নরসিংদী সদরের মাধবদী পৌরসভায় বন্ধ থাকা এক মাদ্রাসার ভেতরে নিয়ে গিয়ে ৬ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে অপর এক মাদ্রাসার শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। (২জুন) মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে পৌরসভার ভগীরথপুর দারুল উলুম আল হাসান ওয়াল হুসাইন ইসলামিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিম খানায় এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ওই মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে আটক করেছে পুলিশ।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণ করার কথা স্বীকার করেছে এই ছাত্র। বিষয়টি নিশ্চিত করে মাধবদী থানার তদন্ত কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ বলেন, ‘রাস্তার পাশের সিসিটিভি ফুটেজ থেকে দেখা যায় ওই ছাত্র শিশুটিকে ঘটনাস্থলের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। মাদ্রাসা বন্ধ থাকলেও তার কাছে চাবি ছিল। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের কথা সে স্বীকার করেছে।’
শিশুটির বাবা বলেন, ‘সকাল ৮টার দিকে আমার মেয়ে আমার জন্য খাবার নিয়ে আসে। আমাকে খাবার দিয়ে বাসার দিকে চলে যায়। এর প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা পর আমার মেয়ে যখন আমার কাছে আবার আসে আমি দেখি তার শরীর রক্তে ভেজা। আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলে সে আমাকে ভয়ে কিছু বলতে পারছিল না। এর কিছুক্ষণ পর সে জানায়, তাকে একজন টুপিপরা লোক মাদ্রাসার ভেতরে নিয়ে এ অবস্থা করছে। তখন আমি চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে।’
জানা যায়, অভিযুক্ত মাদ্রাসা ছাত্র ঢাকার মিরপুরে একটি মাদ্রাসায় পড়াশুনা করে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সারা দেশের মতো সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেলে সে নরসিংদীতে নিজ এলাকায় ফিরে আসে। এ সময় ঘটনাস্থলের ওই মাদ্রাসাটির শিক্ষকরা ছুটিতে গেলে তিনদিনের জন্য ওই ছাত্রকে মাদ্রাসা দেখাশোনার জন্য চাবি দিয়ে যান। এই সুযোগেই সে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটায়।
মুক্ত ক্যাম্পাস/ রিফাত