করোনাকালে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে পদত্যাগ করেছেন নিউজিল্যান্ডের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডেভিড ক্লার্ক। আজ বৃহস্পতিবার নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ক্লার্কের পদত্যাগপত্র তিনি গ্রহণ করেছেন।
করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে নিউজিল্যান্ডকে সফল দেশ বলেই গণ্য করা হয়। কিন্তু সম্প্রতি করোনা মহামারি পরিস্থিতিতে দেশটির সীমান্ত ও আইসোলেশন ব্যবস্থাপনা নিয়ে সরকারের কর্মকাণ্ড নিয়ে তীব্র সমালোচনা হয়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
করোনাকালে গত এপ্রিলে লকডাউন ভেঙে সপরিবারে সমুদ্রসৈকতে বেড়াতে গিয়ে সমালোচিত হয়েছিলেন নিউজিল্যান্ডের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডেভিড ক্লার্ক। এরপর পাহাড়েও ভ্রমণে গিয়েছিলেন তিনি। এ বিষয়গুলো সামনে আসায় তাঁর বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় ওঠে। তখনই তিনি পদত্যাগ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু করোনাজনিত সংকটকালে তাঁকে কাজ করে যেতে বলা হয়েছিল। তবে পদাবনতি হয়েছিল তাঁর। এবার আর ক্লার্ককে ফেরাননি জেসিন্ডা আরডার্ন।
জানা গেছে, সম্প্রতি নিউজিল্যান্ডে আইসোলেশনে থাকা দুই ব্যক্তি কোনো করোনা পরীক্ষা ছাড়াই তাঁদের মৃত্যুপথযাত্রী আপনজনের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার অনুমতি পান। পরে ওই ব্যক্তিদের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়।
এদিকে পদত্যাগের বিষয়ে ডেভিড ক্লার্ক বলেন, ‘স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকাকালে যেসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, সেগুলোর পুরো দায়ভার আমি নিচ্ছি।’
ক্লার্ক পদত্যাগ করায় আপাতত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে শিক্ষামন্ত্রী ক্রিস হিপকিন্সকে। তিনি আগামী সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য সাধারণ নির্বাচনের আগ পর্যন্ত এ দায়িত্ব পালন করবেন।
করোনা মোকাবিলায় সফলতা দেখিয়ে নিউজিল্যান্ড প্রশংসা কুড়ায়। কড়াকড়িভাবে সীমান্ত বন্ধ এবং কার্যকরী কোয়ারেন্টিন নীতির কারণেই নিউজিল্যান্ড করোনা মোকাবেলায় সফল হয় বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। দেশটিতে মোট ১ হাজার ৫২৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়। মারা যায় ২২ জন। গত মাসে করোনা-সংক্রান্ত সব বিধি-নিষেধ তুলে নেয় নিউজিল্যান্ড। তবে সম্প্রতি দেশটির সীমান্ত ও আইসোলেশন ব্যবস্থাপনা নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে।
মুক্ত ক্যাম্পাস/রানা