বেরোবিতে পরীক্ষায় নকল করতে গিয়ে আটক এক

বেরোবি প্রতিনিধি:
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০১৯ | ১:০৬ পূর্বাহ্ণ | 149 বার পঠিত
বেরোবিতে পরীক্ষায় নকল করতে গিয়ে আটক এক

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) কোর্স ফাইনাল পরীক্ষায় নকল সহ ধরা পড়েছে অর্থনীতি বিভাগের সমিরন সরকার তমাল (এস সরকার) নামের এক শিক্ষার্থী। শনিবার (২৩ নভেম্বর) বেরোবির অর্থনীতি বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের দ্বিতীয় বর্ষ দ্বিতীয় সেমিস্টার ফাইনাল চলাকালীন সময়ে তাকে নকলসহ হাতেনাতে ধরেন বিভাগের সহকারি অধ্যাপক খন্দকার জাহাঙ্গীর আলম নীরব।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অর্থনীতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. মোরশেদ হোসাইন।

জানা যায়, অর্থনীতি বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের দ্বিতীয় বর্ষ দ্বিতীয় সেমিস্টারের ইকো-২২০৪ ডেভেলপমেন্ট এক্সপেরিমেন্ট অফ মডেল কোর্সের ফাইনাল পরীক্ষা শুরু হওয়ার ২ ধন্টা পর পাঁচটি চিরকুটসহ এস সরকারকে হাতেনাতে আটক করেন পরীক্ষা কক্ষে দায়িত্বে থাকা বিভাগের সহকারি অধ্যাপক খন্দকার জাহাঙ্গীর আলম নীরব। এস সরকার বিভাগের বিগত পরীক্ষাগুলোতেও নকল করে পরীক্ষা দিয়েছে বলে জানিয়েছে সহপাঠীরা।

এ বিষয়ে অর্থনীতি বেরোবির বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. মোরশেদ হোসাইন বলেন, নকল করলে তার সাময়িক পরীক্ষা বাতিলের কোন নিয়ম নেই। তবে আগামীকাল (রবিবার) মিটিংয়ে বসে তাকে বহিষ্কারের জন্য শৃঙ্খলা বোর্ডে সুপারিশ করা হবে। এরপর শৃঙ্খলা বোর্ডের প্রতিবেদন অনুযায়ী সিন্ডিকেট তার বহিষ্কারের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে।

আরও পড়ুন

তিনি আরও বলেন, পরীক্ষায় যারা অসাদুপায় অবলম্বন করে তারা শুধু বিভাগের নয়; বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। এমন শিক্ষার্থীর কঠোর শাস্তি হওয়া উচিৎ বলে মনে করেন তিনি।

উল্লেখ্য, উত্তর জনপদের মানুষের উচ্চশিক্ষার অনন্য বিদ্যাপীঠ রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়। ২০০৮ সালে নগরীর পাশেই কারমাইকেলের বিশাল এক জায়গা জুড়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ওই অঞ্চলের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়। রংপুর নগরীর প্রবেশদ্বার মডার্ণ মোড় থেকে এক কিলোমিটার উত্তরে ক্যাডেট কলেজ ও কারমাইকেল কলেজের মাঝে যাত্রা শুরু হয় এ বিশ্ববিদ্যালয়ের। রংপুর বিশ্ববিদ্যালয় নামে যাত্রা শুরু করলেও ২০০৯ সালে ৪ এপ্রিল মহীয়সী নারী বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের নামে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নামকরণ করা হয় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়।

২০০৯ সালের ৪ এপ্রিল রংপুর ডিসির মোড়ের সন্নিকটে টিচার্স ট্রেনিং কলেজে প্রতিষ্ঠাকালীন ৬ টি বিভাগে ৩০০ জন শিক্ষার্থী, ১২ জন শিক্ষক, ৩ জন কর্মকর্তা ও ৯ জন কর্মচারী নিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করে এই বিশ্ববিদ্যালয়টি।

২০১১ সালে ৮ জানুয়ারী তৎকালীন ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত দিয়ে স্থায়ী ক্যাম্পাসের উদ্বোধনের মধ্যে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টি নতুন যাত্রা শুরু করে। এর পর বিশ্ববিদ্যালয়টি চলতে থাকে নতুন উদ্যোমে। বাড়তে থাকে শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য্য। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ৬টি অনুষদভূক্ত ২১টি বিভাগ, ১৪৫ জন শিক্ষক, ৯ হাজার ৫৭৪ শিক্ষার্থী, ৫১৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছে। প্রতিদিন প্রায় ৯ হাজার শিক্ষার্থীর পদচারণায় মুখরিত থাকে সবুজ ঘেরা এই ক্যাম্পাস।

মুক্ত ক্যাম্পাস/রিজু সরকার/জেডআর

পূর্ববর্তী নিবন্ধইনিংস ব্যবধানে পরাজয় এড়াতে বাংলাদেশ টিমের দরকার ৮৯
পরবর্তী নিবন্ধগ্রামীণফোনের কাছে বিটিআরসির পাওয়া টাকার সিদ্ধান্ত আজ