সুখবর, যুক্তরাজ্যের কোভিড লাল তালিকা থেকে বাদ পড়ছে বাংলাদেশ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
শুক্রবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ | ১১:৫৩ অপরাহ্ণ

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমে আসায় পাঁচ মাস পর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার লাল তালিকা থেকে বাংলাদেশের নাম বাদ দিচ্ছে যুক্তরাজ্য সরকার। এতে করে বাংলাদেশিদের জন্য আবারও ইংল্যান্ডে যাওয়ার সুযোগ তৈরি হচ্ছে।

ব্রিটিশ পরিবহনমন্ত্রী গ্র্যান্ট শ্যাপস শুক্রবার নতুন যে ভ্রমণ নিয়ম ঘোষণা করেছেন, তাতে বাংলাদেশসহ মোট আটটি দেশকে উচ্চ ঝুঁকির ‘রেডলিস্ট’ থেকে সরিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। বাকি সাতটি দেশ হল: তুরস্ক, পাকিস্তান, মালদ্বীপ, মিশর, শ্রীলঙ্কা, কেনিয়া এবং ওমান।

আগামী ২২ সেপ্টেম্বর ইংল্যান্ডের স্থানীয় সময় ভোর ৪টা থেকে নতুন নিয়ম কার্যকর হবে বলে স্কাই নিউজের এক খবরে জানানো হয়েছে।

মহামারীর মধ্যে ভ্রমণ নিয়ন্ত্রণে রেড, অ্যাম্বার ও গ্রিন- এই তিন রঙের তালিকা করে পৃথিবীর দেশগুলোকে ভাগ করেছিল ব্রিটিশ সরকার। নতুন নিয়মে ২২ সেপ্টেম্বরের পর রেড লিস্টে থাকবে ৫৪টি দেশ। এই তালিকা থেকে মুক্ত হয়ে আটটি দেশ যাবে অ্যাম্বার লিস্টে। এরপর ৪ অক্টোবর থেকে অ্যাম্বার লিস্ট বলে কিছু আর থাকবে না। রেড লিস্টের বাইরে বাকি সব গ্রিন।

অর্থাৎ, লাল তালিকায় থাকা ৫৪টি দেশ থেকে বিদেশিরা তখনও ইংল্যান্ডে যেতে পারবেন না। সেসব দেশ থেকে কোনো ব্রিটিশ নাগরিক দেশে ফিরলে ১০ দিনের কোয়ারেন্টিনের নিয়ম মানতে হবে।

আর সবুজ তালিকার দেশগুলো থেকে ইংল্যান্ডে যেতে কোনো বাধা থাকবে না। ২২ সেপ্টেম্বর থেকে সবুজ তালিকার কোনো দেশ থেকে সেখানে যাওয়ার আগে কোভিড পরীক্ষা করার বাধ্যবাধকতাও থাকছে না। সেখানে গিয়েই তারা পরীক্ষা করাতে পারবেন।

অক্টোবর থেকে দুই ডোজ টিকা পাওয়া যাত্রীদের ইংল্যান্ডে নামার পর পিসিআর পরীক্ষার বাধ্যবাধকতাও শিথিল হবে। তখন তারা তুলনামূলকভাবে সস্তা ল্যাটারাল ফ্লো টেস্ট করালেই হবে। তবে যাদের দুই ডোজ টিকা দেওয়া থাকবে না, তাদের পিসিআর পরীক্ষা করাতে হবে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে ৯ এপ্রিল বাংলাদেশের নাম ঝুঁকিপূর্ণ দেশের লাল তালিকায় যুক্ত করেছিল যুক্তরাজ্য। ফলে বাংলাদেশি কোনো নাগরিকের বাংলাদেশ থেকে সেখানে যাওয়ার সুযোগ ছিল না।

এ পরিস্থিতিতে প্রায় সাত হাজার ব্রিটিশ-বাংলাদেশির আটকা পড়ায় রেড লিস্ট থেকে বাংলাদেশের নাম বাদ দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছিল।

সদ্য বিদায়ী ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাবের সঙ্গে ৭ সেপ্টেম্বর এক দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বাংলাদেশকে রেড লিস্ট থেকে সরানোর অনুরোধ জানিয়েছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন।

করোনা সংক্রমণ কমে আসার পরও বাংলাদেশকে লাল তালিকায় রাখার সিদ্ধান্তকে রাজনৈতিক বলেন তিনি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবেসরকারি ‌’শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়’ পরিচালনার অনুমতি
পরবর্তী নিবন্ধসরকারি চাকরির আবেদনে থাকছে না সত্যায়ন প্রক্রিয়া