শুভ বড়দিন আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক
বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৯ | ১১:৩৪ পূর্বাহ্ণ | 157 বার পঠিত
শুভ বড়দিন আজ

আজ (২৫ ডিসেম্বর) উদযাপিত হচ্ছে খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বড়দিন। শুভ বড়দিন খ্রিষ্টধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিস্ট বেথলেহেমে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের, সৃষ্টিকর্তার মহিমা প্রচার এবং মানবজাতিকে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত করতে যিশুর আগমন ঘটেছিলো।

অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের খ্রিষ্টধর্মানুসারীরাও যথাযথ ধর্মীয় আচার, আনন্দ-উৎসব ও প্রার্থনার মধ্য দিয়ে দিনটি উদযাপন করছেন। আজ সরকারি ছুটির দিন।

দিনটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তারা খ্রিষ্টধর্মের অনুসারীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি তাঁর বাণীতে বলেন, ‘বাংলাদেশ বিশ্বে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এখানে সবধর্মের মানুষ নিজ নিজ ধর্ম, আচার ও অনুষ্ঠানাদি স্বাধীনভাবে পালন করে আসছেন। বিদ্যমান সম্প্রীতির এই সুমহান ঐতিহ্যকে আরো সুদৃঢ় করতে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকলকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বড়দিনে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীসহ সকল নাগরিকের শান্তি কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করেন। তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধন অটুট রেখে ঐক্যবদ্ধভাবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলার আহবান জানান।

মূলত মঙ্গলবার রাত থেকেই দিনটিকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন গির্জায় বিশেষ প্রার্থনা শুরু হয়েছে। বড়দিনের উৎসব ঘিরে খ্রিষ্টান পরিবারে কেক তৈরিসহ নানা বিশেষ খাবারের আয়োজন চলছে।

রাষ্ট্রপতি পক্ষ থেকে বঙ্গভবনে ভোজের আয়োজন করা হবে। বাংলাদেশের আর্চবিশপ, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, কূটনীতিক, খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিবেন।

দিনটি উপলক্ষে অনেক খ্রিস্টান পরিবারে কেক তৈরি হয়েছে, রয়েছে বিশেষ খাবারের আয়োজন। দেশের অনেক অঞ্চলে ধর্মীয় গানের আসর বসবে। রাজধানীর তেজগাঁও ক্যাথলিক গির্জায় বড়দিনের বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে। গির্জা ও এর আশপাশে রঙিন বাতি জ্বালানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। গির্জার ভেতর সুসজ্জিত করা হয়েছে। ভেতরে সাজানো হয়েছে ক্রিসমাস ট্রি।

রাজধানীর পাঁচ তারকা হোটেলগুলোতেও সান্তা ক্লজ, ক্রিসমাসট্রি এবং আলোকসজ্জায় বড়দিনের বিশেষ আয়োজন করা হয়েছে। উৎসব ঘিরে খাবারেও বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থাও আছে।

দিনটি উপলক্ষে বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার ও অন্যান্য বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করছে।

মুক্ত ক্যাম্পাস/জেডআর

পূর্ববর্তী নিবন্ধপরিধানযোগ্য স্পিকার!
পরবর্তী নিবন্ধশীতের প্রকোপে সারাদেশের তাপমাত্রা কমেছে