বাংলাদেশের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হলো। উন্মোচিত হলো যোগাযোগের নতুন দিগন্ত। এ যেন বাঙালির স্বপ্ন ও সাহসের জয়। সেই সঙ্গে খুলে গেলো আরও শত সহস্র স্বপ্নের দুয়ার। দেশের বৃহত্তম যোগাযোগ অবকাঠামো স্বপ্নের এই পদ্মা সেতু উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্য দিয়ে শুরু হলো স্বপ্নের সেতুর স্বপ্নযাত্রা, খুলল দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে সড়কপথে যোগাযোগের দুয়ার। স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধন, খুলল দক্ষিণের দুয়ার।
আজ শনিবার বেলা ১২টায় প্রমত্তা পদ্মার বুকে বাঙালির গর্ব ও অহঙ্কারের প্রতীক, বহু কাঙ্ক্ষিত স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিশিষ্টজনসহ সবাই বলছেন, নিজেদের টাকায় তৈরি পদ্মা সেতু দেশের উন্নয়নে নতুন দিগন্তের সূচনা করবে। অবসান হবে দীর্ঘদিনের যোগাযোগের ভোগান্তি। একই সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারিত হবে। অবহেলিত দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে গড়ে উঠবে শিল্প-কারখানা। ঘুচবে বেকারত্বের অভিশাপ।
স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধন, খুলল দক্ষিণের দুয়ার
শনিবার (২৫ জুন) বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে টোলপ্লাজার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন তিনি। সেখানে টোল দিয়ে মাওয়া প্রান্তে উদ্বোধনী ফলক ও ম্যুরাল-১ উন্মোচন করে মোনাজাতে অংশ নেন। এর মাধ্যমেই খুলে যায় দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে ঢাকার যোগাযোগের সড়ক পথের দ্বার।
এর আগে সেতুর উদ্বোধন করতে সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে তিনি হেলিকপ্টারে করে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে পৌঁছান। সেখানে বেলা পৌনে ১১টায় সুধী সমাবেশে বক্তব্য দেন।
ভাষণ শেষে সেতুর উদ্বোধন চত্বরের দিকে যাত্রা করেন। এ সময় টোল প্লাজায় তিনি তার গাড়ির টোল পরিশোধ করেন। পরে সেতুর উদ্বোধন মঞ্চে পৌঁছে দেশ ও জাতির জন্য দোয়া করেন। দোয়া শেষে সেতুর উদ্বোধন ফলক উন্মোচন করেন।
ফলক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে মঞ্চে আসেন তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। আরও আসেন পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর পদত্যাগে বাধ্য হওয়া সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন ও মোশাররফ হোসেন ভূঁইঞা।
উদ্বোধনের পর শেখ হাসিনা সমবেত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে স্লোগান দেন ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’। সমাবেশস্থলে আসা নেতাকর্মীরা এ সময় সমস্বরে সেই স্লোগানে কণ্ঠ মেলান। এরপর মেয়ে সায়মা ওয়াজেদকে নিয়ে ফলক মঞ্চে ছবি তুলেন প্রধানমন্ত্রী।
তথ্যমতে, বাংলাদেশের বুকে সবচেয়ে বড় অবকাঠামোর নাম পদ্মা সেতু। ৬ দশমিক এক পাঁচ কিলোমিটারের সেতুটি ঢাকা বিভাগের দুই জেলা মুন্সীগঞ্জ আর শরিয়তপুরকে সংযুক্ত করেছে। সেতুর ডাঙার অংশ যোগ করলে মোট দৈর্ঘ্য ৯ কিলোমিটার। স্টিল আর কংক্রিটের তৈরি দ্বিতল সেতুর ওপরের স্তরে রয়েছে চার লেনের সড়ক আর নিচে একক রেল পথ।
Padma Bridge world’s 122nd longest bridge
বিশ্বের খড়স্রোতা নদীর তালিকায় আমাজনের পরেই পদ্মার অবস্থান। এমন খরস্রোতা নদীর ওপর বিশ্বে সেতু হয়েছে মাত্র একটি। তাই সেতুকে টেকসই করতে নির্মাণের সময় বিশেষ প্রযুক্তির পাশাপাশি উচ্চমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়। পদ্মা সেতুর পিলার সংখ্যা ৪২ আর স্প্যান ৪১টি। খুটির নিচে সর্বোচ্চ ১২২ মিটার গভীরে স্টিলের পাইল বসানো হয়। অর্থাৎ প্রায় ৪০ তলা ভবনের উচ্চতার গভীরে পাইল নিয়ে যেতে হয়। বিশ্বে এখন পর্যন্ত কোনো সেতুর জন্য এত গভীর পাইলিং হয়নি।
পদ্মা সেতুতে রয়েছে অত্যাধুনিক সিসি ক্যামেরা। সাধারণ আলোক সুবিধার পাশাপাশি সেতুতে রয়েছে আলোকসজ্জা ও সৌন্দর্য বর্ধনে রয়েছে আর্কিটেকচার লাইটিং। স্বাভাবিক সময়ে নদীর পানি থেকে সেতুর উচ্চতা প্রায় সাত ফুট। এর নিচ দিয়ে পাঁচ তলা উচ্চাতার নৌযান চলাচল করতে পারবে। ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা বহুমুখী সেতু রাজধানী ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য বড় শহরের সঙ্গে দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার সড়ক ও রেল যোগাযোগ স্থাপন করবে।
পদ্মা সেতু দক্ষিণ এবং পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার উন্নয়নের সঙ্গে দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
জানা-অজানা পদ্মা সেতু :
১. প্রশ্নঃ পদ্মা সেতুর প্রকল্পের নাম কী?
উত্তরঃ পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প।
২. প্রশ্নঃ পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য কত?
উত্তরঃ ৬.১৫ কিলোমিটার।
৩. প্রশ্নঃ পদ্মা সেতুর প্রস্থ কত?
উত্তরঃ ৭২ ফুটের চার লেনের সড়ক।
৪. প্রশ্নঃ পদ্মা সেতুতে রেললাইন স্থাপন হচ্ছে কোথায়?
উত্তরঃ নিচ তলায়।
৫. প্রশ্নঃ পদ্মা সেতুর ভায়াডাক্ট কত কিলোমিটার?
উত্তরঃ ৩.১৮ কিলোমিটর।
৬. প্রশ্নঃ পদ্মা সেতুর সংযোগ সড়ক কত কিলোমিটার?
উত্তরঃ দুই প্রান্তে ১৪ কিলোমিটার।
৭. প্রশ্নঃ পদ্মা সেতু প্রকল্পে নদীশাসন হয়েছে কত কিলোমিটার?
উত্তরঃ দুই পাড়ে ১২ কিলোমিটার।
৮. প্রশ্নঃ পদ্মা সেতু প্রকল্পে মোট ব্যয় কত?
উত্তরঃ ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৩৮ লাখ ৭৬ হাজার টাকা।
৯. প্রশ্নঃ পদ্মা সেতু প্রকল্পে নদীশাসন ব্যয় কত?
উত্তরঃ ৮ হাজার ৭০৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা।
১০. প্রশ্নঃ পদ্মা সেতু প্রকল্পে জনবল কতজন?
উত্তরঃ প্রায় ৪ হাজার।
১১. প্রশ্নঃ পদ্মা সেতুর ভায়াডাক্ট পিলার কয়টি?
উত্তরঃ ৮১টি।
১২. প্রশ্নঃ পানির স্তর থেকে পদ্মা সেতুর উচ্চতা কত?
উত্তরঃ ৬০ ফুট।
১৩. প্রশ্নঃ পদ্মা সেতুর পাইলিং গভীরতা কত?
উত্তরঃ ৩৮৩ ফুট।
১৪. প্রশ্নঃ প্রতি পিলারের জন্য পাইলিং কয়টি?
উত্তরঃ ৬টি।
১৫. প্রশ্নঃ পদ্মা সেতুর মোট পাইলিং সংখ্যা কত?
উত্তরঃ ২৬৪টি।
১৬. প্রশ্নঃ পদ্মা সেতুতে কী কী থাকবে?
উত্তরঃ গ্যাস, বিদ্যুৎ ও অপটিক্যাল ফাইবার লাইন পরিবহন সুবিধা।
১৭. প্রশ্নঃ পদ্মা সেতুর ধরন কেমন?
উত্তরঃ দ্বিতলবিশিষ্ট এই সেতু কংক্রিট আর স্টিল দিয়ে নির্মিত হবে।
১৮. প্রশ্নঃ পদ্মা সেতুর পিলার সংখ্যা কত?
উত্তরঃ ৪২টি।
১৯. প্রশ্নঃ পদ্মা সেতু প্রকল্পে চুক্তিবদ্ধ কোম্পানির নাম কী?
উত্তরঃ চায়না রেলওয়ে গ্রুপ লিমিটেড।
২০. প্রশ্নঃ পদ্মা সেতু দক্ষিনের কয়টি জেলাকে যুক্ত করবে?
উত্তরঃ সরাসরি সড়কপথে যুক্ত হবে দক্ষিণ জনপদের ২১ জেলা।
২১. প্রশ্নঃ পদ্মা সেতু হলে দেশের আর্থিক প্রবৃদ্ধি কত শতাংশ বাড়বে?
উত্তরঃ এই সেতু হলে দেশের আর্থিক প্রবৃদ্ধি ১.২ শতাংশ বাড়বে, প্রতিবছর ০.৮৪ শতাংশ হারে দারিদ্র্য বিমোচন হবে।
২২. প্রশ্নঃ পদ্মা সেতু বিশ্বের কততম দীর্ঘতম সেতু?
উত্তরঃ পদ্মা সেতু বিশ্বে ১২২তম সেতু।
২৩. প্রশ্নঃ পদ্মা সেতু চুক্তি স্বাক্ষরের তারিখ কত?
উত্তরঃ চুক্তি স্বাক্ষরের তারিখ : জুন ১৭, ২০১৪।
২৪. প্রশ্নঃ পদ্মা সেতু কার্যাদেশ প্রদানের তারিখ কত?
উত্তরঃ কার্যাদেশ প্রদানের তারিখ : নভেম্বর ২৬, ২০১৪।
পদ্মা সেতু সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন :
১। পদ্মা সেতুর প্রথম স্প্যানটি বসানো হয় কবে ?
উত্তরঃ ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর
২। মোট স্প্যান কতটি ?
উত্তরঃ ৪১ টি
৩। মোট পিলার কতটি ?
উত্তরঃ ৪২ টি
৪। প্রথম স্প্যানটি বসানো হয় কোথায়?
উত্তরঃ ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুটির/পিলারের উপর
৫। শেষ/৪১ তম স্প্যানটি বসানো হয় কোথায় ?
উত্তরঃ ১২ ও ১৩ নম্বর খুটির উপরে
৬। সংযোগ স্থাপন করে কতটি জেলার সাথে?
উত্তরঃ মোট ২৯ টি জেলার সাথে ,দক্ষিণ ও দক্ষিণ পশ্চিমের ২১ টি জেলার সাথে।
৭। ৪১ টি স্প্যান বসাতে সময় লাগে কতদিন?
উত্তরঃ ৩ বছর ২ মাস ১০ দিন।
৮। সেতুর মোট দৈর্ঘ্য কত ?
উত্তরঃ ৯.৩৩ কি.মি .(৩. ১৮ কি.মি . সংযোগ সড়কসহ)
9। শুধু সেতুটির দৈর্ঘ্য কত?
উত্তরঃ ৬ .১৫ কি.মি .
১০। ৪১ তম স্প্যান বসে কবে ?
উত্তরঃ ১০ ডিসেম্বর ২০২০
১১। প্রতিটি স্প্যানের দৈর্ঘ্য কত ?
উত্তরঃ ১৫০ মিটার।
১২। সংযোগকারি স্থানসমূহ কি কি ?
উত্তরঃ মুন্সিগঞ্জের মাওয়া এবং শরিয়তপুরের জাজিরা।
১৩। যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয় কবে?
উত্তরঃ ২০২২ সালের ২৫ জুন।
পদ্মা সেতু যেসব দিক দিয়ে সেরা :
১৪। বাংলাদেশের দীর্ঘতম সড়ক সেতু-পদ্মা সেতু
১৫। এর আগে দীর্ঘতম সড়ক সেতু ছিলো-যমুনা সেতু
১৬। বাংলাদেশের দীর্ঘতম রেল সেতু -হার্ডিঞ্জ ব্রিজ
১৭। নদীর উপর নির্মিত বিশ্বের প্রথম দীর্ঘতম সেতু-পদ্মা সেতু
১৮। পদ্মা সেতুর কাজ শুরু হয়েছিলো – ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে
১৯।প্রতিটি স্প্যানের ওজন -৩২০০ টন
২০। পদ্মা সেতুর শেষ স্প্যান বসানো হয় যে দিবসে-বিশ্ব মানবাধিকার দিবস
২১। পদ্মা সেতুর প্রকল্পের নাম ‘পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প’।
২২। পদ্মা সেতুর ধরন দ্বিতলবিশিষ্ট। এই সেতু কংক্রিট আর স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে (যা বিশ্বে প্রথম)।
২৩। পদ্মা সেতু প্রকল্পে মোট ব্যয় (মূল সেতুতে) ৩০ হাজার ৭৯৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা।
২৪। পদ্মা সেতু নির্মাণে চুক্তিবদ্ধ কোম্পানির নাম চায়না রেলওয়ে গ্রুপ লিমিটেড এর আওতাধীন চায়না মেজর ব্রিজ কোম্পানি লিমিটেড।
২৫। পদ্মা সেতুতে থাকবে গ্যাস, বিদ্যুৎ ও অপটিক্যাল ফাইবার সংযোগ পরিবহন সুবিধা।
২৬। পদ্মা সেতুতে রেললাইন স্থাপন হচ্ছে স্প্যানের মধ্য দিয়ে।
২৭। পদ্মা সেতুর প্রস্থ হবে ৭২ ফুট, এতে থাকবে চার লেনের সড়ক। মাঝখানে রোড ডিভাইডার।
২৮। পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার।
২৯। পদ্মা সেতুর ভায়াডাক্ট ৩ দশমিক ১৮ কিলোমিটার।
৩০। পদ্মা সেতুর সংযোগ সড়ক দুই প্রান্তে (জাজিরা ও মাওয়া) ১৪ কিলোমিটার।
৩১। পদ্মা সেতু প্রকল্পে নদীশাসন হয়েছে দুই পাড়ে ১২ কিলোমিটার।
৩২। পদ্মা সেতু প্রকল্পে কাজ করছে প্রায় চার হাজার মানুষ।
৩৩। পদ্মা সেতুর ভায়াডাক্ট পিলার ৮১টি।
৩৪। পানির স্তর থেকে পদ্মা সেতুর উচ্চতা রয়েছে ৬০ ফুট।
৩৫। পদ্মা সেতুর পাইলিং গভীরতা ৩৮৩ ফুট।
৩৬। পদ্মা সেতুর মোট পিলারের সংখ্যা ৪২টি, স্প্যান ৪১টি।
৩৭। প্রতি পিলারের জন্য পাইলিং হয়েছে ৬টি। তবে মাটি জটিলতার কারণে ২২টি পিলারের পাইলিং হয়েছে ৭টি করে।
৩৮। পদ্মা সেতুর মোট পাইলিংয়ের সংখ্যা ২৮৬টি।
এছাড়া ও
মূল সেতুর নির্মাণ কাজের সমাপ্তি ঘোষণা কবে?
২২ জুন মূল সেতুর নির্মাণ কাজের সমাপ্তি ঘোষণা করে প্রকল্প কর্তৃপক্ষ।
রেল সংযোগ
পদ্মা সেতুতে রেললাইন স্থাপন হচ্ছে স্প্যানের মধ্য দিয়ে।
দাপ্তরিক নাম
পদ্মা সেতু।
সংযোগ সড়কের দৈর্ঘ্য
পদ্মা সেতুর সংযোগ সড়ক দুই প্রান্তে (জাজিরা ও মাওয়া) ১৪ কিলোমিটার।
সেতুর রক্ষণাবেক্ষণ
রক্ষণাবেক্ষণ করবে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ।
প্রিয় পাঠক, শিক্ষা ও ক্যারিয়ার বিষয়ক সর্বশেষ আপডেট পেতে মুক্ত ক্যাম্পাসের ফেসবুক পেজে লাইক দিন। লিঙ্ক : https://www.facebook.com/Muktocampus