শাবিপ্রবি ভিসিকে অপসারণের দাবিতে উত্তপ্ত সংসদ

এমসি রিপোর্ট
রবিবার, ২৩ জানুয়ারি ২০২২ | ৪:৪৫ অপরাহ্ণ

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ভিসিকে অপসারণ করার দাবি জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ ও পীর ফজলুর রহমান। আজ রবিবার (২৩ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে এ দাবি করেন তারা।

তারা বলেন, শিক্ষার্থীরা তাদের যৌক্তিক কারণেই আন্দোলন করছেন। তাদের ওপর যে হামলা হয়েছে, এতে আমরা নিন্দা জানাই। উপাচার্যকে আজকের মধ্যে প্রত্যাহার করে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফেরার পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে অনির্ধারিত আলোচনার সুযোগ নিয়ে শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ। তিনি বলেন, গত কয়েকদিন ধরে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ভাইস চ্যান্সেলরের বিরুদ্ধে, হাউজ টিউটরের (প্রোভোস্ট) বিরুদ্ধে আন্দোলন করে যাচ্ছেন।

তারা ১১ দিন ধরে অনশনে আছেন, ১৬ জনকে ইতোমধ্যে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কিন্তু এতে কারো টনক নড়ছে না। শিক্ষামন্ত্রী আছেন, উনি বলেছিলেন, তোমাদের দাবি দাওয়া নিয়ে ঢাকায় আসো আমার সঙ্গে আলোচনা করতে। আমরা সবাই ছাত্র আন্দোলন করে এসেছি, আন্দোলনের মাঠ ছেড়ে কখনও কোনো ছাত্ররা কারো সঙ্গে দেখা করতে ঢাকা আসবে না আমরা জানি। মন্ত্রীর উচিত ছিল ওখানে ডাবল মাস্ক পরে যাওয়া।

নিজের ছাত্রজীবনে আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে ফিরোজ রশিদ বলেন, মোনায়েম খান বহুবার আমাদের বঙ্গভবনে ডেকেছেন। আমরা তখন ছাত্র ছিলাম, আমরা বিয়ের দাওয়াত পেতাম না, আমাদের মিলাদের দাওয়াতও দিতো না। কিন্তু বঙ্গবভবনের দাওয়াতও কিন্তু আমরা প্রত্যাখ্যান করেছি। আমরা কখনও কোনো আন্দোলন করতে গিয়ে বঙ্গভবনের দাওয়াতে যাইনি। ছাত্ররা কেন আসবে আপনার কাছে। প্রত্যেকটা ছাত্র আন্দোলন এদেশে হয়েছে যৌক্তিকভাবে। যখনই যারা সরকারের থাকে সে আন্দোলনকে তারা অযৌক্তিক মনে করে।

কাজী ফিরোজ রশিদ বলেন, উপাচার্য কোনো স্থায়ী পদ না যে, সে চলে গেলে ওই বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যাবে। একটা উপাচার্যকে সরাতে গিয়ে শিক্ষার্থীরা যদি অনশন করে এর চেয়ে দুঃখজনক কিছু নেই। বুঝতে হবে তার ওপরে শিক্ষার্থীদের কোনো আস্থা নেই, বিশ্বাস নেই, কোনো ভালোবাসা নেই, শ্রদ্ধাবোধ নেই এবং থাকা উচিত না।

এ সময় শিক্ষামন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, উপাচার্যকে আজকের মধ্যেই ওখান থেকে প্রত্যাহার করে নিয়ে আসেন, ছাত্রদের ক্লাসে ফিরে যেতে সহায়তা করেন।

অন্যদিকে জাপার আরেক সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান বলেন, যে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ভিসিকে চায় না সেখানে তিনি লক্ষ্মীন্দরের বাসার মতো সুরক্ষা নিয়ে বসে আছেন। তিনি পদত্যাগ করবেন না। তিনি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলবেন না। স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করতে না চাইলে সরকারের উচিত আজকের মধ্যে তাকে অব্যহতি দেওয়া।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঅডিটর পরীক্ষা: প্রশ্নফাঁসের অভিযোগের পরও ফল প্রকাশ
পরবর্তী নিবন্ধবিদ্যালয় বন্ধ থাকলেও টিকা পাবে শিক্ষার্থীরা