সিনহাকে এক-দুই মিনিটেই হত্যা করা হয়: র‌্যাব

অনলাইন ডেস্ক
শনিবার, ২২ আগস্ট ২০২০ | ১:৩৬ পূর্বাহ্ণ

অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা হত্যার ঘটনা ঘটেছে মাত্র দুই মিনিটের মধ্যে। শুক্রবার (২১ আগস্ট) টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর এপিবিএন চেকপোস্টে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এ তথ্য জানিয়েছেন র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল তোফায়েল।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তিনি জানান, এক বা দুই মিনিটের মধ্যে একটা ফায়ারিং পর্যন্ত চলে যাওয়ার ঘটনা কোন পরিপ্রক্ষিতে যেতে পারে, সেজন্য চেকপোস্টের প্রত্যেকটা পয়েন্ট এবং ব্যারিকেড থেকে ব্যারিকেডের দূরত্ব, এছাড়াও প্রত্যক্ষদর্শীদের সাথে দূরত্ব সরেজমিনে মাপা হবে। এরপর একটা ধারণা তৈরি হবে। এই ঘটনাটা এক-দুই মিনিটের মধ্যে ঘটেছে। এক দুই মিনিটের মধ্যে প্রত্যেকটা গাড়ি চেক করা, পরিচয় জানতে চাওয়া এবং কোন অবস্থার পরিপ্রক্ষিতে গুলিটা হয়েছিলো; এই ঘটনা বের করতে হলে প্রত্যেকটা সেকেন্ডকে বিশ্লেষণ করতে হবে।

তারিখ ভিন্ন। মূল ঘটনার তিন সপ্তাহ পর। আর সময় রাতের বদলে দুপুর। প্রকৃত ঘটনার সাড়ে সাত ঘণ্টা আগে। কেন পুলিশ মেজর সিনহার ওপর গুলি চালিয়েছিল সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে করা হলো সেই ঘটনার পুনর্নির্মাণ। প্রথমে হাজির করা হয় ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলীকে। যার বাইকে ছড়ে ঘটনাস্থলে হাজির হয়েছিলেন এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিত। পুলিশের করা মামলার বাদী নন্দদুলাল বেশ সাবলীল এবং আত্মবিশ্বাসের সাথে সেদিনের ঘটনার বিবরণ দেন তদন্ত কর্মকর্তাকে। ৩১ জুলাই রাতে শামলাপুর চেকপোস্টে ভেরিকেটগুলো এবং সিনহা রাশেদের গাড়ির অবস্থান কেমন ছিল তাও দেখিয়ে দেন তিনি।

তিনি জানান, ইন্সপেক্টর লিয়াকত গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে অস্ত্র তাক করে গাড়ির দুই যাত্রীকে হাত উপরে তুলে নামার নির্দেশ দেন।

নন্দদুলালের পর হাজির করা হয় সিনহা রাশেদের ওপর গুলি বর্ষণকারী ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলীকে। লিয়াকত কোথায় দাঁড়িয়ে, কেন গুলি ছুড়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তার এমন জিজ্ঞাসার জবাব দেন।

সবশেষ ঘটনাস্থলে নিয়ে আসা হয় টেকনাফ থানার তৎকালীন ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে। মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা সেদিনের বিষয়ে খুঁটিনাটি প্রশ্ন করেন ওসি প্রদীপকে। উত্তর দেয়ার সময় ওসি প্রদীপও ছিলেন সাবলীল ও আত্মবিশ্বাসী।

র‍্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক জানান, মেজর সিনহা পুলিশের গুলিতে নিহতের ঘটনা ঘটে মাত্র দুই মিনিটে। এ অল্প সময়ে কী এমন ঘটেছিল তা অনুসন্ধান করছেন তারা।

গত ৩১ জুলাই রাত ১০টার দিকে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর এপিবিএন চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা সিনহা মো. রাশেদ খান।

এ ঘটনায় নিহতের বোন শাহরিয়ার শারমিন ফেরদৌস বাদী হয়ে গত ৫ আগস্ট টেকনাফের সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ৯ পুলিশ সদস্যকে আসামি করে আদালতে মামলা করেন। মামলাটির তদন্ত ভার দেয়া হয়েছে র‍্যাবকে।

মুক্ত ক্যাম্পাস/রানা

পূর্ববর্তী নিবন্ধফের কমেছে স্বর্ণের দাম
পরবর্তী নিবন্ধপুলিশের এজহারের বিষয়টি সিসি ফুটেজ বলছে ভিত্তিহীন