প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সোনার বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আমরা কাজ করছিলাম এবং এর সুফলও দেশবাসী পাচ্ছিল; কিন্তু হঠাৎ একটা আঘাত এলো। ভয়াবহ করোনাভাইরাসের কারণে দেশের অর্থনীতি থমকে দাঁড়িয়েছে। এর মোকাবিলায় বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে হচ্ছে।
আজ সোমবার (৪ঠা মে) সকালে রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলার কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে তিনি এ কথা বলেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, গোটা বিশ্ব এক অদৃশ্য শত্রুর মোকাবিলা করছে। করোনাভাইরাসে দেশের অর্থনীতি থমকে দাঁড়িয়েছে। এর প্রভাব পড়বে আগামীতেও। বৈশ্বিক সংস্থাগুলো এটাকে অর্থনৈতিক মহামারী হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।
তিনি বলেন, এ অবস্থা মোকাবিলা করে আমাদের এগিয়ে যেতে হচ্ছে। জনগণের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হচ্ছে। আমরা সাধারণ ছুটিসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি।
শেখ হাসিনা বলেন, যারা ধনী তাদের অগাধ সম্পদ, অনেকের অত্যধিক অস্ত্রশস্ত্র। সেই শক্তি সবই যেন দেখা গেছে ব্যর্থ। একটা অদৃশ্য শক্তি করোনাভাইরাস। সর্বশক্তিমান আল্লাহ কী খেলা দেখাচ্ছেন যার ফলে ধন-সম্পদ অর্থ কোনো কাজে লাগছে না। ধনী-দরিদ্র সবাই যেন একাকার হয়ে গেছে। এই অবস্থা মোকাবিলা করে আমাদের এগিয়ে যেতে হচ্ছে। আমাদের দেশবাসীকে সুরক্ষিত করা, মানুষের সুরক্ষিত নিশ্চিত করা এটাই হচ্ছে আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। এ জন্য আমরা নানা পদক্ষেপ নিচ্ছি। ধীরে ধীরে শিল্প-কারখানা খুলে দিচ্ছি। সেখানে নিজেকে সুরক্ষিত রেখে, স্বাস্থ্য সুরক্ষা করে মেনে চলবেন।
সবাইকে রমজানের শুভেচ্ছা জানিয়ে এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাস মারাত্মক আকারে দেখা দিয়েছে এবং সারাবিশ্বে হাজার হাজার মানুষ মারা গেছে। এরমধ্যে প্রবাসী বাংলাদেশিরাও আছেন। মরহুম সবার আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।
মুখে মাস্ক পরার অনুরোধ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাস্ক সবসময় ব্যবহার করা একান্তভাবেই জরুরি।
সোমবার বেলা ১১টায় গণভবনে এ ভিডিও কনফারেন্স শুরু হয়। রংপুর বিভাগের জেলাগুলো হচ্ছে- পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, নীলফামারি, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, রংপুর ও গাইবান্ধা।
আমাদের সাথে ফেসবুক পেজে কানেক্ট থাকুন: মুক্তক্যাম্পাস
মুক্ত ক্যাম্পাস/টিআর