২০২০ সালে সব হজযাত্রীর ইমিগ্রেশন ঢাকায়

নিজস্ব প্রতিবেদক
সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০১৯ | ১২:৫৫ পূর্বাহ্ণ | 283 বার পঠিত

২০২০ সালে বাংলাদেশের সব হজযাত্রীর ইমিগ্রেশন ঢাকার আশকোনা হজ ক্যাম্পে সম্পন্ন করা হবে বলে জানিয়েছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আবদুল্লাহ। মক্কা রুট ইনিশিয়েটিভের আওতায় এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। এ  জন্য আশকোনার হজ ক্যাম্পের সম্প্রসারণ ও সংস্কার কার্যক্রম শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী। ফলে সৌদি আরবে গিয়ে হজযাত্রীদের আর ইমিগ্রেশন করতে হবে না। আগের মতো ভোগান্তি থেকেও রক্ষা পাবেন যাত্রীরা।

রবিবার (২৭ অক্টোবর) হজ ক্যাম্প সম্প্রসারণ ও সংস্কার কার্যক্রম–সংক্রান্ত সভায় সংশ্লিষ্টদের তিনি এ নির্দেশ দেন।

জানা গেছে, হজযাত্রীদের ভোগান্তি এড়াতে ২০১৯ সালে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে রুট টু মক্কা কর্মসূচি চালু করে সৌদি সরকার। গেলবার এ কর্মসূচির অধীনে বাংলাদেশের প্রায় অর্ধেক হজযাত্রী সৌদি আরব অংশের ইমিগ্রেশন জেদ্দার পরিবর্তে ঢাকায় সম্পন্ন করেন। আগে হজযাত্রীদের ইমিগ্রেশন হতো সৌদি আরবের জেদ্দায়। আর সেখানে হওয়ার কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হতো বাংলাদেশি হজযাত্রীদের।

জানা গেছে, ২০২০ সালে বাংলাদেশি সব হজযাত্রীদের সৌদি আরব অংশের ইমিগ্রেশন বাংলাদেশে যাতে সম্পন্ন করা যায় সেজন্য ঢাকার আশকোনা হজক্যাম্প সম্প্রসারণ ও সংস্কার করা হচ্ছে। সংস্কারকাজ এগিয়ে নিতে ধর্মপ্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আব্দুল্লাহর সভাপতিত্বে রবিবার সকাল ১১টায় আশোকনা হজক্যাম্পে ‘হজ ক্যাম্প সম্প্রসারণ ও সংস্কার কার্যক্রম’ সংক্রান্ত এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় ২০২০ সালে বাংলাদেশের সকল হজযাত্রীর ইমিগ্রেশন যাতে ঢাকায় করা যায় সেজন্য আশকোনার হজ ক্যাম্পের সম্প্রসারণ ও সংস্কার কার্যক্রম শুরু করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী।

প্রতিমন্ত্রী এ সময় বলেন, ‘২০০৯ সাল থেকে বাংলাদেশি হজযাত্রীর সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০০৯ সালে যেখানে বাংলাদেশি হজযাত্রীর সংখ্যা ছিল ৫৮ হাজার ৬২৮, সেখানে ২০১৯ সালে হজযাত্রীর সংখ্যা এক লাখ ২৬ হাজার ৯২৩ জনে বৃদ্ধি পেয়েছে। এ বছর রাজকীয় সৌদি সরকারের ‘মক্কা রুট ইনিসিয়েটিভ’ কর্মসূচির অধীনে প্রায় অর্ধেক হজযাত্রীর সৌদি আরব অংশের ইমিগ্রেশন জেদ্দার পরিবর্তে ঢাকায় সম্পন্ন হয়েছে। তবে ২০২০ সালে সব হজযাত্রীকে এ কর্মসূচির অধীনে আনা হবে।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ভবিষ্যতে বাংলাদেশি হজযাত্রীর সংখ্যা যেমন বৃদ্ধি পাবে একইসঙ্গে এ সংক্রান্ত কার্যক্রমও বাড়বে। তাই এখন থেকে হজ ক্যাম্প সম্প্রসারণ ও সংস্কার সংক্রান্ত কার্যক্রম গ্রহণ করা প্রয়োজন। ২০১৯ সালে মোট ৩৬৬টি হজ ফ্লাইট পরিচালিত হয়। সৌদি এয়ারলাইন্স এর মাধ্যমে পরিচালিত হজযাত্রীদের মধ্যে যারা হজ করতে গেছেন তাদেরকে লাগেজ ট্যাগ গ্রহণ ও ইমিগ্রেশন নিয়ে বিড়ম্বনার সম্মুখিন হতে হয়েছে। তাই ২০২০ সালের সকল হজযাত্রীদের বাংলাদেশ অংশের ইমিগ্রেশন হজ ক্যাম্পে করার পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। ’

এসময় ধর্ম সচিব মো. আনিছুর রহমান, হজ অফিস, ঢাকা, সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ, পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন অধিদপ্তর, গণপূর্ত অধিদপ্তর, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, হজ্জ এজেন্সিজ অ‌্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) এবং অন্যান্য প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

মুক্ত ক্যাম্পাস/এমআর

পূর্ববর্তী নিবন্ধরাবিকে পরাজিত করে জাবি ছাত্রী হ্যান্ডবল টিমের জয়
পরবর্তী নিবন্ধময়মনসিংহে আগুনে পুড়ে গেছে দোকান