ঋতু পরিবর্তন প্রকৃতির একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। শীত মানেই যেন টাটকা সবজি, পিঠাপুলি, খেজুর রস আর নবান্নের ধুম। অন্যদিকে তেমনি শীতের সঙ্গে সঙ্গে এসে পড়ে কিছু স্বর্দিকাশির মতো অসুখ-বিসুখের নাম।
১. টনসিল:
চিকিৎসকের পরামর্শে অ্যান্টিবায়োটিক, ব্যথার জন্য ব্যথানাশক ঔষধ, অ্যালার্জির কারণে অ্যান্টিহিস্টামিন গ্রুপের ওষুধ খেতে হবে। গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে গড়গড়া করতে হবে। গলায় গরম কাপড় জড়িয়ে রাখা ভালো।
২. নিউমোনিয়া:
ডাক্তারের নির্দেশনামাতে বয়স এবং ওজন অনুসারে শ্বাসকষ্ট, বুক দেবে যাওয়া, কাশি, অ্যালার্জি হলে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ নিতে হবে।
৩. মুখে ঘা:
খাদ্যে ভিটামিন বি-টু ও আয়রনের অভাবে মুখে ঘা হয়। প্রচুর শাক-সবজি, ফল খাওয়া উচিত। এই অসুখের জন্য অনেক সময় ট্যাবলেট ও ড্রপ ব্যবহার করা যায়।
৪. হাতা-পা ফাটা:
অতিরিক্ত ধুলাবালি থেকে দূরে থাকতে হবে। পিওর ভ্যাজলিন, গ্লিসারিন ব্যবহার অত্যন্ত কার্যকর।
৫. হৃদরোগ :
এই সময় শরীরে রক্ত চলাচল কমে যায়। ধমনির শিরাগুলো অপেক্ষাকৃত সরু হয়ে যায়। হৃৎপিণ্ডেও একই অবস্থা। ফলে হৃৎপিণ্ডের ধমনিগুলোতে রক্ত চলাচল কমে গিয়ে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। এ কারণেই দেখা যায় শীতে হার্ট অ্যাটাকের মাত্রা বেড়ে যায়। শীত এলে তাই হার্টের রোগীরা বাড়তি সচেতন থাকবেন। সকাল-বিকাল একটু দৌড়-ঝাঁপ করলে শরীর গরম থাকবে। গোসলের সময় কুসুম গরম পানি ব্যবহার করতে হবে।
৬. ডায়রিয়া:
বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় শীতকালে ডায়রিয়া ও পাতলা পায়খানা বেশি লক্ষ করা যায়। ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক ইত্যাদি সংক্রমণের কারণে এর প্রাদুর্ভাব হয় বলে ধারণা করা হয়। তবে টাইফয়েড বা প্যারাটাইফয়েড, ব্যাকটেরিয়াজনিত ডায়রিয়া, পেটের পীড়া শিশুদের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। সঠিক পরিমাণে খাবার স্যালাইন গ্রহণ করলে ভাইরাসজনিত ডায়রিয়া এমনিতেই ভালো হয়ে যায়। তবে এ ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে শিশুকে অবশ্যই হাসপাতালে নিতে হবে।
৭. হাঁপানি:
গুরুতর সমস্যায় চিকিৎসকের পরামর্শে অবস্থার ধরন বুঝে ব্যবস্থা নিতে হবে। রোগীকে সব সময় মাথার দিক উঁচুতে রেখে আলো বাতাস চলাচল করে এমন ঘরে রাখতে হবে। ঠাণ্ডা, ধুলাবালি, অ্যালার্জি থেকে সাবধান থাকতে হবে।
মুক্ত ক্যাম্পাস/এমআর
