উপবৃত্তি আবেদন ফরম ২০২৩ pdf download [৬ষ্ঠ ও একাদশ]

এমসি রিপোর্ট
রবিবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | ৪:০৭ অপরাহ্ণ | 269 বার পঠিত
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ২৬ মার্চের পর

উপবৃত্তি আবেদন ২০২৩ শুরু হচ্ছে শিগগিরই। ২০২৩ সালে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ও ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হওয়া উপবৃত্তির জন্য যোগ্য শিক্ষার্থী নির্বাচন ও তথ্য অন্তর্ভুক্তি শুরু হবে ২৭ ফেব্রুয়ারি। আগামী ১৯ মার্চ পর্যন্ত এইচএসপি-এমআইএস সার্ভারে নির্ভুলভাবে শিক্ষার্থীদের তথ্য অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

সমন্বিত উপবৃত্তি কর্মসূচির আওতাভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষার্থীদের মধ্যে উপবৃত্তির আবেদন ফরম বিতরণ, তা জমা নেয়া ও যাচাই-বাছাই করে শিক্ষার্থীদের তালিকা করতে হবে। তালিকা অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের তথ্য এইচএসপি-এমআইএসে উপজেলা বা থানা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে পাঠাতে হবে।

উপজেলা ও থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তারা কমিটির মাধ্যমে সফটওয়্যারে নির্ধারিত অপশন ব্যবহার করে ২২ মার্চের মধ্যে আবেদন পাঠাতে হবে।

উপবৃত্তি আবেদন ফরম ২০২৩ pdf download [৬ষ্ঠ ও একাদশ]

শুধু ষষ্ঠ ও একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা এ কর্মসূচির আওতায় উপবৃত্তি পাওয়ার আবেদন করতে পারবে। তবে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা যারা উপবৃত্তি কর্মসূচির বাইরে থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে অষ্টম শ্রেণি পাস করে নতুন ভর্তি হয়েছে, তারা উপবৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবে। তবে নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নবম শ্রেণির কোনো শিক্ষার্থী উপবৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবে না। শিক্ষার্থী অন্য কোনো সরকারি উৎস থেকে উপবৃত্তি বা অভিভাবক শিক্ষা ভাতা গ্রহণ করলে উপবৃত্তির জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবে না। এ ছাড়া শিক্ষা বোর্ড থেকে মেধা বা সাধারণ বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী উপবৃত্তি প্রাপ্তির জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে।

শতভাগ উপবৃত্তি কারা পাচ্ছে:

দেশের ১০টি উপজেলার ক্ষেত্রে উপবৃত্তির সফটওয়্যারে এন্ট্রি করা সব শিক্ষার্থী উপবৃত্তির জন্য নির্বাচিত হবে। উপজেলাগুলো হলো বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি, আলীকদম, কুড়িগ্রামের সদর, চর রাজিবপুর, চিলমারী, উলিপুর ও ভূরুঙ্গামারী, দিনাজপুরের কাহারোল ও খানসামা এবং কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর।

তথ্য অন্তর্ভুক্তি যেভাবে:

শিক্ষার্থীদের তথ্য অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে কয়েক দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এগুলো মধ্যে আছে একাধিক শিক্ষার্থীর বিপরীতে একই অ্যাকাউন্ট নম্বর বা মুঠোফোন নম্বর ব্যবহার করা যাবে না, একই অ্যাকাউন্ট নম্বর বা মুঠোফোন নম্বর কেবল একজন শিক্ষার্থীর বিপরীতে ব্যবহার করা যাবে। শিক্ষার্থীর জন্মসনদ নম্বর অবশ্যই ১৭ ডিজিটের হতে হবে। বাবা, মা বা অভিভাবকের জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর (১০ অথবা ১৭ সংখ্যা) অবশ্যই এন্ট্রি করতে হবে।

আরও পড়ুন : ওমরাহ হজের ফজিলত ও সওয়াব

১৩ সংখ্যার জাতীয় পরিচয়পত্রের ক্ষেত্রে প্রথমে জন্মের বছর বসিয়ে ১৭ সংখ্যায় রূপান্তর করতে হবে। শিক্ষার্থীর উপবৃত্তির টাকা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে যেকোনো বৈধ বা সচল অনলাইন ব্যাংক বা মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতে হবে। শিক্ষার্থীর অভিভাবক হবেন বাবা বা মা। কেবল মা–বাবার অনুপস্থিতিতে অন্য কোনো ব্যক্তিকে (ভাই বা বোন বা দাদা বা দাদি বা নানা বা নানি) অভিভাবক হিসেবে নির্বাচন করা যাবে। তথ্য এন্ট্রির সময় বাবাকে অভিভাবক নির্বাচিত করলে বাবার জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে এবং অভিভাবক ও হিসাবধারীর নাম হিসেবে বাবার নাম এন্ট্রি করতে হবে।

অভিভাবক হিসেবে মাকে নির্বাচিত করলে মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে এবং অভিভাবক ও হিসাবধারীর নাম হিসেবে মায়ের নাম এন্ট্রি করতে হবে। মা–বাবার অনুপস্থিতিতে অন্য কোনো ব্যক্তিকে অভিভাবক নির্বাচিত করলে তাঁর জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে এবং অভিভাবক ও হিসাবধারীর নাম হিসেবে তাঁর নাম এন্ট্রি করতে হবে। স্কুল ব্যাংকিং বা এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে যাঁর নামে অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে, হিসাবধারীর নাম হিসেবে তাঁর নাম এন্ট্রি করতে হবে।

উপজেলা বা থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ইউজার আইডি বা পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে বা অন্য কোনো কারণে এইচএসপি-এমআইএসে লগইন করতে না পারলে সংশ্লিষ্ট উপজেলা বা থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার মাধ্যমে ই–মেইলে ([email protected]) যোগাযোগ করতে হবে।

**উপবৃত্তির আবেদনের বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন

**আবেদনের ফরম ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধপবিত্র শবে বরাত ২০২৩-Shab e Barat 2023
পরবর্তী নিবন্ধদিরাই উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৯৯৮ ব্যাচের রজতজয়ন্তী ও আনন্দ ভ্রমণ