পদ্মা সেতুর টোল তালিকা ২০২২

এমসি রিপোর্ট
বৃহস্পতিবার, ২৩ জুন ২০২২ | ৯:১০ অপরাহ্ণ
পদ্মা সেতুর পিলারে ফেরির ধাক্কা এড়াতে ঘাট স্থানান্তর

পদ্মা সেতুর টোল তালিকা ২০২২ নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন দিয়েছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সেতু বিভাগ। গত ১৭ মে প্রজ্ঞাপনটি দেওয়া হয়েছে। **পদ্মা সেতুর টোলহার নির্ধারণ**

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, মোটরসাইকেলে ১০০ টাকা, কার বা জিপে ৭৫০ টাকা, পিকআপ ভ্যানে ১ হাজার ২০০ টাকা, মাইক্রোবাসে ১ হাজার ৩০০ টাকা, ছোট বাসে (৩১ আসন বা এর কম) ১ হাজার ৪০০ টাকা, মাঝারি বাসে (৩২ আসন বা এর বেশি) ২ হাজার টাকা, বড় বাসে (৩ এক্সেল) ২ হাজার ৪০০ টাকা টোল নির্ধারণ করা হয়েছে।

এ ছাড়া, ছোট ট্রাকে (৫ টন পর্যন্ত) ১ হাজার ৬০০ টাকা, মাঝারি ট্রাকে (৫ টনের বেশি থেকে ৮ টন) ২ হাজার ১০০ টাকা, মাঝারি ট্রাক (৮ টনের বেশি থেকে ১১ টন পর্যন্ত) ২ হাজার ৮০০ টাকা, ট্রাক (৩ এক্সেল পর্যন্ত) ৫ হাজার ৫০০ টাকা, ট্রেইলার (৪ এক্সেল পর্যন্ত) ৬ হাজার টাকা ও ট্রেইলার (৪ এক্সেলের বেশি) ৬ হাজারের সঙ্গে প্রতি এক্সেলে ১ হাজার ৫০০ টাকা করে যোগ করে টোল দিতে হবে।

Padma Bridge world’s 122nd longest bridge

এর আগে ফেরিতে টোল ছিল, মোটরসাইকেলে ৭০ টাকা, কার বা জিপে ৫০০ টাকা, পিকআপ ভ্যানে ৮০০ টাকা, মাইক্রোবাসে ৮৬০ টাকা, ছোট বাসে ৯৫০ টাকা, মাঝারি বাসে এক হাজার ৩৫০ টাকা, বড় বাসে এক হাজার ৫৮০ টাকা, ৫ টন পর্যন্ত ট্রাকে এক হাজার ৮০ টাকা, ৫ থেকে ৮ টন পর্যন্ত ট্রাকে এক হাজার ৪০০ টাকা, ৮ থেকে ১১ টন পর্যন্ত ট্রাকে এক হাজার ৮৫০ টাকা ও ৩ এক্সেলের ট্রাকে ৩ হাজার ৯৪০ টাকা।

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপনে পদ্মা সেতুর টোল তালিকা ২০২২ এর এই হার জানিয়ে বলেছে, সেতু খুলে দেওয়ার দিন থেকে এই টোল কার্যকর হবে।

সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আবুল হাসান বলেন, “রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে এই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।”

পারাপারের খরচ :

বাহন           -পদ্মা সেতু      -ফেরি      -বঙ্গবন্ধু সেতু

মোটর সাইকেল- ১০০ টাকা    -৭০ টাকা    -৫০ টাকা

কার-জিপ       -৭৫০ টাকা    – ৫০০ টাকা    – ৫৫০ টাকা

পিকআপ- ১২০০ টাকা- ৮০০ টাকা- ৬০০ টাকা

মাইক্রোবাস- ১৩০০ টাকা- ৮৬০ টাকা- ৬০০ টাকা

ছোট বাস (৩১ আসন বা কম)-১৪০০ টাকা-৯৫০ টাকা- ৭৫০ টাকা

মাঝারি বাস (৩২ আসনের বেশি- ২০০০ টাকা- ১৩৫০ টাকা- ১০০০ টাকা

বড় বাস (থ্রি এক্সেল) – ২৪০০ টাকা- – ১৫৮০ টাকা – ১০০০ টাকা

ছোট ট্রাক (৫ টন পর্যন্ত) – ১৬০০ টাকা- ৮০০- ১০৮০ টাকা – ১০০০ টাকা

মাঝারি ট্রাক (৫ টনের বেশি থেকে ৮ টন)- ২১০০ টাকা- ১৪০০ টাকা- ১২৫০ টাকা

মাঝারি ট্রাক (৮ টনের বেশি-১১ টন)- ২৮০০ টাকা- ১৮৫০ টাকা- ১৬০০ টাকা

ট্রেইলার (থ্রি এক্সেল পর্যন্ত)– ৫৫০০ টাকা- ৩৯৪০ টাকা- ২০০০ টাকা

ট্রেইলার (ফোর এক্সেল পর্যন্ত)– ৬০০০ টাকা -৩০০০ টাকা

ট্রেইলার (ফোর এক্সেলের অধিক)- ৬০০০ + প্রতি এক্সেলে ১৫০০ টাকা -৩০০০+প্রতি এক্সেলে ১০০০ টাকা

৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু চালু হলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার সঙ্গে ঢাকার সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হবে। এডিবির ধারণা অনুযায়ী, শুরুর দিকে প্রতিদিন এই সেতু দিয়ে প্রায় ২৪ হাজার যানবাহন চলাচল করবে।

এখন যেসব যাত্রী বা পণ্যবাহী গাড়ি শিমুলিয়া-বাংলাবাজার এবং পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া হয়ে দক্ষিণের বিভিন্ন গন্তব্যে যায়, সেসব যানবাহন সেতু দিয়ে পদ্মা পার হবে। তাতে আর ফেরি পার হতে হবে না, যাত্রার সময় কমে আসবে।

পদ্মা সেতুর টোল ধরে বাসভাড়া পুনর্নির্ধারণ :

পদ্মা সেতুর টোল তালিকা ২০২২ যোগ করে দূরত্ব অনুযায়ী ১৫টি রুটের বাসভাড়া পুনর্নির্ধারণ করেছে সরকার। ঢাকার ক্ষেত্রে প্রারম্ভিক পয়েন্ট ধরা হয়েছে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালকে। এ ছাড়া চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার থেকে ৩টি নতুন রুট দক্ষিণাঞ্চল যেতে পারবে পদ্মা সেতু হয়ে। তবে ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের টোলের গেজেট প্রকাশ হলে এর সঙ্গে বাড়তি ভাড়া যোগ হবে।

এর আগে গত ৭ জুন ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে ১৩টি রুটে ভাড়া নির্ধারণ করে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। ওই সময় কিছু দূরত্বের বিষয়ে আপত্তি এলে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ) থেকে নতুন করে দূরত্বের তালিকা জোগাড় করে সংস্থাটি। এর সঙ্গে রুট সংশোধন করে ১৫টি রুটের ভাড়ার তালিকা গতকাল চূড়ান্ত করা হয়। টোল যুক্ত করায় আসনপ্রতি ভাড়া বেড়েছে ১০ টাকা।

পদ্মা সেতুর টোল তালিকা ২০২২

বিআরটিএ চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ভাড়া পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। ভায়া রুটও পরিবর্তন হয়েছে দু-একটিতে। এক্সপ্রেসওয়ের টোলের গেজেট জারি হলে সেটা যোগ হবে। আপাতত গড়ে ১০ টাকা বেড়েছে। কিছু রুটে ভাড়া কমেছে দূরত্ব কমে যাওয়ার কারণে। ফেরির সঙ্গে সমন্বয় করে পদ্মা সেতুর টোল সংযোজনপূর্বক এই হার নির্ধারণ করা হলো।’

জানা গেছে, ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে বরিশালের দূরত্ব ১৫৬ কিলোমিটার। গাবতলী থেকে পাটুরিয়া হয়ে বরিশালের দূরত্ব ২৪২ কিলোমিটার। আবার সায়েদাবাদ থেকে খুলনা ২৪৭ কিলোমিটার দূরে। গাবতলী থেকে আড়পাড়া হয়ে খুলনা ২৭২ কিলোমিটার। আর ঝিনাইদহ হয়ে ধরলে গাবতলী থেকে খুলনার দূরত্ব ২৯২ কিলোমিটার। তার মানে গাবতলী থেকে দক্ষিণাঞ্চলের রুটের গাড়ি পাটুরিয়ার পরিবর্তে বরিশাল অঞ্চলে পদ্মা সেতু দিয়ে যেতে চাইলে গড়ে দূরত্ব কমবে অন্তত ১০০ কিলোমিটার।

বিআরটিএ নির্ধারিত নতুন রুট হচ্ছে, ঢাকা-বরিশাল ভায়া পদ্মা বহুমুখী সেতু, ভাঙ্গা, মাদারীপুর। এই ১৫৬ কিলোমিটার দূরত্বের জন্য ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৪২১ টাকা ২৭ পয়সা। ঢাকা থেকে গোপালগঞ্জ ভায়া পদ্মা সেতু, ভাঙ্গা পর্যন্ত ১৪৫.৫৩ কিলোমিটারের ভাড়া ৩৯২ টাকা ২৪ পয়সা। ঢাকা থেকে খুলনা ভায়া পদ্মা সেতু, ভাঙ্গা গোপালগঞ্জ ২০৭.১ কিলোমিটারের ভাড়া ৫৩৭ টাকা ২৯ পয়সা। ঢাকা থেকে শরীয়তপুর ভায়া পদ্মা সেতু, ভাঙ্গা, জাজিরা পর্যন্ত ৭৩ কিলোমিটারের ভাড়া ২২৫ টাকা ৭৮ পয়সা। ঢাকা থেকে পিরোজপুর ভায়া পদ্মা সেতু, ভাঙ্গা, বরিশালের জন্য ২০৬ কিলোমিটার দূরত্বের ভাড়া ৫৩২ টাকা ৭৭ পয়সা। ঢাকা থেকে পিরোজপুর ভায়া পদ্মা সেতু, ভাঙ্গা, গোপালগঞ্জ, বাগেরহাট যেতে ২২৭.৫০ কিলোমিটারের ভাড়া ৫৮৩ টাকা ৩৬ পয়সা। ঢাকা থেকে পটুয়াখালী ভায়া পদ্মা সেতু ভাঙ্গা বরিশাল যেতে ১৯২ কিলোমিটারের ভাড়া ৫১৯ টাকা ২৬ পয়সা। ঢাকা থেকে মাদারীপুর ভায়া পদ্মা সেতু, ভাঙ্গা পর্যন্ত ১১১ কিলোমিটারের ভাড়া ৩১৩ টাকা। ঢাকা থেকে সাতক্ষীরা ভায়া পদ্মা সেতু, ভাঙ্গা, গোপালগঞ্জ, খুলনার জন্য ২৫৭.০৩ কিলোমিটারের ভাড়া ৬৫৪ টাকা।

ঢাকা থেকে ফরিদপুর ভায়া পদ্মা সেতু, ভাঙ্গা পর্যন্ত ১০২ কিলোমিটারের ভাড়া ২৯২ টাকা ৩৪ পয়সা। ঢাকা থেকে শরীয়তপুর ভায়া বুড়িগঙ্গা দ্বিতীয় সেতু, পদ্মা বহুমুখী সেতু পর্যন্ত ৭৩ কিলোমিটার হিসাবে ভাড়া ২২৫ টাকা ৭৮ পয়সা। ঢাকা থেকে কুয়াকাটা যেতে চাইলে ভায়া পড়বে পদ্মা সেতু, ভাঙ্গা, মাদারীপুর, বরিশাল ও পটুয়াখালী। এ ২৭৬ কিলোমিটার গন্তব্যের জন্য ভাড়া ৭০১ টাকা ৪ পয়সা। এ ছাড়া কক্সবাজার থেকে বরিশাল যেতে ভায়া চট্টগ্রাম, ফেনী, কুমিল্লা, ঢাকার পোস্তগলা ব্রিজ, পদ্মা সেতু, ভাঙ্গা, মাদারীপুর পাড়ি দিতে হবে। এ গন্তব্যের দূরত্ব ৫৫৪ কিলোমিটার। ভাড়া ১৩৪৯ টাকা ৫ পয়সা। চট্টগ্রাম থেকে খুলনা যেতে চাইলে ভায়া ফেনী, কুমিল্লা, ঢাকার পোস্তগলা ব্রিজ, পদ্মা সেতু, ভাঙ্গা ও মাদারীপুর পাড়ি দিতে হবে। এ জন্য ভাড়া লাগবে ১১৪৯ টাকা ৬ পয়সা। দূরত্ব ৪৬৯ কিলোমিটার। আর চট্টগ্রাম থেকে বরগুনা যেতে চাইলে ফেনী, কুমিল্লা, ঢাকার পোস্তগলা ব্রিজ, পদ্মা সেতু, ভাঙ্গা, বরিশাল ও পটুয়াখালী পার হতে হবে। এ জন্য ৪৯৫ কিলোমিটারের ভাড়া হবে ১২২৩ টাকা ১৪ পয়সা।

ভাড়া নির্ধারণের হিসাবে দেখা গেছে, ভাড়া নির্ধারণে রুটগুলোয় ৫১ আসনের পরিবর্তে ৪০ আসনবিশিষ্ট বাসভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। ঢাকা থেকে বরিশালের বাসভাড়া নির্ধারণের হিসাব হচ্ছে প্রতি কিলোমিটারে ১ টাকা ৮০ পয়সা ধরে ৫১ আসনের জন্য ১৫৬ কিলোমিটারের ভাড়া দাঁড়ায় ১৪ হাজার ৩২০ টাকা ৮০ পয়সা। এই টাকাকে ৪০ আসনে ভাগ করে দাঁড়ায় ৩৫৮ টাকা ২ পয়সা। এর মধ্যে টোলের দুই হাজার টাকার সঙ্গে ৫৩০ টাকা যোগ করলে হয় ২৫৩০ টাকা। এটিকে ৪০ আসনে ভাগ করলে হয় ৬৩.২৫ টাকা। সে হিসাবে টোলসহ আসনপ্রতি ভাড়ার পরিমাণ দাঁড়ায় ৪২১ টাকা ২৭ পয়সা।

পদ্মা সেতুর কিছু তথ্য :

* পদ্মা সেতুতে গাড়ির লেন থাকবে একেক পাশে দুটো করে এবং একটি ব্রেকডাউন লেন। অর্থাৎ মোট ছয় লেনের ব্রিজ হচ্ছে, যদিও একে বলা হচ্ছে ফোর লেনের ব্রিজ।

* পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য (পানির অংশের) ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার। তবে ডাঙার অংশ ধরলে সেতুটির মোট দৈর্ঘ্য প্রায় নয় কিলোমিটার।

* দ্বিতল পদ্মা সেতুর এক অংশ থাকবে মুন্সিগঞ্জের মাওয়ায়, আরেক অংশ শরীয়তপুরের জাজিরায়

* সেতুর ওপরে গাড়ি চলাচল করবে, রেল চলবে নিচের অংশে।

* পদ্মা সেতু নির্মাণে মোট খরচ করা হচ্ছে ৩০ হাজার ১৯৩ দশমিক ৩৯ কোটি টাকা। গত বছরের ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যয় করা হয়েছে প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা। এসব খরচের মধ্যে রয়েছে সেতুর অবকাঠামো তৈরি, নদী শাসন, সংযোগ সড়ক, ভূমি অধিগ্রহণ, পুনর্বাসন ও পরিবেশ, বেতন-ভাতা ইত্যাদি।

জানা-অজানা পদ্মা সেতু :

১. প্রশ্নঃ পদ্মা সেতুর প্রকল্পের নাম কী?
উত্তরঃ পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প।

২. প্রশ্নঃ পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য কত?
উত্তরঃ ৬.১৫ কিলোমিটার।

৩. প্রশ্নঃ পদ্মা সেতুর প্রস্থ কত?
উত্তরঃ ৭২ ফুটের চার লেনের সড়ক।

৪. প্রশ্নঃ পদ্মা সেতুতে রেললাইন স্থাপন হচ্ছে কোথায়?
উত্তরঃ নিচ তলায়।

৫. প্রশ্নঃ পদ্মা সেতুর ভায়াডাক্ট কত কিলোমিটার?
উত্তরঃ ৩.১৮ কিলোমিটর।

৬. প্রশ্নঃ পদ্মা সেতুর সংযোগ সড়ক কত কিলোমিটার?
উত্তরঃ দুই প্রান্তে ১৪ কিলোমিটার।

৭. প্রশ্নঃ পদ্মা সেতু প্রকল্পে নদীশাসন হয়েছে কত কিলোমিটার?
উত্তরঃ দুই পাড়ে ১২ কিলোমিটার।

৮. প্রশ্নঃ পদ্মা সেতু প্রকল্পে মোট ব্যয় কত?
উত্তরঃ ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৩৮ লাখ ৭৬ হাজার টাকা।

৯. প্রশ্নঃ পদ্মা সেতু প্রকল্পে নদীশাসন ব্যয় কত?
উত্তরঃ ৮ হাজার ৭০৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা।

১০. প্রশ্নঃ পদ্মা সেতু প্রকল্পে জনবল কতজন?
উত্তরঃ প্রায় ৪ হাজার।

১১. প্রশ্নঃ পদ্মা সেতুর ভায়াডাক্ট পিলার কয়টি?
উত্তরঃ ৮১টি।

১২. প্রশ্নঃ পানির স্তর থেকে পদ্মা সেতুর উচ্চতা কত?
উত্তরঃ ৬০ ফুট।

১৩. প্রশ্নঃ পদ্মা সেতুর পাইলিং গভীরতা কত?
উত্তরঃ ৩৮৩ ফুট।

১৪. প্রশ্নঃ প্রতি পিলারের জন্য পাইলিং কয়টি?
উত্তরঃ ৬টি।

১৫. প্রশ্নঃ পদ্মা সেতুর মোট পাইলিং সংখ্যা কত?
উত্তরঃ ২৬৪টি।

১৬. প্রশ্নঃ পদ্মা সেতুতে কী কী থাকবে?
উত্তরঃ গ্যাস, বিদ্যুৎ ও অপটিক্যাল ফাইবার লাইন পরিবহন সুবিধা।

১৭. প্রশ্নঃ পদ্মা সেতুর ধরন কেমন?
উত্তরঃ দ্বিতলবিশিষ্ট এই সেতু কংক্রিট আর স্টিল দিয়ে নির্মিত হবে।

১৮. প্রশ্নঃ পদ্মা সেতুর পিলার সংখ্যা কত?
উত্তরঃ ৪২টি।

১৯. প্রশ্নঃ পদ্মা সেতু প্রকল্পে চুক্তিবদ্ধ কোম্পানির নাম কী?
উত্তরঃ চায়না রেলওয়ে গ্রুপ লিমিটেড।

২০. প্রশ্নঃ পদ্মা সেতু দক্ষিনের কয়টি জেলাকে যুক্ত করবে?
উত্তরঃ সরাসরি সড়কপথে যুক্ত হবে দক্ষিণ জনপদের ২১ জেলা।

২১. প্রশ্নঃ পদ্মা সেতু হলে দেশের আর্থিক প্রবৃদ্ধি কত শতাংশ বাড়বে?
উত্তরঃ এই সেতু হলে দেশের আর্থিক প্রবৃদ্ধি ১.২ শতাংশ বাড়বে, প্রতিবছর ০.৮৪ শতাংশ হারে দারিদ্র্য বিমোচন হবে।

২২. প্রশ্নঃ পদ্মা সেতু বিশ্বের কততম দীর্ঘতম সেতু?
উত্তরঃ পদ্মা সেতু বিশ্বে ১২২তম সেতু।

২৩. প্রশ্নঃ পদ্মা সেতু চুক্তি স্বাক্ষরের তারিখ কত?
উত্তরঃ চুক্তি স্বাক্ষরের তারিখ : জুন ১৭, ২০১৪।

২৪. প্রশ্নঃ পদ্মা সেতু কার্যাদেশ প্রদানের তারিখ কত?
উত্তরঃ কার্যাদেশ প্রদানের তারিখ : নভেম্বর ২৬, ২০১৪।

পদ্মা সেতু সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন :

১। পদ্মা সেতুর প্রথম স্প্যানটি বসানো হয় কবে ?
উত্তরঃ ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর

২। মোট স্প্যান কতটি ?
উত্তরঃ ৪১ টি

৩। মোট পিলার কতটি ?
উত্তরঃ ৪২ টি

৪। প্রথম স্প্যানটি বসানো হয় কোথায়?
উত্তরঃ ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুটির/পিলারের উপর

৫। শেষ/৪১ তম স্প্যানটি বসানো হয় কোথায় ?
উত্তরঃ ১২ ও ১৩ নম্বর খুটির উপরে

৬। সংযোগ স্থাপন করে কতটি জেলার সাথে?
উত্তরঃ মোট ২৯ টি জেলার সাথে ,দক্ষিণ ও দক্ষিণ পশ্চিমের ২১ টি জেলার সাথে।

৭। ৪১ টি স্প্যান বসাতে সময় লাগে কতদিন?
উত্তরঃ ৩ বছর ২ মাস ১০ দিন।

৮। সেতুর মোট দৈর্ঘ্য কত ?
উত্তরঃ ৯.৩৩ কি.মি .(৩. ১৮ কি.মি . সংযোগ সড়কসহ)

9। শুধু সেতুটির দৈর্ঘ্য কত?
উত্তরঃ ৬ .১৫ কি.মি .

১০। ৪১ তম স্প্যান বসে কবে ?
উত্তরঃ ১০ ডিসেম্বর ২০২০

১১। প্রতিটি স্প্যানের দৈর্ঘ্য কত ?
উত্তরঃ ১৫০ মিটার।

১২। সংযোগকারি স্থানসমূহ কি কি ?
উত্তরঃ মুন্সিগঞ্জের মাওয়া এবং শরিয়তপুরের জাজিরা।

১৩। যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয় কবে?
উত্তরঃ ২০২২ সালের ২৫ জুন।

পদ্মা সেতু যেসব দিক দিয়ে সেরা :

১৪। বাংলাদেশের দীর্ঘতম সড়ক সেতু-পদ্মা সেতু

১৫। এর আগে দীর্ঘতম সড়ক সেতু ছিলো-যমুনা সেতু

১৬। বাংলাদেশের দীর্ঘতম রেল সেতু -হার্ডিঞ্জ ব্রিজ

১৭। নদীর উপর নির্মিত বিশ্বের প্রথম দীর্ঘতম সেতু-পদ্মা সেতু

১৮। পদ্মা সেতুর কাজ শুরু হয়েছিলো – ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে

১৯।প্রতিটি স্প্যানের ওজন -৩২০০ টন

২০। পদ্মা সেতুর শেষ স্প্যান বসানো হয় যে দিবসে-বিশ্ব মানবাধিকার দিবস

২১। পদ্মা সেতুর প্রকল্পের নাম ‘পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প’।

২২। পদ্মা সেতুর ধরন দ্বিতলবিশিষ্ট। এই সেতু কংক্রিট আর স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে (যা বিশ্বে প্রথম)।

২৩। পদ্মা সেতু প্রকল্পে মোট ব্যয় (মূল সেতুতে) ৩০ হাজার ৭৯৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা।

২৪। পদ্মা সেতু নির্মাণে চুক্তিবদ্ধ কোম্পানির নাম চায়না রেলওয়ে গ্রুপ লিমিটেড এর আওতাধীন চায়না মেজর ব্রিজ কোম্পানি লিমিটেড।

২৫। পদ্মা সেতুতে থাকবে গ্যাস, বিদ্যুৎ ও অপটিক্যাল ফাইবার সংযোগ পরিবহন সুবিধা।

২৬। পদ্মা সেতুতে রেললাইন স্থাপন হচ্ছে স্প্যানের মধ্য দিয়ে।

২৭। পদ্মা সেতুর প্রস্থ হবে ৭২ ফুট, এতে থাকবে চার লেনের সড়ক। মাঝখানে রোড ডিভাইডার।

২৮। পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার।

২৯। পদ্মা সেতুর ভায়াডাক্ট ৩ দশমিক ১৮ কিলোমিটার।

৩০। পদ্মা সেতুর সংযোগ সড়ক দুই প্রান্তে (জাজিরা ও মাওয়া) ১৪ কিলোমিটার।

৩১। পদ্মা সেতু প্রকল্পে নদীশাসন হয়েছে দুই পাড়ে ১২ কিলোমিটার।

৩২। পদ্মা সেতু প্রকল্পে কাজ করছে প্রায় চার হাজার মানুষ।

৩৩। পদ্মা সেতুর ভায়াডাক্ট পিলার ৮১টি।

৩৪। পানির স্তর থেকে পদ্মা সেতুর উচ্চতা রয়েছে ৬০ ফুট।

৩৫। পদ্মা সেতুর পাইলিং গভীরতা ৩৮৩ ফুট।

৩৬। পদ্মা সেতুর মোট পিলারের সংখ্যা ৪২টি, স্প্যান ৪১টি।

৩৭। প্রতি পিলারের জন্য পাইলিং হয়েছে ৬টি। তবে মাটি জটিলতার কারণে ২২টি পিলারের পাইলিং হয়েছে ৭টি করে।

৩৮। পদ্মা সেতুর মোট পাইলিংয়ের সংখ্যা ২৮৬টি।

এছাড়া ও

মূল সেতুর নির্মাণ কাজের সমাপ্তি ঘোষণা কবে?

২২ জুন মূল সেতুর নির্মাণ কাজের সমাপ্তি ঘোষণা করে প্রকল্প কর্তৃপক্ষ।

রেল সংযোগ

পদ্মা সেতুতে রেললাইন স্থাপন হচ্ছে স্প্যানের মধ্য দিয়ে।

দাপ্তরিক নাম

পদ্মা সেতু।

সংযোগ সড়কের দৈর্ঘ্য

পদ্মা সেতুর সংযোগ সড়ক দুই প্রান্তে (জাজিরা ও মাওয়া) ১৪ কিলোমিটার।

সেতুর রক্ষণাবেক্ষণ

রক্ষণাবেক্ষণ করবে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ।

প্রিয় পাঠক, শিক্ষা ও ক্যারিয়ার বিষয়ক সর্বশেষ আপডেট পেতে মুক্ত ক্যাম্পাসের ফেসবুক পেজে লাইক দিন। লিঙ্ক : https://www.facebook.com/Muktocampus

পূর্ববর্তী নিবন্ধপদ্মা সেতুর উদ্বোধন দেখার ব্যবস্থা করলো কুবি প্রশাসন
পরবর্তী নিবন্ধপদ্মা সেতুতে গাড়ি চলাচলের গতিসীমা ৬০ কিমি