শিক্ষামন্ত্রীর বৃহস্পতিবারের সংবাদ সম্মেলন স্থগিত

এমসি রিপোর্ট
বৃহস্পতিবার, ০৭ অক্টোবর ২০২১ | ১২:১১ পূর্বাহ্ণ
শিক্ষানীতি ২০১০ সংশোধনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। ফাইল ছবি

শিক্ষামন্ত্রীর বৃহস্পতিবারের সংবাদ সম্মেলন স্থগিত : শিক্ষা সংক্রান্ত সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করার কথা ছিল শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির। পরে তা স্থগিতের কথা জানায় মন্ত্রণালয়। বলা হয়, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির পূর্ব ঘোষিত সংবাদ সম্মেলন অনিবার্য কারণবসত স্থগিত করা হয়েছে।

এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, শিক্ষামন্ত্রীর শারীরিক অসুস্থতার কারণে সংবাদ সম্মেলন স্থগিত করা হয়েছে।

“মৌসুমি ফ্লু কারণে কিছুটা শারীরিক অসুস্থতা বোধ করছেন শিক্ষামন্ত্রী। এ কারণে সংবাদ সম্মেলন স্থগিত করা হয়েছে।”

এর আগে বুধবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে চক্ষু পরীক্ষা ক্যাম্প উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন শিক্ষামন্ত্রী। তার দুই দিন আগে শিক্ষামন্ত্রী নিজ জেলা চাঁদপুরে আওয়ামী লীগের কর্মসূচিতে অংশ নেন। সেখান থেকে ফিরে মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) সচিবালয়ে অফিসও করেন শিক্ষামন্ত্রী।

গত ১২ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি, পরীক্ষা এবং উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর হল খোলা ও ক্লাস শুরুর নানা দিক নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলতেন শিক্ষামন্ত্রী।

জানা গেছে, টিআইবির প্রকাশিত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে প্রতিবাদ জানাতে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে আসার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারণে সংবাদ সম্মেলন পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। আগামী সপ্তাহের শুরুতে শিক্ষামন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে আসতে পারেন বলেও জানা গেছে।

সম্প্রতি টিআইবির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শিক্ষাখাতের বিভিন্ন কাজে সাড়ে তিন লাখ থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত লেনদেন হয়। এসব নিয়মবহির্ভূত অর্থ আদায়ে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা, এমপিওভুক্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনার দায়িত্বে থাকা স্কুল ম্যানেজিং কমিটি (এসএমসি) ও কলেজ পরিচালনার দায়িত্বে থাকে গভর্নিং বডির (জিবি) সংশ্লিষ্টরা জড়িত বলে টিআইবির গবেষণায় উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানে এমপি বা প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তির হস্তক্ষেপে সভাপতি মনোনীত করা হয়। এতে অনেকাংশে যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনায় সম্পৃক্ত হতে পারে না, যা শিক্ষার মানোন্নয়নে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। কমিটির সভাপতি-সদস্য হওয়ার ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতার বাধ্যবাধকতা না থাকায় অনেক ক্ষেত্রে অক্ষরজ্ঞানহীন লোক কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত হয়। এতে শিক্ষকদের সঙ্গে কমিটির সদস্যদের কার্যক্রম পরিচালনায় বিভিন্ন সমস্যা ও দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়।

গবেষণায় আরও উঠে এসেছে, বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) কর্তৃক সুপারিশ করা সহকারী শিক্ষকের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যোগদানে ৫০ হাজার থেকে সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা পর্যন্ত লেনদেন হয়। সহকারী গ্রন্থাগারিক নিয়োগে দুই থেকে সর্বোচ্চ তিন লাখ টাকা পর্যন্ত লেনদেন হয়। এ টাকা দিতে হয় স্কুল ম্যানেজিং কমিটি ও কলেজ পরিচালনার দায়িত্বে থাকে গভর্নিং বডির সঙ্গে জড়িতদের।

প্রিয় পাঠক, শিক্ষা ও ক্যারিয়ার বিষয়ক সর্বশেষ আপডেট পেতে মুক্ত ক্যাম্পাসের ফেসবুক পেজে লাইক দিন। লিঙ্ক : https://www.facebook.com/Muktocampus

পূর্ববর্তী নিবন্ধসাত কলেজের পরীক্ষা কাঠামোয় পরিবর্তন
পরবর্তী নিবন্ধরসায়নে নোবেল পেলেন জার্মানি ও যুক্তরাষ্ট্রের ২ বিজ্ঞানী