পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যারা কর্মরত আছেন তাদের পরিবারের সদস্যদেরও টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসের কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এরমধ্যে কয়েকবার চেষ্টা করেও এই মহামারির কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো আর খোলা সম্ভব হয়নি। এ পর্যন্ত গত ১৭ মাসে দফায় দফায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ানো হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে নিয়মিত যেসব ফল খাবেন
পরবর্তী নিবন্ধস্কুল-কলেজ খোলার গাইডলাইন প্রকাশ