৪৯ তম বিজয় দিবস উদযাপন করেছে হামদর্দ

মুক্ত ক্যাম্পাস প্রতিবেদক
শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০১৯ | ১:৫৮ অপরাহ্ণ | 217 বার পঠিত
৪৯ তম বিজয় দিবস উদযাপন করেছে হামদর্দ

যথাযোগ্য মর্যাদায় ৪৯ তম মহান বিজয় দিবস উদযাপন করেছে দেশের সেরা ইউনানী ঔষধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান হামদর্দ ল্যাবরেটরীজ (ওয়াককফ) বাংলাদেশ। এ উপলক্ষ্যে ২০ ডিসেম্বর রাজধানীর রূপায়ন ট্রেড সেন্টারে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। হামদর্দের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান কাজী গোলাম রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক খাদ্য মন্ত্রী এডভোকেট কামরুল ইসলাম।

এসময় বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে বঙ্গবন্ধু ও মহান মুক্তিযোদ্ধাদের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন হামদর্দের এমডি ও বাংলাদেশের আধুনিক হামদর্দের রূপকার ড. হাকিম ইউছুফ হারুন ভূঁইয়া।রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন লক্ষ্মীপুর পৌর সভার মেয়র আলহাজ্ব আবু তাহের। এছাড়াও আরও আলোচনা করেন হামদর্দের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য বৃন্দ।

অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের আত্মার শান্তি কামনায় এবং দেশ ও জাতীর কল্যাণ কামনায় দোয়া করা হয়।

উল্লেখ্য, মানবতার সেবা ও কল্যাণের জন্য সর্বশক্তিমান আল্লাহর প্রতি উৎসর্গীকৃত একটি ইসলামিক ট্রাস্ট, একটি ওয়াকফ প্রতিষ্ঠান। হামদর্দ একটি ফারসি শব্দ, যার ব্যাপক অর্থ- ‘একজন যে অন্যের শারীরিক ও মানসিক ক্লেশ ও ব্যথা ভাগ করে নেয় এবং তার ব্যথায় ব্যথিত হয় এবং দুর্গতদের দুঃখমোচন করে।’ এই মূল ধারণার ওপর ভিত্তি করে ১৯০৬ সালে হাকীম আব্দুল মজিদ (১৮৮৩-১৯২২) কর্তৃক ভেষজ ঔষধাদি (ইউনানি) তৈরির প্রতিষ্ঠান হিসেবে হামদর্দ দিল্লিতে প্রতিষ্ঠিত হয়।

১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পর হাকিম আব্দুল মজিদের সর্বকনিষ্ঠ পুত্র হাকিম মোহাম্মদ (১৯২০-১৯৯৮) ১৯৪৮ সালে পাকিস্তানে হামদর্দ প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৫৬ সালে ঢাকা ও চট্টগ্রামে দুটি বিক্রয় কেন্দ্র খোলার মাধ্যমে তিনি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান, বর্তমান বাংলাদেশে হামদর্দ কর্মকান্ড প্রসারিত করেন। এভাবে হামদর্দ সমস্ত উপমহাদেশে একটি পরস্পর সম্বন্ধযুক্ত কর্মকান্ডের বন্ধনে পরিণত হয়। বিভিন্ন ধরনের স্থানীয় ঔষধ প্রস্ত্তত করতে ১৯৭২ সালে হামদর্দ ল্যাবরেটরিজ (ওয়াকফ) ঢাকার তেজগাঁও এলাকায় প্রতিষ্ঠিত হয়। নিজস্ব গবেষণা ও উন্নয়ন ল্যাবরেটরিসহ এটি দেশে ইউনানি ঔষধের সর্ববৃহৎ প্রস্ততকারকে পরিণত হয়েছে। বিদ্যমান ঔষধের মান উন্নততর করতে এবং নতুন ঔষধ উদ্ভাবনের জন্য প্রতিষ্ঠানটি গবেষণা অব্যাহত রেখেছে। এই সংস্থা গবেষণা-বক্তৃতা, সেমিনার ও সম্মেলন আয়োজন এবং জার্নাল ও পুস্তক প্রকাশ করে। এসবের ফলে ইতোমধ্যে হামদর্দ বিশ্বপরিসরে পরিচিতি অর্জন করে।

মুক্ত ক্যাম্পাস/জেডআর

পূর্ববর্তী নিবন্ধশেখ হাসিনা সভাপতি, কাদের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত
পরবর্তী নিবন্ধআ’লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হলেন যারা