হল না খুলেই পরীক্ষা, চরম বিড়ম্বনায় সাত কলেজ শিক্ষার্থীরা

এমসি রিপোর্ট
রবিবার, ২২ আগস্ট ২০২১ | ১:১১ অপরাহ্ণ | 158 বার পঠিত
সাত কলেজের স্নাতকোত্তর পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ

আবাসিক হল বন্ধ রেখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের চূড়ান্ত পরীক্ষা সশরীরে শুরু হচ্ছে আগামী ১ সেপ্টেম্বর। হল না খুলে পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্তের কারণে চরম বিড়ম্বনায় পড়ার কথা জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। নতুন করে বাসা খোঁজা সহ আর্থিক সংকটের কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হবে তাদের। স্বাস্থ্যঝুঁকি এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে অনুমতি না মেলায় আপাতত হল খোলা সম্ভব হচ্ছে না বলছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।

রাজধানীর এই সাত সরকারি কলেজের মধ্যে ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি তিতুমীর কলেজ,বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ ও সরকারি বাঙলা কলেজে আবাসিক হল রয়েছে৷ সব মিলিয়ে এই কলেজগুলোর প্রায় ত্রিশ হাজার শিক্ষার্থী হলে থাকেন ৷

ঢাকা কলেজের এক আবাসিক শিক্ষার্থী বলেন, পরীক্ষা শুরুর মাত্র দশ দিন আগে ঘোষণা দেয়া হয়েছে সশরীরে পরীক্ষা হবে৷ এখন আমরা ঢাকায় এসে থাকার যায়গা খুঁজবো নাকি পড়ালেখা করবো৷ এটি একটি অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত৷ অন্তত যাদের পরীক্ষা আছে তাদের জন্য হল খুলে দেয়া হলে মানসিক চাপের মধ্যে থাকতে হয় না৷ আমাদের দাবি পরীক্ষা শুরুর আগেই যেন শুধু পরীক্ষার্থীদের জন্য হল খুলে দেয়া হয়৷

ইডেন মহিলা কলেজের আবাসিক শিক্ষার্থী রোকসানা বলেন, আমাদের কথা চিন্তা না করেই সশরীরে পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিলো প্রশাসন৷ আমরা ঢাকায় এসে থাকবো কোথায়? মেয়েরা যেখানে সেখানে থাকতে পারে না৷ হুট করে কোন আত্মীয়ের বাসায়ও উঠা যায় না৷ আর সবার তো আর ঢাকায় আত্মীয় নেই৷ মেসে উঠতে গেলেও অনেক টাকার প্রয়োজন৷ অনেকের অর্থিক অবস্থা খারাপ৷ আমাদের যাদের পরীক্ষা রয়েছে তাদের জন্য হল খুলে দিলে এত মানসিক টেনশনে থাকতে হয় না৷ হল খুলে দেয়ার দাবি জানাচ্ছি৷

তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা নেয়ার ঘোষণা দিলেও আবাসিক এই শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধানে আগ্রহী নয় সাত কলেজ প্রশাসন৷ কর্তৃপক্ষ বলছে সরকারি সিদ্ধান্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা৷ তাই আবাসিক হল খোলার সুযোগ নেই৷ শিক্ষার্থীদের টীকা নিশ্চিত করেই আবাসিক হল খুলে দেয়া হবে৷

এবিষয়ে সাত কলেজের সমন্বয়ক (ফোকাল পয়েন্ট) ও ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার বলেন, হল খোলার সিদ্ধান্তের বিষয়টি আমাদের হাতে নেই। এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রী এবং জাতীয় পরামর্শক কমিটি গ্রহণ করতে পারে। তারা যখন আমাদেরকে হল খোলার বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করবে তখনই আমরা হল খুলতে পারবো। এটি আমাদের সাত কলেজ প্রশাসন অথবা আমরা অধ্যক্ষরা কোনভাবেই গ্রহণ করতে পারিনা। প্রধানমন্ত্রী এই ব্যাপারগুলো দেখভাল করছেন। তার নির্দেশনা ছাড়া হল খোলার এখতিয়ার আমাদের নেই।

প্রিয় পাঠক, শিক্ষা ও ক্যারিয়ার বিষয়ক সর্বশেষ আপডেট পেতে মুক্ত ক্যাম্পাসের ফেসবুক পেজে লাইক দিন। লিঙ্ক : https://www.facebook.com/Muktocampus

পূর্ববর্তী নিবন্ধগুচ্ছ আবেদনে ফি দিগুণের বিষয়ে যা জানা গেল
পরবর্তী নিবন্ধকরোনায় আরও ১৩৯ মৃত্যু, শনাক্ত ১৫.১৬ শতাংশ