রাজনৈতিক ফায়দা লুটতেই গুজব ছড়ানো হয় : হানিফ

মুক্ত ক্যাম্পাস প্রতিবেদক
শনিবার, ০৩ আগস্ট ২০১৯ | ৭:৪৩ অপরাহ্ণ | 195 বার পঠিত

গুজব তৈরির পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে বলে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, ‘একটি রাজনৈতিক দল বা সরকারকে বিব্রত করার উদ্দেশ্যেই জনগণকে উসকে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতেই গুজব ছড়ানো হয়। আমরা বরাবরই দেখেছি, গুজব রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই তৈরি করা হয়।’

আজ শনিবার (৩ অগাস্ট) ‘গুজব ও অপপ্রচার প্রতিরোধে আমাদের করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ মন্তব্য করেন। আলোচনা সভাটির আয়োজন করে ‘জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা প্রতিরোধ মোর্চা’।

হানিফ বলেন, সম্প্রতি গুজবের কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় আমাদের কয়েকজনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গুজব দমন করতে পেরেছে। গুজব কিছুটা হলেও এখন কমেছে।

তিনি বলেন, প্রত্যেকটা অপপ্রচারের পিছনে সুনির্দিষ্ট কারণ আছে, লক্ষ্য আছে। প্রত্যেকটা গুজব ও অপপ্রচার ধর্মীয় ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে করা হয়েছে। অনেক সময় ধর্মকেও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অপপ্রচার করা হয়। সরকারকে অস্থিতিশীল করা বা বেকায়দায় ফেলার জন্য গুজব ছড়ানো হয়।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, অনেকেই বলে কথা বলার স্বাধীনতা না থাকার কারণে গুজব ছড়াচ্ছে। আমাদের এখানে কথা বলায় কোনো বাধা নেই। যে যা পারছে বলছে। তাহলে কেন গুজব ছড়াচ্ছে।

জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা প্রতিরোধ মোর্চার প্রধান সমন্বয়ক এফ এম শাহীন বলেন, গুজব সামাজিক ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সাধ্যমত চেষ্টা করছেন। কিন্তু শুধু আইন প্রয়োগ করে এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব না। এ জন্য নাগরিক উদ্যোগের মধ্যে দিয়ে ‘জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা প্রতিরোধ মোর্চা’ মানুষের কাছে যেতে চায়।

তিনি বলেন, গুজব ও অপপ্রচারকারীরা একটি পক্ষ, যারা বাংলাদেশকে মেনে নিতে পারছে না। বাংলাদেশের স্বাধীনতা মেনে নিতে চায়নি। বাংলাদেশের উন্নয়ন তাদের সহ্য হচ্ছে না। তারা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মোড়কে আত্মপ্রকাশ করে গুজব রটাচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, ডেঙ্গু জাতীয় সমস্যায় পরিণত হয়েছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে আমরা সবাই কাজ করছি। এমন পরিস্থিতিতে ডেঙ্গুকে ছেলে ধরার সাথে তুলনা করে এক মেয়র বলেছেন ডেঙ্গুও ছেলে ধরার মতো গুজব। এই সব বলে গুজবকে হালকা করা হচ্ছে। এতে গুজব রটনাকারীরা সুযোগ পাচ্ছে। সরকারের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের কথা বলার ক্ষেত্রে আরো দায়িত্বশীল হতে আহ্বান জানান তিনি।

র‌্যাব-৩’র অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. এমরানুল হাসান বলেন, সম্প্রতি যে গুজব ছড়িয়ে পড়েছে তা প্রতিরোধে আমরা ২০ জনের মতো গুজব প্রচারকারীকে আটক করেছি। তাদের মধ্যে ৫০ ভাগ স্বীকার করেছে যে তারা উন্নয়ন বিরোধী প্রচারণার জন্য গুজব ছড়াচ্ছে। বাকি ৫০ ভাগ না বুঝে ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার দিচ্ছে। এজন্য গুজব রোধে সামাজিক সচেতনতা প্রয়োজন।

আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. এমরানুল হাসান, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস, ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক খায়ের মাহমুদ প্রমুখ।

মুক্ত ক্যাম্পাস/রানা

পূর্ববর্তী নিবন্ধস্থানীয় সরকার ও ঢাকার দুই সিটির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল
পরবর্তী নিবন্ধসৌদি পৌঁছেছেন ১ লাখ ১২ হাজার ৬০৬ জন হজযাত্রী