সংক্রমণ বাড়ায় চীনের শুলান শহর লকডাউন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মঙ্গলবার, ১২ মে ২০২০ | ১২:২২ অপরাহ্ণ

চীনের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় জিলিন প্রদেশের শুলান শহর আবারও লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। সেখানে নতুন করে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দেয়ার পর এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ খবর জানিয়েছে বিবিসির। শহরটিতে একদিনে এক লন্ড্রি থেকে ১১ জনের মধ্যে করোনা সংক্রমণ হয়েছে।

রবিবার শহরটিতে নতুন আরও ১১ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়, তাদের সবাই এক ধোপাখানার কোভিড-১৯ আক্রান্ত একজন নারীর স্বজন। ৪৫ বছর বয়সী ওই নারী লন্ড্রি কর্মীর মাধ্যমে প্রথমে তার পরিবারের মধ্যে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার ঘটনা ঘটে। তারপর ওই শহরে ১১ জন নতুন করে করোনাভাইরাস আক্রান্ত শনাক্ত হন। যাদের চীনের বাইরে ভ্রমণের কোনো ইতিহাস নেই।

ওই নারী থেকে সংক্রমণ ছড়িয়ে তার স্বামী, বোন ও পরিবারের আরও কয়েকজন সদস্য আক্রান্ত হয়েছেন বলে চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থার বরাত দিয়ে জানিয়েছে বিবিসি। এই পরিস্থিতিতে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ স্পোর্টিং ফ্যাসিলিটি, সিনিক এরিয়া, মুভি থিয়েটার ও লাইব্রেরিসহ সব জনসমাগম স্থান সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে। বিশেষ পরিস্থিতি ছাড়া সব বাসিন্দাদের বাড়িতে থাকতে বলা হয়েছে। এছাড়া স্কুলের ক্লাস অনলাইনে নেয়া হবে।

প্রাদেশিক কর্মকর্তারা রবিবার শুলান শহরে করোনাভাইরাসে ঝুঁকি মাত্রা উচ্চ হিসেবে পরিবর্তন করেছে। বর্তমানে এটিই চীনের একমাত্র শহর সেখানে করোনা ঝুঁকি উচ্চ হিসেবে পরিবর্তন করা হয়েছে।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা পুরো শহরের বাসিন্দাদের তদন্ত করবে এবং নতুন আক্রান্ত রোগীদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের খুঁজে বের করবে। নতুন এই আক্রান্তের ঘটনা নিয়ে চীনের সোশাল মিডিয়া সরব হয়ে উঠেছে। ওই নারী কীভাবে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলেন তা নিয়ে বিভিন্ন ধরনের জল্পনা শুরু হয়েছে। শুলান থেকে বলছেন বলে দাবি করা বেশ কয়েকজন ব্যবহারকারী জানিয়েছেন, ভাইরাসটি ‘প্রতিদিন আরও কাছে চলে আসছে’ বলে অনুভব করছেন তারা।

চীনের জিলিন প্রদেশের এই শহরটির পাশেই উত্তর কোরিয়ার সীমান্ত। উত্তর কোরিয়া তাদের দেশে কোনো করোনাভাইরাস আক্রান্ত নেই বলে দাবি করে আসছে। তবে, পর্যবেক্ষদের ধারণা, দেশটি প্রাদুর্ভাবের বিষয়টি গোপন করছে।

মুক্ত ক্যাম্পাস/জেডআর

পূর্ববর্তী নিবন্ধমেরকেলকে হিটলারের সঙ্গে তুলনা, মাল্টার রাষ্ট্রদূতের পদত্যাগ
পরবর্তী নিবন্ধআল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে রোজাদারের যা করা দরকার