সরকারি চাকরির বয়সে ২১ মাসের ছাড় আসছে

এমসি রিপোর্ট
সোমবার, ০৯ আগস্ট ২০২১ | ১১:১৬ পূর্বাহ্ণ
ফের একদিনেই ১৭ চাকরির পরীক্ষা
করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতির কারণে সরকারি চাকরি প্রার্থীদের জন্য বড় আকারে বয়স ছাড়ের চিন্তা করছে সরকার। গত বছরের ২৫ মার্চ থেকে চলতি বছরের পুরোটাই, অর্থাৎ ২১ মাস এই ছাড়ের আওতায় রাখার কথা ভাবা হচ্ছে। তবে সরকারি চাকরির বয়স ছাড়ের বিষয়টি  চূড়ান্ত হবে প্রধানমন্ত্রীর সম্মতির পর।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এসংক্রান্ত প্রস্তাব তৈরির কাজ চলছে। চলতি সপ্তাহের মধ্যে প্রস্তাবটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে উপস্থাপন করা হতে পারে। প্রধানমন্ত্রী সম্মতি দিলে শিগগিরই তা আনুষ্ঠানিকভাবে জানাবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

সিদ্ধান্ত হলে গত বছরের ২৫ মার্চের পর থেকে চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে যাঁদের সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ ছাড়িয়ে গেছে বা যাচ্ছে, তাঁরা এই ছাড়ের সুবিধা পাবেন। অন্যদিকে ২৫ মার্চের আগের জন্য যে সুযোগ দেওয়া হয়েছিল সেটি বহাল থাকবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

অবশ্য বয়স ছাড়ের আওতায় বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) পরীক্ষা অন্তর্ভুক্ত থাকছে না। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানিয়েছেন, করোনাকালেও বিসিএসের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। তাই বিসিএসকে এই সুযোগের আওতামুক্ত রাখা হয়েছে।

গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ার খবর দেয় সরকার। এই সংক্রমণ মোকাবেলায় ২৫ মার্চ থেকে টানা ৬৬ দিনের সাধারণ ছুটি ছিল। গত বছরের শেষের কয়েক মাস এবং চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত করোনা পরিস্থিতি অনেকটা সহনীয় ছিল। গত এপ্রিল থেকে আবার সংক্রমণ পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় নানা পর্যায়ে বিধি-নিষেধ জারি করা হয়। সর্বশেষ বিধি-নিষেধের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামীকাল ১০ আগস্ট।

এ বিষয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, গত বছরের ২৫ মার্চ থেকে শুরু করে সামনের যেকোনো একটি মাস পর্যন্ত সীমারেখা বেঁধে দেওয়ার চিন্তা চলছে। এই সীমা কত মাস হবে, সেটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাব তৈরির কাজ চলছে। চলতি সপ্তাহের মধ্যে প্রস্তাবটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে উপস্থাপন করা হতে পারে। প্রধানমন্ত্রী সম্মতি দিলে শিগগিরই তা আনুষ্ঠানিকভাবে জানাবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। তবে প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি সাপেক্ষে বয়স ছাড় দেওয়া হলেও এই সুবিধার আওতায় কত দিন পর্যন্ত চাকরির বিজ্ঞাপন দেওয়া যাবে তা স্পষ্ট জানা যায়নি।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা সূত্রে জানা গেছে , গত বছরের আদলেই এই বছরও বয়স ছাড় দিয়ে আদেশ জারির প্রস্তুতি চলছিল। কিন্তু গত দেড় বছরে দফায় দফায় সাধারণ ছুটি, বিধি-নিষেধ বা লকডাউনের আওতায় ছিল দেশ। দীর্ঘ সময়ের এই বেড়াজালের কারণে আগেরবারের মতো বয়স ছাড়ের নির্দেশনা দেওয়া খুবই জটিল বিষয় হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তাই করোনাকালীন পরিস্থিতি শুরুর দিন অর্থাৎ গত বছরের ২৫ মার্চ থেকে চলতি বছরের পুরোটাই অর্থাৎ ২১ মাস পূর্ণাঙ্গ ছাড় দেওয়ার চিন্তা করছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ ছাড়িয়ে গেছে বা যাচ্ছে, তাঁরা এই ছাড়ের সুবিধা পাবেন।

করোনায়  সরকারি চাকরিতে প্রবেশে বয়স ছাড়ের সুযোগ দিয়ে গতবছরের সেপ্টেম্বরে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জারি করা আদেশে বলা হয়েছিল, ওই বছরের ২৫ মার্চ তারিখের আগে যেসব সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরির বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার জন্য সব প্রস্তুতির পর ছাড়পত্র নেওয়া হয়েছিল, শুধু সেসব ক্ষেত্রে বয়স ছাড়ের সুযোগ মিলবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় উজ্জ্বল ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ
পরবর্তী নিবন্ধসেপ্টেম্বরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পরিকল্পনা সরকারের