ছাত্র-ছাত্রীদের সুরক্ষার জন্যই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ: শিক্ষামন্ত্রী

এমসি রিপোর্ট
বুধবার, ০৭ জুলাই ২০২১ | ১:৩৯ পূর্বাহ্ণ
শিক্ষার্থীদের ইন্টারনেট প্যাকেজ নিয়ে সুখবর শিগগিরই: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। ফাইল ছবি

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি বিবেচনা করেই এখনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হয়নি। তবে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ভার্চুয়াল মাধ্যমে আমাদের পাঠদান অব্যাহত রয়েছে।

মঙ্গলবার (৬ জুলাই) বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশন ও ইউনেস্কোর ঢাকা অফিসের উদ্যোগে আয়োজিত ‘ট্রান্সলেট অ্যা স্টোরি ইনিশিয়েটিভ ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

ডা. দীপু মনি বলেন, ট্রান্সলেট অ্যা স্টোরি ইনিশিয়েটিভের মাধ্যমে ইউনেস্কো ও বিভিন্ন সংস্থা যে উদ্যোগ নিয়েছে সেটি শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে আরও সহায়তা করবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী ও মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন।

ছাত্র-ছাত্রীদের সুরক্ষার জন্যই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ: শিক্ষামন্ত্রী

ভার্চুয়াল মাধ্যমে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন বিয়াট্রিস কালদুন, হেড অব অফিস অ্যান্ড কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ টু বাংলাদেশ। বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশনের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল মো. সোহেল ইমাম খান অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য প্রদান করেন। বিয়াট্রিস কালদুন তাঁর বক্তব্যে অনুষ্ঠানে যুক্ত সকলকে স্বাগত জানান।

শিক্ষামন্ত্রী প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, ‘চলমান কভিড পরিস্থিতে এটি অত্যন্ত কার্যকরী একটি পদক্ষেপ। বৈশ্বিক এই দুর্যোগে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য-সুরক্ষার বিষয়টি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে সরকার এখনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়নি। তবে অনলাইনে তাদের শ্রেণি কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ট্রান্সলেট অ্যা স্টোরি ইনিশিয়েটিভের মাধ্যমে ইউনেস্কো এবং বিভিন্ন সহযোগী প্রতিষ্ঠান যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে তা শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে’। তিনি এই পুরো কার্যক্রমের সফলতা কামনা করেন।

বিশেষ অতিথি, শিক্ষা উপমন্ত্রী এই কার্যক্রমকে অত্যন্ত সময়োপযোগী হিসেবে আখ্যা দেন। করোনা মহামারিতে শিক্ষার্থীদের ওপর মানসিক প্রভাব ফেলেছে এ বিষয়ে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, একটা দীর্ঘ সময় ধরে শিক্ষার্থীদের যখন বাড়িতেই থাকতে হচ্ছে, নিয়মিত অনলাইন ক্লাস করতে হচ্ছে তখন তাদের মানসিক চাপ নিরসনে এবং তাদের এই কঠিন সময়টা আনন্দদায়ক করে তুলতে নিজের ভাষায় অনুদিত এই বইগুলো হয়ে উঠবে এক অনন্য উপজীব্য।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএমপিওভুক্ত শিক্ষকরা ২৫ শতাংশ উৎসব ভাতা পাচ্ছেন
পরবর্তী নিবন্ধপথ হারানো পথ প্রদর্শক, একটি প্রেস স্টিকার এবং গণমাধ্যমের গণ’রা