লক্ষ্মীপুরে জব্দকৃত ৪২ বস্তা পেঁয়াজ নিলামে বিক্রি

বিএম সাগর, লক্ষ্মীপুর:
বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০১৯ | ৫:৫৯ অপরাহ্ণ | 110 বার পঠিত
লক্ষ্মীপুরে জব্দকৃত ৪২ বস্তা পেঁয়াজ নিলামে বিক্রি

লক্ষ্মীপুরে অদালতের নির্দেশনায় জব্দকৃত ৪২ বস্তা পেঁয়াজ নিলাম বিক্রি করা হয়েছে। সোমবার রাত ৭টার দিকে পৌর শহরের গেঞ্জি হাটা রোডে স্থানীয় প্রশাসনের উপস্থিতি এসব পেঁয়াজ বিক্রি করা হয়। নিলামে ৫ জন ব্যবসায়ী অংশগ্রহনে সর্বোচ্চ দর দিয়ে ৪২ বস্তা ক্রয় করেন স্থানীয় ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সফিউজ্জামান ভূঁইয়া, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শফিকুর রেদোয়ান আরাম শাকিল, বাজার নিয়ন্ত্রন কর্মকর্তা মনির হোসেন, বনিক সমিতি সহ-সভাপতি আজিজুর রহমান প্রমুখ।

জব্দকৃত ৪২ বস্তা প্রতি কেজি দেশীয় পেঁয়াজ ১শ টাকা এবং মিশরীয় পেঁয়াজ কেজি প্রতি ৭৬ টাকা করে করে মোট ১ লক্ষ ৭ হাজার ৭৮০ টাকা নিলাম বিক্রি করা হয়। তবে প্রতি কেজি পেঁয়াজে দুই টাকা লাভবানে বিক্রি করার নির্দেশনা দেন ভ্রাম্যমান আদালত।

প্রসঙ্গত, গত ১৬ নভেম্বর গোয়েন্দা সংস্থা এন এস আই এর তথ্যের ভিত্তিতে নিয়ম বহির্ভূত ভাবে পেঁয়াজ মজুদ রাখায় ১৬০০ কেজি (৪২ বস্তা) পিয়াজ জব্দসহ একটি গোডাউন সিলগালা করে দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

আরও পড়ুন

উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বরের শেষ থেকে অস্থির হয়ে উঠে পেঁয়াজের বাজার। ২৯ সেপ্টেম্বর পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করে ভারত। বাংলাদেশ আমদানির ক্ষেত্রে ভারতের ওপরই নির্ভরশীল। ফলে দেশের বাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে দাম বাড়তে থাকে। তখন দুই দিনের মধ্যে কেজিতে ৪০ থেকে ৫০ টাকা বেড়ে ১০০ টাকা ছাড়ায় দেশি পেঁয়াজের দাম। ভারতীয় পেঁয়াজও বিক্রি হতে থাকে ১০০ টাকার কাছাকাছি দরে। অবশ্য বাজার তদারকি ও হুজুগ শেষের পর দাম আবার কিছুটা কমে। তবে গত কয়েক দিন ধরে আবার লাগামহীন হয়ে পড়েছে পেঁয়াজের দাম।

টিসিবির সূত্রমতে, দেশে পেঁয়াজের বার্ষিক চাহিদা প্রায় ২৪ লাখ টন হলেও বার্ষিক উৎপাদন হয় ১৭ থেকে ১৯ লাখ টন। ফলে দেশের চাহিদা মেটানোর জন্য ৫ থেকে ৭ লাখ টন পেঁয়াজ বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। পেঁয়াজের বড় অংশ আমদানি করা হয় ভারত থেকে, যার পরিমাণ মোট আমদানির প্রায় ৯৫ শতাংশ। এছাড়া মিয়ানমার ও তুরস্ক থেকেও সংকট মোকাবেলায় পেঁয়াজ আমদানি করে বাংলাদেশ।

বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি সংকট নিরসনে ভূমিকা রাখলেও বংলাদেশের জন্য তা মূলত অস্থায়ী ব্যবস্থা। এ কারণে সংকট নিরসনে স্থায়ী পদক্ষেপ গ্রহণের উদ্যোগ জরুরি। উৎপাদন বৃদ্ধি, সংরক্ষণ ও বাজার ব্যবস্থাপনার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর ওপর জোর দেয়া জরুরি।

মুক্ত ক্যাম্পাস/সাগর/টিআর

পূর্ববর্তী নিবন্ধমহাসড়ক অবরোধে অ্যাম্বুলেন্স ও ছাড়েনি শ্রমিকরা
পরবর্তী নিবন্ধরাজধানী সুপার মার্কেটে ভয়াবহ আগুন