করোনা পরিস্থিতির অবনতি এবং লকডাউন বিবেচনা করে এ বছর বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে মঙ্গল শোভাযাত্রা করা হবে না। একইসঙ্গে ক্যাম্পাসে কোনো ধরণের মেলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও গণজমায়েত করা যাবে না।
তবে বুধবার (পহেলা বৈশাখ) প্রতীকী কর্মসূচি হিসেবে চারুকলা অনুষদের শিল্পীদের তৈরি মঙ্গল শোভাযাত্রার নানা উপকরণ মুখোশ ও প্রতীক ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রদর্শন ও সম্প্রচারের উদ্যোগ নেওয়া হবে। দিবসটিকে সামনে রেখে চারুকলা অনুষদের সামনের প্রাচীরে রং তুলির খোঁচায় আঁকা রং-বেরঙের আল্পনা। এসব কার্যক্রম চারুকলা চত্বরেই সীমাবদ্ধ থাকবে।
আজ সোমবার (১২ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ অফিস থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
ঢাবিতে এবারও হবে না মঙ্গল শোভাযাত্রা
বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে এ বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কোনো ধরনের মেলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও গণজমায়েত করা যাবে না। মহামারি-উদ্ভূত পরিস্থিতি উত্তরণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সকলের সদয় সহযোগিতা কামনা করছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান সবাইকে ঘরে বসে বৈশাখ উপভোগের আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, করোনা মহামারীর উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সকলকে ধৈর্য ও মনোবল ধরে রাখতে হবে। বাংলাদেশসহ বিশ্ব করোনামুক্ত হোক, এই কামনা করে তিনি করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সকল সদস্যসহ দেশবাসীকে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ, মাস্ক পরিধান এবং সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার অনুরোধ জানান।
উল্লেখ্য, ১৯৮৫ সালে যশোরে প্রথম শুরু হয় এ শোভাযাত্রা। পরে ধীরে ধীরে এটি উৎসবে পরিণত হয়। এ দিনটি এলেই সবাই মেতে উঠে পান্তা ভাত আর ইলিশ খেতে। বৈশাখ এলেই ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই একাকার হয়ে যায়। ২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর ইউনেস্কো এ শোভাযাত্রাকে বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের মর্যাদা দেয়।