মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত

অনলাইন ডেস্ক
বুধবার, ২০ মে ২০২০ | ৮:৫২ পূর্বাহ্ণ | 172 বার পঠিত

ঘূর্ণিঝড় আম্ফান আছড়ে পড়েতে শুরু করেছে বাংলাদেশ উপকূলে। এ কারণে মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

আজ বুধবার (২০ মে) সকাল থেকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের পরিবর্তে এ দুই সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে হয়েছে। এই দুটি বন্দরের আশপাশের অঞ্চলও ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে বলেও জানায় আবহাওয়া অফিস।

উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোও এই ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বুধবার সন্ধ্যার মধ্যে সুন্দরবনের কাছ দিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান।

সুপার সাইক্লোন কেন্দ্রের ৮৫ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ২২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ঘূর্ণিঝড় আম্পানের কারণে বুধবার সকাল ৬টা থেকে মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এছাড়া চট্রগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে দেখাতে বলা হয়েছে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত।

আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে,’আম্পান’ বুধবার সকাল ৬টায় চট্রগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ৫৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর থেকে ৫৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মংলা বন্দর থেকে ৩৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা বন্দর থেকে ৪১০ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছিল।

এদিকে বাংলাদেশের উপকূলের দিকে ধেয়ে আসা ‘সুপার সাইক্লোন’ আম্পানের কারণে বুধবার ভোর ৬টা থেকে মহাবিপদ সংকেত দেখানো হবে বলে জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান।

মঙ্গলবার বিকেলে সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। তিনি বলেন, ২০ মে ভোর ৬টায় বাংলাদেশ উপকূল দিয়ে ঘূর্ণিঝড়টি প্রবেশ করবে।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের কারণে কক্সবাজার উপকূলজুড়ে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত মাইকিং করে মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে আসার আহ্বান জানালেও বেশিরভাগ মানুষ তাতে সাড়া দেননি।

কক্সবাজারের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রদীপ কুমার গোস্বামী জানান, কক্সবাজারের ৫৯৬ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ এর মধ্যে ৮০০ মিটার এখনো খোলা। ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে ১৭৩০ মিটার। ৫ টি স্থানে কাজ চলছে। ঘূর্ণিঝড় আম্পানেও বেড়িবাঁধ খোলা থাকায় উপকূলের বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

আবহওয়ার সর্বশেষ বুলেটিনে দেখা যায়, ঘূর্ণিঝড়টি উত্তর পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে।

এটি আরও উত্তর- উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে খুলনা এবং চট্টগ্রামের মধ্যবর্তী অঞ্চল দিয়ে ২০ মে বিকেল বা সন্ধ্যার মধ্যে বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

মুক্ত ক্যাম্পাস/এমআর

পূর্ববর্তী নিবন্ধঘূর্ণিঝড় আম্পানের শক্তি কমেছে
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রাম-কক্সবাজারে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত