ব্যাংকের ভাউচার জালিয়াতি চক্রের সদস্যরা গ্রেফতার

জেলা প্রতিনিধি
শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি ২০২০ | ৮:৩৮ পূর্বাহ্ণ

কুমিল্লায় ব্যাংকের ভাউচার জালিয়াতি চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। এ সময় একটি বিদেশি পিস্তল, গুলি, চাপাতি ও চাকু উদ্ধার করা হয়। এছাড়া তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকের টাকা জালিয়াতির কাজে ব্যবহৃত বিপুল পরিমাণ সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) রাতে কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার গৌরিপুর বাজার এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলো, কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলার দারোরা গ্রামের ইউপি সদস্য মো. মমিনুল ইসলাম (৪৬), একই উপজেলার পালাসুদা গ্রামের কারী আবু মুসার ছেলে আবু বক্কর সালাফী (৪৩), দারোরা গ্রামের আব্দুল মতিনের ছেলে রুবেল (২৪) ও দাউদকান্দি উপজেলার চরচারি পাড়া গ্রামের আব্দুস ছাত্তারের ছেলে মো. ইদ্রিস মিয়া (৪৪)।
র‌্যাব-১১ এর মিডিয়া অফিসার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আলেপ উদ্দিন বলেন, ‘গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানায়, তারা দীর্ঘদিন ধরে কৌশলে ব্যাংকের ভাউচার জালিয়াতি করে বিভিন্ন ব্যাংকের টাকা আত্নসাত করে আসছে। ইদ্রিস এই জালিয়াতি চক্রের মূলহোতা। সে গত ৩ বছর আগে হোটেলে কাজ করার সময় এক ভারতীয় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারের কাছ থেকে ব্যাংকের টাকা জালিয়াতির মাধ্যমে আত্নসাতের বিভিন্ন কৌশল শেখে। এটিএম বুথ হ্যাক করে বুথ থেকে টাকা উত্তোলন ও রেমিটেন্স জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত তারা। ইদ্রিস প্রথমে জালিয়াতির টার্গেট হিসেবে একটি ব্যাংককে নির্বাচন করে। ওই ব্যাংকে প্রথমে বৈধভাবে তার পরিচিত লোক বিদেশ থেকে রেমিটেন্সের মাধ্যমে তার নামে অল্প পরিমাণ টাকা পাঠায়। সেই টাকা উত্তোলনের জন্য তাকে একটি গোপন পিন নম্বর দেওয়া হয়। সেই গোপন পিন নম্বর নিয়ে ব্যাংকে গেলে ব্যাংক টাকা উত্তোলনের জন্য একটি ভাউচার তৈরি করে দেয়। ওই ভাউচার দিয়ে টাকা উঠানোর আগে ইদ্রিস তার মোবাইলে ভাউচারের একটি ছবি তুলে রাখে।

মোবাইলে ভাউচারের ছবি দিয়ে তার প্রিন্টারে নতুন নতুন ভাউচার তৈরি করে তাতে নতুন রেমিটেন্স নম্বর বসিয়ে ব্যাংক কর্মকর্তাদের স্বাক্ষর এবং বিভিন্ন এনআইডির স্বাক্ষর নকল ও এনআইডির ছবি পরিবর্তন করে ব্যাংকে জমা দিয়ে টাকা তোলে। সে এইভাবে অগ্রণী ব্যাংকের চাঁদপুরের সাচার শাখা ও সোনালী ব্যাংকের রহিমা নগর শাখা, অগ্রণী ব্যাংকের কুমিল্লার মুরাদনগর শাখা, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মাধবপুর শাখাসহ বেশ কয়েকটি ব্যাংক থেকে ভাউচার জালিয়াতির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ উত্তোলন করেছে।আবু বক্কর সালাফী ও রুবেল এই চক্রের অন্যতম সহযোগী। তারা ব্যাংকের টাকা জালিয়াতির পাশাপাশি পেশাদার ছিনতাইকারী, ভাড়াটে ক্যাডার ও ডাকাতির সঙ্গে জড়িত বলে প্রাথমিক জিঙ্গাসাবাদে স্বীকার করেছে। তাদের প্রত্যেকের নামে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।’

মুক্ত ক্যাম্পাসের ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন

মুক্ত ক্যাম্পাস/টিআর

পূর্ববর্তী নিবন্ধভোলায় ধনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বিদায়ী সংবর্ধনা
পরবর্তী নিবন্ধঢাকায় আ.লীগ প্রার্থীদের বিজয় নিশ্চিত: জয়