ছাত্রলীগ সহসভাপতি মুমিনকে স্থায়ী বহিষ্কার

অনলাইন ডেস্ক
শনিবার, ০৯ মে ২০২০ | ১০:২২ অপরাহ্ণ | 118 বার পঠিত

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নথি জালিয়াতির মামলায় গ্রেপ্তার ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি তরিকুল ইসলাম মুমিনকে সংগঠন থেকে স্থায়ী ভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।

আজ শনিবার সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় এবং সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।

এতে বলা হয়, সংগঠনের গঠনতন্ত্র পরিপন্থি কার্যকলাপে জড়িত থাকার কারণে তরিকুল ইসলাম মুমিনকে ছাত্রলীগ থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হল।

এর আগে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি তরিকুল ইসলাম মুমিনকে ভোলা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখেছি। ছাত্রলীগে কোনো অপরাধীর স্থান নেই। তাই তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নিয়ে সংগঠনের ভেতরে উদাহরণ সৃষ্টি করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক-৭ মোহাম্মদ রফিকুল আলম বাদী হয়ে গত ৫ মে তরিকুল, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অফিস সহকারী ফাতেমা ও ফরহাদ নামে তিনজনকে আসামি করে এই মামলা দায়ের করেন।

এর আগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে নথি বের করে জালিয়াতির মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত বদলে দেয়ার অভিযোগের মামলায় মুমিনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

শুক্রবার থেকে তেজগাঁও থানায় দায়ের করা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চার দিনের রিমান্ডে রয়েছে তরিকুল ইসলাম মুমিন।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক-৭ মোহাম্মদ রফিকুল আলম বাদী হয়ে ৫ মে তরিকুল, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অফিস সহকারী ফাতেমা ও ফরহাদ নামে তিনজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় তরিকুলকে ভোলা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

মামলায় বলা হয়, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কোষাধ্যক্ষ পদে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম এনামুল হক, বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. আব্দুর রউফ এবং বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালের সাবেক কোষাধ্যক্ষ অবসরপ্রাপ্ত এয়ার কমোডর এম আবদুস সালাম আজাদের নাম প্রস্তাব করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে নথি পাঠানো হয়েছিল।

এই নথি প্রধানমন্ত্রীর সামনে উপস্থাপন করার পর তিনি অধ্যাপক ড. এম এনামুল হকের নামের পাশে টিক চিহ্ন দেন। পরে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য নথিটি রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানোর প্রস্তুতি পর্বে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অফিস সহকারী ফাতেমার কাছে এলে তিনি এম আবদুস সালাম আজাদ অনুমোদন পাননি বলে ফোনে তরিকুলকে জানিয়ে দেন।

এরপরেই তরিকুলের পরিকল্পনা অনুযায়ী, নথিটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে কৌশলে বের করে ফরহাদ নামে একজনের হাতে তুলে দেন ফাতেমা।

মামলায় বলা হয়, এরপর সেই নথিতে তরিকুল ড. এম এনামুল হকের নামের পাশে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া টিক চিহ্নটি ‘টেম্পারিং’ করে সেখানে ক্রস চিহ্ন দেন। একইভাবে অধ্যাপক মো. আব্দুর রউফের নামের পাশে ক্রস চিহ্ন দিয়ে এয়ার কমোডর এম আবদুস সালাম আজাদের নামের পাশে টিক চিহ্ন দেন। প্রায় এক মাস আগে নথিটি রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে পাঠানো হয়।

এই নথি হস্তান্তরের আগে ফাতেমা ১০ হাজার টাকা বিকাশের মাধ্যমে গ্রহণ করেন এবং হস্তান্তরের পরে আরেক দফায় ১০ হাজার টাকা তার ছেলের বিকাশ অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে নেন বলে মামলায় বলা হয়।

প্রিয় পাঠক, দেশ বিদেশের সর্বশেষ আপডেট পেতে আমাদের সাথে ফেসবুক গ্র‌ুপে যুক্ত থাকুন: মুক্ত ক্যাম্পাস গ্রুপ

মুক্ত ক্যাম্পাস/এমআর

পূর্ববর্তী নিবন্ধজ্বর হলে করোনার পাশাপাশি ডেঙ্গু পরীক্ষার নির্দেশনা
পরবর্তী নিবন্ধতাহাজ্জুদ নামাজে মুমিনের মর্যাদা বৃদ্ধি পায়