কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালীতে আটটি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুনে পাঁচ রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন শতাধিক ব্যক্তি। ফায়ার সার্ভিস ও সেনাবাহিনীর কয়েকটি ইউনিট সাত ঘণ্টারও বেশি সময় চেষ্টার পর সোমবার (২২ মার্চ) রাত সাড়ে ১০টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে।
কক্সবাজারের ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক আতিকুর রহমান রাত ১১টার দিকে গণমাদ্যমকে পাঁচজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, পুড়ে যাওয়া বিভিন্ন ক্যাম্পে পাঁচজনের মরদেহ পাওয়া গেছে। মরদেহগুলো উদ্ধারে কাজ চলছে।
এর আগে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বালুখালী ৯ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। এরপর একে একে আটটি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আগুনে কয়েক হাজার বসতঘর পুড়ে গেছে বলে প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে।
বালুখালী ৯ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ইনচার্জ মোহাম্মদ তানজীম জানান, আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের উখিয়া স্টেশন, রামু স্টেশন ও কক্সবাজার স্টেশনের চারটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে।
স্থানীয়রা জানান, আগুনে পাঁচ রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়েছে। তারা পাঁচজনের পোড়া মরদেহ দেখেছেন।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মামুনুর রশীদ বলেন, প্রাথমিকভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। প্রশাসনের সর্বস্তরের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে রয়েছেন।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম রাতে জানিয়েছেন, ‘রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আগুন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ার সার্ভিসের দমকল বাহিনী ও সেনাবাহিনীসহ সাত ইউনিট কাজ করতে বেগ পেতে হয়েছে। তবে আগুনে কী পরিমাণ ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে তা এখনো নির্নয় করা কঠিন’।
উখিয়ার বালুখালী ৮ নম্বর এপিবিএন’র অধিনায়ক (পুলিশ সুপার) মো. শিহাব কায়ছার জানিয়েছেন, ‘আগুনে বালুখালীতে অবস্থানরত ৪ নম্বর এপিবিএনের ব্যারাক আংশিক পুড়ে গেছে। তবে অস্ত্র ও মুল্যবান আসবাবপত্র নিরাপদে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। আগুনে রোহিঙ্গাদের ঝুপড়ি ঘর ছাড়াও বেশকিছু এনজিও অফিস, স্কুল-মাদ্রাসা পুড়ে গেছে।’
উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মাঝি আব্দুল হামিদ জানান, আগুনের তার নিয়ন্ত্রণাধীন প্রায় পাঁচ শতাধিক ঘরসহ অন্তত এক হাজারের বেশি ঘর পুড়ে গেছে। পুড়ে গেছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সবচেয়ে বড় মার্কেট বালুখালী বলিবাজার। এতে ৫০ কোটি টাকার মুল্যের মালামাল পুড়ে গেছে। এঘটনায় তিন শিশুসহ পাঁচজন মারা গেছে’।
