স্বাস্থ্যবিধি মেনে সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও আবাসিক হলে খুলে দেওয়ার দাবিতে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
আজ রবিবার (৩০ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করে শিক্ষার্থীরা। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের সামনে গিয়ে সমাবেশ করে শিক্ষার্থীরা।
‘শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের পক্ষ থেকে কোন চাপ নেই’- শিক্ষামন্ত্রীর এমন বক্তব্যকে ‘লজ্জাজনক উল্লেখ করে সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, তিনি (শিক্ষামন্ত্রী) দেখতে পান না তার শিক্ষার্থীরা পড়ালেখার টেবিল ছেড়ে দিয়ে শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবিতে রাজপথে এসে আন্দোলন করছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন বন্ধ রাখার জন্য পায়তারা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।
তারা বলেন, করোনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনে শিক্ষার্থীরা মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া যায়নি। কিন্তু করোনায় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকার কারণে পরীক্ষা না হওয়ায় সেশনজট এবং হতাশায় বিশাদগ্রস্থ হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১জন সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৯ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে।
শিক্ষার্থীরা প্রশ্ন করেন, তাহলে কি দেখা যাচ্ছে? করোনা আমাদের জন্য মহামারি নাকি বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখা আমাদের জন্য মহামারি? শিক্ষার্থীরা কি করোনায় মারা যাচ্ছে, না বিশ্ববিদ্যালয়-শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার জন্য মারা যাচ্ছে? আমাদের প্রশাসনের সন্দেহ কি শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নাকি অন্য কোন চক্রান্ত?
শিক্ষার্থী বলেন, আমরা মনে করি, বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষার সঙ্গে জড়িত প্রশাসনের মৃত্যু ঘটেছে, অপমৃত্য ঘটেছে। তারা শিক্ষার্থীদের দাবিকে উপেক্ষা করে যাচ্ছেন।
