একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির চতুর্থ ধাপের ফল ২০২৩

এমসি রিপোর্ট
সোমবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | ১০:২৪ পূর্বাহ্ণ
একাদশে ভর্তির আবেদন শুরু ১০ মে

বহুল প্রতীক্ষিত একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির চতুর্থ ধাপের আবেদনের ফল ২০২৩ প্রকাশ করা হয়েছে। রবিবার রাতে এ ফল প্রকাশ করা হয়। তিন ধাপে আবেদন করেও কোনো কলেজে নির্বাচন না পাওয়া শিক্ষার্থীরা চতুর্থ ধাপে ভর্তির আবেদন করার সুযোগ পেয়েছিলেন। এতে সারা দেশে মোট এক লাখ আট হাজার ৯৩৬ জন আবেদনকারী আবেদন করেছেন। তাদের মধ্যে পাঁচ লাখ ৮৪ হাজার ৭৩৪ কলেজ নির্বাচন করা হয়েছে।

কলেজে ভর্তির নির্ধারিত ওয়েবসাইটে http://xiclassadmission.gov.bd/ শিক্ষার্থীদের ফল প্রকাশ করা হয়েছে। ফল দেখতে, এ ওয়েবসাইটে প্রবেশ কর ‘ভিউ রেজাল্ট’ বাটনে ক্লিক করতে হবে। এরপর নির্ধারিত স্থানে ভর্তিচ্ছুরা রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, বোর্ড ও পাসের বছর ওয়েবসাইটে ইনপুট দিয়ে ওয়েবপাতায় উল্লেখিত ভেরিফিকেশন কোডটি ইনপুট দিতে হবে। এরপর নীল বর্ণের ‘ভিউ রেজাল্ট’ বাটনে ক্লিক করলেই শিক্ষার্থীর ফল প্রদর্শন করা হবে।

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির চতুর্থ ধাপের ফল ২০২৩

এর আগে ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ৮ ফেব্রুয়ারি চতুর্থ ধাপে অনলাইন আবেদন গ্রহণ করা হয়। জানা গেছে, ১৩ থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৫টা পর্যন্ত শিক্ষার্থী সিলেকশন নিশ্চায়ন ও কলেজে ভর্তির সুযোগ পাবেন।

ভর্তির ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে, চতুর্থ পর্যায়ে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের আগামী ১৩ থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৫ টার মধ্যে মোবাইল ব্যাংকিং চার্জ বাদে রেজিস্ট্রেশন ফি ৩২৮ টাকা জমা দিলে ভর্তির প্রাথমিক নিশ্চায়ন সম্পন্ন হবে।

মাইগ্রেশনপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন ফি দেয়ার প্রয়োজন নেই। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির তারিখ ১৩ থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি।

বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, গত ৮ থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তিতে প্রথম ধাপে অনলাইন আবেদন চলে। ৯ থেকে ১০ জানুয়ারি দ্বিতীয় ধাপে, ফল প্রকাশ ১২ জানুয়ারি ও নিশ্চয়ন চলে ১৩ থেকে ১৪ জানুয়ারি। তৃতীয় ধাপের আবেদন ১৬ জানুয়ারি ও ফলাফল ১৮ জানুয়ারি প্রকাশ করা হয়। এ ধাপের নিশ্চয়ন চলে ১৯ থেকে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত। তিন ধাপে যারা নিশ্চয়ন করেছে তাদের ২২ থেকে ২৬ জানুয়ারির মধ্যে ভর্তির সময়সীমা দেয়া হয়।

জানা গেছে, একাদশে ভর্তিতে তিন ধাপে আবেদন গ্রহণ করার পরও অনেক শিক্ষার্থী কাঙ্ক্ষিত কলেজ পাননি। আবেদন করেও সাড়ে ২২ হাজার শিক্ষার্থী পছন্দের কলেজে ভর্তির সুযোগ পাননি। এদের মধ্যে ২ হাজার ৮৪২ জন জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন। আর এসএসসি ও সমমান উত্তীর্ণ ৪ লাখ শিক্ষার্থী একাদশে ভর্তির আবেদন করেননি। ভর্তির জন্য নির্বাচিত হয়েও নিশ্চায়ন করেননি সাড়ে ৮২ হাজার শিক্ষার্থী।

অপরদিকে সারাদেশের কলেজ ও মাদরাসাগুলোতে একাদশ শ্রেণির ১২ লাখ ৫৩ হাজার আসন ফাঁকা থাকছে। এমন পরিস্থিতিতে কলেজ না পাওয়া ও ভর্তির আবেদন না করা শিক্ষার্থীদের চতুর্থ ধাপে আবেদন করার সুযোগ দেয়া হয়েছিলো।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরাবি ভর্তি আবেদন ২০২২-২০২৩ শুরু ১৫ মার্চ
পরবর্তী নিবন্ধদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু