‘আওয়ামী লীগ যুগ যুগ ধরে মানুষের হৃদয়ে বেঁচে থাকবে’

অনলাইন ডেস্ক
সোমবার, ১৫ আগস্ট ২০২২ | ২:১৬ অপরাহ্ণ

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বঙ্গবন্ধু না থাকলেও স্বাধীনতা এবং মুক্তির সংগ্রামে নেতৃত্বদানকারী রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগ যুগ যুগ ধরে এ দেশের মানুষের হৃদয়ে বেঁচে থাকবে।

আজ সোমবার (১৫ আগস্ট) সকালে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বনানী কবরস্থানে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের অন্য সদস্যদের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উত্তরাধিকার হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার স্বপ্নপূরণ করার সংগ্রাম করে যাচ্ছেন।

আওয়ামী লীগ যুগ যুগ ধরে মানুষের হৃদয়ে বেঁচে থাকবে : কাদের

এর আগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতারা ১৫ আগস্টে নিহতদের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় তারা দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেন।

এসময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, আব্দুর রাজ্জাক, শাজাহান খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, খায়রুজ্জামান লিটন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, দীপু মনি, ড. হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, আফজাল হোসন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া উপস্থিত ছিলেন।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোর রাতে সেনাবাহিনীর কিছুসংখ্যক বিপদগামী সদস্য ধানমন্ডির বাসভবনে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তাদের হাতে একে একে প্রাণ হারিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু শেখ রাসেলসহ পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল।

এদিকে, সোমবার (১৫ আগস্ট) বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি।

এরপর সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। এ সময় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা অনার গার্ড প্রদান করেন। পরে সেখানে ১৫ আগস্টে নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া-মোনাজাতে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী।

এরপর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের নিয়ে আবারও বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সে সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, তিন বাহিনীর প্রধান ও কেন্দ্রীয় নেতারা।

পৃথিবীর এই জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড থেকে বাঁচতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর অনুজ শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, তার ছেলে আরিফ ও মেয়ে বেবি, সুকান্তবাবু, বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে যুবনেতা ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক শেখ ফজলুল হক মণি, তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনি এবং আবদুল নাঈম খান রিন্টু ও কর্নেল জামিলসহ পরিবারের ১৬ জন সদস্য ও ঘনিষ্ঠজন। এ সময় বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় প্রাণে রক্ষা পান।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচকবাজারে পলিথিন কারখানায় ভয়াবহ আগুন
পরবর্তী নিবন্ধগুচ্ছের প্রবেশপত্রে বয়স্ক নারীর ছবি, সমালোচনার ঝড়