রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম আব্দুস সোবহানের সব নিয়োগ স্থগিত করে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে ব্যবস্থা গ্রহণ না করা কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
আজ সোমবার (৬ অক্টোবর) বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়ার নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, চলতি বছরের ৬ মে উপাচার্য হিসেবে শেষ কার্যদিবস পালন করেন অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান। মেয়াদের শেষ দিনেই অ্যাডহকে নিয়োগ দেন ১৪১ জনকে। এর মধ্যে ৯ জন শিক্ষক, ২৩ জন কর্মকর্তা, ৮৫ জন নিম্নমান সহকারী এবং ২৪ জন সহায়ক কর্মচারী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন।
বিতর্কিত এই নিয়োগকে অবৈধ উল্লেখ করে ওইদিন সন্ধ্যায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এরপর ৮ মে তদন্ত কমিটি ক্যাম্পাসে এসে সাবেক উপাচার্য আব্দুস সোবহানসহ এই নিয়োগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কয়েকজন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এর আগে ৬ মে বিদায়ী উপাচার্যের অবৈধ নিয়োগের পর ওইদিন রাতেই ‘অবৈধ নিয়োগের বৈধতা পাওয়ার সুযোগ নেই’ উল্লেখ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
পরে এ ঘটনার তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীরকে আহ্বায়ক করে চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কমিটিকে এ অবৈধ নিয়োগের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে সুপারিশমূলক প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।
মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার আলোকে নিয়োগের ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করেছে তদন্ত দল। কমিটির প্রতিবেদনে নিয়োগের ঘটনায় প্রধান দায়ী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে ড. এম আব্দুস সোবহানকে। এ ঘটনায় প্রধান সহযোগী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে তার জামাতা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের প্রভাষক এটিএম শাহেদ পারভেজকে।
এছাড়া সংস্থাপন শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার ইউসুফ আলী, রেজিস্ট্রার শাখার সহকারী রেজিস্ট্রার তারিকুল আলম ও পরিষদ শাখার সহকারী রেজিস্ট্রার মামুন অর রশীদকে সহযোগী হিসেবে চিহ্নিত করেছে তদন্ত কমিটি।
উল্লেখ্য, অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান ২০১৭ সালের ৭ মে দ্বিতীয় মেয়াদে চার বছরের জন্য উপাচার্য হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তবে মেয়াদের প্রথম দিকে নিয়োগ যোগ্যতা কঠোর করা এবং পরে তা শিথিল করে মেয়ে ও জামাতাকে নিয়োগ দেওয়াসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে, যার প্রমাণও পায় ইউজিসির তদন্ত কমিটি।
প্রিয় পাঠক, শিক্ষা ও ক্যারিয়ার বিষয়ক সর্বশেষ আপডেট পেতে মুক্ত ক্যাম্পাসের ফেসবুক পেজে লাইক দিন। লিঙ্ক : https://www.facebook.com/Muktocampus