করোনাভাইরাসের কারণে থমকে গেছে গোটা পৃথিবী। সারাবিশ্বের কোটি শিক্ষার্থীর ন্যায় বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাও অপূরণীয় ক্ষতির শিকার হয়েছে। পৃথিবীর বেশ কয়েকটি দেশ টিকা প্রয়োগ করেও এখনো প্রত্যাশিত সফলতা পায়নি। এই অপেক্ষার শেষ কবে তা কেউই বলতে পারে না। বাংলাদেশে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে । আগামী ৩০ জুন খোলার ঘোষণা থাকলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার বিষয়টি মোটামুটি নিশ্চিতই বলা যায়। ফলে এসএসসি-এইচএসসি এবং সমমানের পরীক্ষা নেওয়ার সম্ভবনাও ক্ষীণ হয়ে আসছে। তবে এ পরীক্ষার আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এবছর কোনোভাবেই অটোপাস দিতে চায় না সরকার।
জানা গেছে, পরীক্ষা নেওয়ার জন্য শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে পরীক্ষা না নেওয়া গেলে তখন বিকল্প উপায়ে ফল দেওয়া হতে পারে। এসএসসি-এইচএসসি শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট ও পূর্ববর্তী পরীক্ষার ফলাফলের আলোকে ফলাফল দেওয়া হতে পারে বলে সূত্র জানায়।
এ বিষয়ে আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নেহাল আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘পরীক্ষা নেওয়ার সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে আমাদের। এখন পর্যন্ত পরীক্ষা নিতে চাই। এই পরীক্ষার জন্য আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চায় মন্ত্রণালয়।’
এরপরও যদি পরীক্ষা নেয়া সম্ভব না হলে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের এ বছর অটোপাস দেয়া হবে না। অটোপাসের কারণে শিক্ষার্থীদের নানা সমস্যা দেখা দেয় বলেও জানান তিনি।
সূত্র জানায়, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে এসএসসি, এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নেওয়া না গেলে বিকল্প পদ্ধতি বাস্তবায়ন করা হবে। এ ক্ষেত্রে দু’টি বিকল্পের মাধ্যমে প্রায় ৪৪ লাখ পরীক্ষার্থীর ফলাফল দেওয়া হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় এর আগে ঘোষণা দেয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললে এসএসসির জন্য ৬০ কর্মদিবস ও এইচএসসির ৮৪ কর্মদিবস ক্লাস নিয়ে পরীক্ষা হবে। ক্লাস শেষে অন্তত ১৫ দিন সময় দিয়ে পরীক্ষা নেওয়ার কথা জানানো হয়েছিল।
কিন্তু করোনার ঊর্ধ্বগতির কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া সোমবার সাত জেলায় কঠোর লকডাউন দেওয়া হয়েছে। ফলে ঈদুল আজহার আগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে না বলেই সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন। ফলে এ দুই পরীক্ষা নিয়ে অনিশ্চয়তা আরও দীর্ঘায়িত হচ্ছে।