চবির সেই দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রণালয়ের চিঠি

এমসি রিপোর্ট
শনিবার, ১৩ মার্চ ২০২১ | ৪:৪৭ অপরাহ্ণ
চবির সেই দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রণালয়ের চিঠি

রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কুৎসা রটানোর অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে উপাচার্যকে চিঠি দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সরকারি সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব নীলিমা আফরোজ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃ-বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. রাহমান নাসির উদ্দিন ও সমাজতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাইদুল ইসলামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়।

তবে চিঠি ইস্যু করার ১৯ দিন পরও বিষয়টি নিয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তাছাড়া এখন পর্যন্ত অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করাও হয়নি।

চবি উপাচার্য বরাবর পাঠানো ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, “চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইজন শিক্ষক নৃ-বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. রহমান নাসির উদ্দিন ও সমাজতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাইদুল ইসলামের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কুৎসা রটানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। দায়িত্বশীল পদে থেকেও রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীকে হেয় করে বিভিন্ন সময়ে ফেসবুকে ব্যঙ্গাত্মক পোস্ট দেওয়া যা অসদাচরণের শামিল এবং এ কারণে ড. রহমান নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক মন্ত্রণালয়কে অবহিত করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।”

চবির সেই দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রণালয়ের চিঠি

জানা যায়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য ইফতেখার উদ্দিন আয়াজ ২০১৯ সালের ৯ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে এই দুই শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন। তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের নির্দেশে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনকে (ইউজিসি) তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয়। এরপর ইউজিসি তদন্ত কমিটি গঠন করে। দীর্ঘ সময় তদন্তের পর কমিটি এ অভিযোগের সত্যতা পেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন জমা দেয়।

এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার গণমাধ্যমকে বলেন, এ বিষয়টি নিয়ে নিউজ করার দরকার নেই। এটি আমি দেখবো।

এদিকে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব নীলিমা আফরোজ বদলিজনিত কারণে অন্য মন্ত্রণালয়ে চলে যাওয়াতে বিষয়টি নিয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকরোনায় আরও ১৩ মৃত্যু, শনাক্ত ১০৬৬
পরবর্তী নিবন্ধকলিমউল্লাহর অনিয়ম-দুর্নীতি তদন্ত: বেরোবি যাচ্ছে ইউজিসি প্রতিনিধি