শিক্ষাখাতে দায়সারা ভাব, খেসারত দিতে হবে বহুবছর!

জি এম রাকিবুল ইসলাম
সোমবার, ২৪ মে ২০২১ | ৪:৪৭ অপরাহ্ণ

করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দীর্ঘ বন্ধ থাকায় দেশের প্রাক-প্রাথমিক হতে শুরু করে উচ্চ শিক্ষার বিদ্যাপীঠ বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে নাজুক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় গুলো ভুগছে সেশন জটের কবলে।

শিক্ষাখাত পরিচালনায় নানা অদক্ষতা ও দায়সারা ভাব নিয়ে মন্তব্য করেছেন, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) শিক্ষা প্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও সাবেক বিসিএস কর্মকর্তা ( শিক্ষা) জি এম রাকিবুল ইসলাম।

এ নিয়ে তিনি নিজের ফেসবুক ওয়ালে লিখেন, ‌‌‌’আমার জীবদ্দশায় বাংলাদেশ কখনও শিক্ষাকে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সেক্টর মনে করে এর যত্ন নিয়েছে বলে আমার মনে পড়ে না। এরকম দায়সারাভাবে একটা বিরাট গুরুত্বপূর্ণ সেক্টর পরিচালনার খেসারত এই দেশকে বহু বছর ধরে দিতে হবে। যতভাবে শিক্ষাব্যবস্থাকে খণ্ড খণ্ড করা যায় তা আমাদের নীতিনির্ধারকেরা করে গেছেন। আর যারা হুংকার দিতে পারত কিংবা আওয়াজ তুললে কাজের কাজ হত তারা তাদের বিবেক ইজারা দিয়ে স্বল্প মাত্রার রাজনীতির পিল সহজে শরীরে মানিয়ে নিয়ে প্রতিবাদ করার ক্ষমতাকে নিয়ন্ত্রণ করে চলেছেন দিনের পর দিন। এর ফল কোনভাবেই সুখকর হতে পারে না।

প্রাক-প্রাথমিক থেকে উচ্চ শিক্ষাস্তর পর্যন্ত ছড়ি ঘুরিয়ে তৃপ্তির ঢেকুর তুলছেন যারা, আপনারা নিজেরাও এক ভয়াবহ করুন পরিণতির জন্য প্রস্তুতি নিন। যেমন টাকা থাকলেও অনেকেই করোনার হাত থেকে রেহাই পায়নি, তেমনিভাবে অশিক্ষা-কুশিক্ষা দিয়ে যে নাগরিক আমরা তৈরি করছি তারাও আপনার জীবন জাহান্নাম করে ছাড়বে একদিন। দুর্গন্ধময় নালায় পারফিউম কাজ করে না। তাই সময় থাকতে সিরিয়াস হোন, সঠিক মানুষকে দায়িত্ব দিন। তরুণ প্রজন্মকে আলস্যে ডুবিয়ে রাখলে দেশের উন্নয়নের যৌবনে ভাটা পড়তে দেরি হবে না- এটা নিশ্চিত।

একটা দেশ যেসকল সমস্যার মধ্যে আছে তার সবগুলো সে তার নিজেদের লোক দিয়েই সমাধান করতে পারে- এটা জানার পরেও যখন হাত গুটিয়ে উদাস হয়ে বসে থাকে, তখন সেটা চরম হতাশার জন্ম দেয়।”

পূর্ববর্তী নিবন্ধজাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের ফল প্রকাশ
পরবর্তী নিবন্ধদ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না খুললে আন্দোলনের হুমকি