ছাত্রদলের গুলিতে নিহত সনির নামে বুয়েটে হল : বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) বিদ্যমান একটি ছাত্রী হলের নাম পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। ওই ছাত্রী হলের নাম পরিবর্তন করে ছাত্রদলের গোলাগুলিতে নিহত মেধাবী ছাত্রী সাবেকুন নাহার সনির নামে করা হয়েছে। এছাড়া নব নির্মিত একটি ছাত্রী হলের নামও নির্ধারণ করা হয়েছে।
বুধবার (৩ নভেম্বর) বুয়েটের রেজিস্ট্রার (অ: দা:) অধ্যাপক ড. মো. ফোরকান উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, বুয়েটের নব নির্মিত ছাত্রী হল ও বিদ্যমান ছাত্রী হলের বিষয়ে গতকাল মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ৫২৬তম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নাম অনুমোদন করা হয়েছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নব নির্মিত ছাত্রী হলের নাম বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল আর বিদ্যমান ছাত্রী হলের নাম সাবেকুন নাহার সনি হল করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বুয়েট ছাত্রী সনির স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১০০টি ভবনের উদ্বোধন করবেন। এর মধ্যে বুয়েটের এ হলটিও অন্তর্ভুক্ত।
ছাত্র কল্যাণ দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমাদের আগে থেকেই একটি ছাত্রী হল ছিল। তবে এ হলটির কোন নাম ছিল না। আর সম্প্রতি নতুন আরেকটি হল হয়েছে। কিছুদিন পর এ হলটি প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন। তাই নতুন হলটির একটি নাম প্রয়োজন। সে হিসেবে সিন্ডিকেট দুইটি হলেরই নাম অনুমোদন করেছে।’
মিজানুর রহমান বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের দাবি অনুযায়ী আগের ছাত্রী হলটির নাম বুয়েটের শিক্ষার্থী সাবিকুন নাহার সনির নামেই রাখা হয়েছে। আর নতুন ছাত্রী হলের নাম অনুমোদন দেয়া হয়েছে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের নামে। তবে এটি বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্ট চূড়ান্ত অনুমোদন দিবেন।’
১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও হলটির কোন নাম না থাকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তখন আমি বুয়েটের ছাত্রও ছিলাম না। তাই আগের ইতিহাসটা আমার জানা নেই।
নেমপ্লেট লাগানো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গতকালই সিদ্ধান্তটা হয়েছে। আশা করছি কয়েকদিনের মধ্যে নেমপ্লেট লাগিয়ে ফেলতে পারব।
উল্লেখ্য, সাবিকুন নাহার সনি বুয়েটের কেমিকৌশল বিভাগের (৯৯ ব্যাচ) শিক্ষার্থী ছিলেন। ২০০২ সালের ৮ জুন টেন্ডারবাজিকে কেন্দ্র করে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের গোলাগুলির মধ্যে পড়ে সাবিকুন নাহার সনি নিহত হন।
সাবেকুন নাহার সনির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে সেসময় টানা আন্দোলন চলে বুয়েটে। দীর্ঘ ৬৩দিন বন্ধের পর ক্যাম্পাস খোলা হলে শান্তিপূর্ণ ভাবে আন্দোলনে নামেন বুয়েটের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। তাদের সেই আন্দোলনে দেশের সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন ছিল দেখার মতো।
প্রিয় পাঠক, শিক্ষা ও ক্যারিয়ার বিষয়ক সর্বশেষ আপডেট পেতে মুক্ত ক্যাম্পাসের ফেসবুক পেজে লাইক দিন। লিঙ্ক : https://www.facebook.com/Muktocampus