দেশ ও মানুষের জন্য কাজ করা কি ক্ষমতার অপব্যবহার?

নিজস্ব প্রতিবেদক
শুক্রবার, ১৩ মার্চ ২০২০ | ৫:১৫ অপরাহ্ণ | 124 বার পঠিত

ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ তুলে বুধবার (১২ মার্চ) র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার ক্ষমতা বাতিলে হাইকোর্টে একটি সম্পূরক রিট আবেদন করা হয়েছে। এরপর রিটের পরিপ্রেক্ষিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সবার উদ্দেশে প্রশ্ন করে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি।

বুধবার (১১ মার্চ) রাতে স্ট্যাটাসটি পোস্ট করার পরই তা ভাইরাল হয়ে যায়। ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমের দেয়া ওই স্ট্যাটাসে ১৩ হাজার লাইক ও ৩ হাজারের বেশি মন্তব্য পড়েছে। স্ট্যাটাসটি শেয়ার হয়েছে প্রায় দুই হাজার বার।

স্ট্যাটাসে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে সারোয়ার আলম লিখেছেন, ‘সততা, নিষ্ঠা আর শত চ্যালেঞ্জকে হাসিমুখে আলিঙ্গন করে দেশ ও মানুষের জন্য কাজ করা কি ক্ষমতার অপব্যবহার?’

এর আগে র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আক্তারুজ্জামান ও নিজাম উদ্দিনের বিরুদ্ধে ক্ষমতা অপব্যবহারের অভিযোগ এনে তাদের ক্ষমতা বাতিল করার আর্জি জানিয়ে একটি সম্পূরক রিট আবেদন করা হয়। গতকাল

বুধবার চিলড্রেন’স চ্যারিটি বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের (সিসিবি ফাউন্ডেশন) পক্ষ থেকে র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আক্তারুজ্জামান ও নিজাম উদ্দিনের ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার ক্ষমতা (ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা) বাতিল করার নির্দেশনার আর্জি জানিয়ে হাইকোর্টে একটি সম্পূরক রিট আবেদন করা হয়।

হাইকোর্টের বিচারপতি হাইকোর্টের বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদারের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এ বিষয়ে আদেশ দেয়ার কথা রয়েছে।

রিটে এই তিন ম্যাজিস্ট্রেটের বিরুদ্ধে কয়েকটি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আনা হয়েছে। সেগুলো হলো-

১. একই সময়ের মধ্যে দুই জায়গায় (শিশুমেলা ও ফার্মগেট) মোবাইল কোর্ট পরিচালনার অভিযোগ, যা ক্ষমতার অপব্যবহার।

২. একই সাক্ষীরা বার বার বিভিন্ন জায়গায় এসেছে।

৩. এক ধারার অপরাধ দেখিয়ে ভিন্ন ধারায় চার্জ গঠন।

৪. চলন্ত ভ্যান থেকে কলা চুরির অপরাধে ছয় মাসের সাজা যা মোবাইল কোর্ট দিতে পারে না।

৯, ১০ ও ১১ বছর বয়সী শিশুদের সাজা দেয়া হয়েছে, যেখানে দণ্ডবিধির ৮৩ ধারা অনুযায়ী ১২ বছরের নিচের শিশুদের সাজা দেয়া যায় না। আবেদনে বলা হয়েছে, সাজানো সাক্ষী, সাজানো মামলা আর ক্ষমতার চূড়ান্ত অপব্যবহার করেছেন তারা।

জোর করে শিশুদের স্বীকারোক্তি আদায়ের অভিযোগ আনা হয়েছে। সংবিধানের ৩৩ ও ৩৫ অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন বলে আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

মুক্ত ক্যাম্পাস/এএমআর

পূর্ববর্তী নিবন্ধযেসব খাবার খেলে ওজন বাড়ে
পরবর্তী নিবন্ধখুবির ‘কটকা ট্র্যাজেডি’ দিবস আজ