রাখার জায়গা নেই, নিউইয়র্কে ট্রাকেই পচছে লাশ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
শুক্রবার, ০১ মে ২০২০ | ২:৩৪ পূর্বাহ্ণ | 695 বার পঠিত
রাখার জায়গা নেই, নিউইয়র্কে ট্রাকেই পচছে লাশ

করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে লাশের মিছিল সবচেয়ে বড় নিউইয়র্কে। শহরটির ফিউনেরাল হোমগুলো (যেখানে মরদেহের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া করা হয়) লাশ রাখার জায়গা নেই। তাই লাশের গাড়িতেই পচে যাচ্ছে মরদেহগুলো। বিকশ দুর্গন্ধও ছড়াচ্ছে আশেপাশে। খবর নিউইয়র্ক টাইমসের।

বুধবার ব্রুকলিনের ইউটিকা অ্যাভেনিউর এ্যান্ড্রু টি ক্লেকলি ফিউনারেল হোমের সামনে রাখা ট্রাক দুটি ট্রাকের ভেতর পচতে থাকা কয়েক ডজন লাশ পাওয়া গেছে। জানা গেছে, ফিউনেরাল হোমটির লাশ রাখার হিমাগার অচল হয়ে পড়ায় এ মৃতদেহগুলো ট্রাক দুটোর ভেতরে রাখা হয়েছিল। তীব্র দুর্গন্ধ বের হওয়ার খবর পেয়ে পুলিশ এসে ট্রাক খুলে ব্যাগে মোড়ানো লাশগুলো পায়।

তবে এরমধ্যে কয়টি কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত ব্যক্তির তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। কোভিড-১৯ এর কারণে গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই নিউইয়র্কের বিভিন্ন হাসপাতালের মর্গ, কবরস্থান, শ্মশানের ওপর ভয়াবহ চাপ পড়ছে বলে জানিয়েছে মার্কিন গণমাধ্যমগুলো।

পূর্বনির্ধারিত অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার পাশাপাশি হাসপাতাল ও বিভিন্ন নার্সিং হোম থেকে আসা বিপুল মৃতদেহের কারণে এখন ফিউনেরাল হোমের পরিচালকদের তুমুল চাপ সামলাতে হচ্ছে। অনেকেই রীতিমতো অসহায়ত্ব প্রকাশ করেছেন। এদিকে, করোনা সংক্রমণ এড়াতে মরদেহ সৎকারের আগে উপযুক্ত পরিবেশে রাখার ব্যাপারে কড়া নির্দেশ থাকলেও সেটি মানতে হিমশিম খাচ্ছে অনেক ফিউনারেল হোম।

পরিস্থিতি মোকাবেলায় অনেক ফিউনেরাল হোম তাদের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ট্রেইলারগুলো ব্যবহার করতে পারলেও অনেককে অস্থায়ী মর্গ বানাতে হয়েছে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্রের সাহায্যে লাশ সংরক্ষণের উপযুক্ত রাখতে হচ্ছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন শতবর্ষ আগে স্প্যানিশ ফ্লুতে এমন বেসামাল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল। এরপর করোনা এসে আবারও টালমাটাল করে দিয়েছে সবকিছু।

দেশটির ৫০টি অঙ্গরাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস। প্রতিদিনই হু হু করে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। ফলে দীর্ঘ হচ্ছে লাশের মিছিল।

ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১০ লাখ ৮৮ হাজার ৪১৫। অপরদিকে, করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৬৩ হাজার ৫৩৫ জন। এছাড়া ইতোমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছে ১ লাখ ৫০ হাজার ৭৬৮ জন। দেশটিতে করোনার অ্যাক্টিভ কেস ৮ লাখ ৭৪ হাজার ১১২টি। অপরদিকে এখনও গুরুতর অবস্থায় আছে ১৫ হাজার ২২৬ জন।

আমাদের সাথে ফেসবুক পেজে কানেক্ট থাকুন: মুক্তক্যাম্পাস

মুক্ত ক্যাম্পাস/জেডআর

পূর্ববর্তী নিবন্ধটেকনাফে পঙ্গপাল সদৃশ পতঙ্গের আক্রমণ!
পরবর্তী নিবন্ধদক্ষিণ আফ্রিকায় চিকিৎসক পাঠাল কিউবা, কড়া সমালোচনা যুক্তরাষ্ট্রের