কমছে করোনার প্রকোপ, লকডাউন শিথিল করছে অস্ট্রেলিয়া

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মঙ্গলবার, ২৮ এপ্রিল ২০২০ | ৮:২৯ অপরাহ্ণ | 101 বার পঠিত

অস্ট্রেলিয়ায় কোভিড-১৯ সংক্রমণের হার ক্রমাগতভাবে কমতে থাকায় লকডাউন শিথিল করছে অস্ট্রেলিয়া। কুইন্সল্যান্ড এবং ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া করোনাভাইরাসের নিষেধাজ্ঞা সতর্কতার সঙ্গে শিথিল করছে। তবে, ফেডারাল সরকার সতর্ক করে বলছে, এই লড়াই এখনও শেষ হয়নি। ইতোমধ্যে বেশ কিছু অঙ্গরাজ্যে কড়াকড়ি তুলে নেওয়া হচ্ছে। এমনকি দেশটির বিভিন্ন জনপ্রিয় বীচও খুলে দেওয়া হয়েছে।

সিডনী হেরার্ল্ড জানিয়েছে, দেশজুড়ে ব্যাপকহারে করোনার পরীক্ষা চলমান রয়েছে। করোনার প্রকোপ আরও কমতে শুরু করবে বলে প্রত্যাশা করছে দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগ। ইতোমধ্যেই সিডনির বন্ডি বীচ এবং কাছাকাছি আরও দু’টি বীচ খুলে দেওয়া হয়েছে। সেখানে যেতে শুরু করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রায় এক মাস ধরে এই বীচগুলো বন্ধ রেখেছিল স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। লোকজন সামাজিক দূরত্ব না মেনে বীচে একত্রিত হওয়ার কারণে বলেই এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল।

নিউ সাউথ ওয়েলস অঙ্গরাজ্য থেকে কড়াকড়ি তুলে নেওয়া হচ্ছে। প্রতিবেশীদের বাড়িতে যাওয়া আসার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। দু’জন প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তি চাইলে তাদের প্রতিবেশীদের বাড়িতে যেতে পারবে। আগামী শুক্রবার থেকেই এই নিয়ম কার্যকর হবে। একই সঙ্গে বাড়িতে থাকা এবং অপ্রয়োজনীয় চলাফেরার ওপর যে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছিল তাও শিথিল করা হয়েছে। নিউ সাউথ ওয়েলস কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, অনেক লোকজনই ইতোমধ্যেই বাড়িতে থাকতে অভ্যস্ত হয়ে গেছে। তারা শুধুমাত্র শরীরচর্চা, ওষুধ বা দরকারি জিনিসপত্র কিনতে বাইরে বের হচ্ছে। অনেকেই বাড়িতেই সেলফ আইসোলেশনে আছে। লোকজনকে আশেপাশের বাড়িতে যাওয়া আসার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে দু’জনের বেশি লোকজন আশেপাশের বাড়িতে যেতে পারবে না। এছাড়া বড়রা তাদের সঙ্গে ছোট বাচ্চাদের নিয়ে্ও বের হতে পারবে। তবে যারা শারীরিকভাবে দুর্বল বা অসুস্থ তাদের বাড়িতেই থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে, নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার ফলে যেন করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব আরও বৃদ্ধি না পায়, সেজন্য সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে কুইন্সল্যান্ডের বাসিন্দাদের। সেখানকার অধিবাসীরা তাদের নিজ বাড়ি থেকে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত ভ্রমণ করতে পারবেন। এভাবে ব্যাপকভাবে যাতায়াত করা নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। এছাড়া, রাজ্যটির সীমান্ত বন্ধ থাকবে।পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশনাগুলো অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে। আর, মানুষ শুধুমাত্র তাদের ঘরের লোকজনের সঙ্গেই একত্রিত হতে পারবে। নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করা হলে ভয়ানক পরিণতি হতে পারে বলে সতর্ক করা হয়।

করোনার প্রাদুর্ভাব শুরুর পর থেকেই সব ধরনের সীমান্ত বন্ধ করে রেখেছে অস্ট্রেলিয়া। একই সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ রাখা হয়েছিল এবং সামাজিক দূরত্ব কঠোরভাবে মেনে চলা হচ্ছিল। কিন্তু স্থানীয় লোকজনের মধ্যে সংক্রমণের হার কমতে শুরু করায় কড়াকড়ি কিছুটা শিথিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য।

আমাদের সাথে ফেসবুক পেজে কানেক্ট থাকুন: মুক্তক্যাম্পাস

মুক্ত ক্যাম্পাস/এমআর

পূর্ববর্তী নিবন্ধভোলা শহরে বাবা-মেয়ের করোনা শনাক্ত
পরবর্তী নিবন্ধজবি শিক্ষার্থীর উপর হামলা, মামলা তুলে নিতে হুমকি