বর্তমান বিশ্বে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) এক আতঙ্কের নাম। এই ভাইরাসে এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা প্রায় ৩৩ হাজার ছাড়িয়েছে। এছাড়াও আক্রান্তের সংখ্যা সাত লাখ ছাড়িয়েছে। তবে আশার কথা হচ্ছে, এরইমধ্যে করোনা থেকে সুস্থ্য হয়েছেন প্রায় দেড় লাখ মানুষ।
যুক্তরাষ্ট্রের জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বশেষ হিসেব অনুযায়ী, এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের মোট সংখ্যা ৭ লাখ ২২ হাজার ৪৩৫ জন। এছাড়া, করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৩ হাজার ৯৯৭ জন।
এ পর্যন্ত করোনা থেকে আরোগ্য লাভ করেছেন ১ লাখ ৫১ হাজার ৯৯১ জন। এর মধ্যে চীনে ৭৫ হাজার ৫৮২ জন, স্পেনে ১৪ হাজার ৭০৯ জন, ইতালিতে ১৩ হাজার ৩০ জন, ইরানে ১২ হাজার ৩৯১ জন, জার্মানিতে ৯ হাজার ২১১ জন, ফ্রান্সে ৭ হাজার ২২৬ জন, দক্ষিণ কোরিয়ায় ৫ হাজার ৩৩ জন আরোগ্য লাভ করেছেন।
স্পেন, চীন ও ইতালিকে পেছনে ফেলে আক্রান্তের সংখ্যায় শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রে ১ লাখ ৪২ হাজার ৫০২ জন, ইতালিতে ৯৭ হাজার ৬৮৯ জন, চীনে ৮২ হাজার ১৪৯ জন, স্পেনে ৮০ হাজার ১১০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
মৃতের সংখ্যায় শীর্ষে রয়েছে ইতালি। এরপর রয়েছে স্পেন, চীন, ইরান ও ফ্রান্স। ইতালিতে ১০ হাজার ৭৭৯ জন, স্পেনে ৬ হাজার ৬০৬ জন, চীনে ৩ হাজার ১৮২ জন ও ইরানে ২ হাজার ৬৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
চীনের উহান শহরে গত ডিসেম্বর থেকে দেখা যাওয়া এই নতুন ভাইরাস মূলত ফুসফুসে বড় ধরণের সংক্রমণ ঘটায়। জ্বর, কাশি, শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যাই মূলত প্রধান লক্ষ্মণ। নতুন ভাইরাসটির জেনেটিক কোড বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে এটি অনেকটাই সার্স ভাইরাসের মতো। এই ভাইরাস নিয়ে বিশ্ব রাজনীতিতে চলছে নানা তর্ক-বিতর্ক।
এদিকে, বিশ্বজুড়ে বর্তমানে মহামারীর আকার ধারণ করা করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ও অর্থনীতির উপর এর বিরূপ প্রভাবের সম্ভাবনা নিয়ে উদ্বেগ থেকে আত্মহত্যা করেছেন জার্মানির হেসে প্রদেশের অর্থমন্ত্রী থমাস শেফার। শনিবার ফ্রাঙ্কফুর্ট এবং মাইনজের মধ্যবর্তী হোচাইম শহরে রেল লাইনের উপর থেকে তার মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়। পরে স্থানীয় পুলিশ মৃতদেহটি থমাস শেফারের বলে নিশ্চিত করে।
জানা যায়, প্যারামেডিকসের একটি দল প্রথমে রেল লাইনের উপর একটি মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে। তবে ক্ষতবিক্ষত হওয়ায় প্রাথমিকভাবে মৃতদেহটির পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারেন নি তারা। পরবর্তীতে মৃতদেহটি থমাস শেফারের বলে নিশ্চিত করে পুলিশ।
মুক্ত ক্যাম্পাস/এমআর