সমন্বিত ভর্তি : বিশ্ববিদ্যালয় সিলেক্ট করে দেবে গুচ্ছ কমিটি

এমসি রিপোর্ট
শনিবার, ২৮ মে ২০২২ | ১২:৪৩ পূর্বাহ্ণ
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ পুনর্নির্ধারণ
ফাইল ছবি

সমন্বিত ভর্তি : বিশ্ববিদ্যালয় সিলেক্ট করে দেবে গুচ্ছ কমিটি : দেশের ২০টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে গুচ্ছভিত্তিতে ভর্তি পরীক্ষা এগিয়ে আগস্টে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগামী ৩ সেপ্টেম্বর থেকে এ পরীক্ষা শুরুর কথা ছিল। এদিকে, ২২টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল অনুসারে কেন্দ্রীয়ভাবে বিশ্ববিদ্যালয় সিলেক্ট করে দেবে গুচ্ছ কমিটি। এরজন্য আলাদাভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করে ফি দেয়া লাগবে না। গেল বছরের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমাতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ‍গুচ্ছ কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. ড. ইমদাদুল হক বলেন, ভর্তি পরীক্ষার পর রেজাল্ট অনুসারে ভর্তিচ্ছুদের কেন্দ্রীয়ভাবে বিশ্ববিদ্যালয় সিলেক্ট করে দেয়া হবে। মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষার মতো ফলাফলের ভিত্তিতে এ পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে।

সমন্বিত ভর্তি : বিশ্ববিদ্যালয় সিলেক্ট করে দেবে গুচ্ছ কমিটি

এছাড়া গেল বছর ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় ভর্তিচ্ছুদের পছন্দের ক্রমানুসারে কমপক্ষে ৫টি পরীক্ষা কেন্দ্র সিলেক্ট করতে হয়েছে। আবেদনকারী বর্তমানে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত থাকলে সেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম ও অধ্যয়নের বিষয় সংক্রান্তের তথ্যও দিতে হয়েছিল। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন ভর্তিচ্ছুরা।

জবি উপাচার্য বলেন, এবার একটি বিশ্ববিদ্যালয় চয়েজ দিতে হবে। যে বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্র চয়েজ দেওয়া হবে, সেই বিশ্ববিদ্যালয় সিদ্ধান্ত নেবে কিভাবে তাদের ক্যাম্পাসে পরীক্ষা নেয়া যায়। নিজ এলাকার বাইরে গিয়ে ভোগান্তি নিয়ে যেন পরীক্ষা দিতে না হয়, সেটাই আমাদের উদ্দেশ্য।

মেডিকেলে যেভাবে কলেজ নির্ধারণ হয় :

প্রত্যেকটি মেডিকেল কলেজের নির্দিষ্ট একটি চয়েস কোড দেয়া থাকে। মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার আবেদনের সময় ভর্তিচ্ছু কোন মেডিকেলে ভর্তি হতে চায় নির্দিষ্ট মেডিকেল কলেজ চয়েস দিতে হয়। এরপর সফটওয়্যারের মাধ্যমে ভর্তিচ্ছুদের মার্কস অনুযায়ী অটোমেটিক কলেজ নির্ধারণ করা হয়। তবে কোন ভর্তিচ্ছু যদি কর্তৃপক্ষের দেয়া নির্দিষ্ট মেডিকেলে ভর্তি হতে আগ্রহী না হয় সেক্ষেত্রে কলেজ মাইগ্রেশনেরও সুযোগ রয়েছে।

এদিকে, সভায় অংশ নেওয়া জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সৌমিত্র শেখর সংবাদ মাধ্যমকে জানান, সেশনজট ‘শূন্যের কোঠায়’ নামিয়ে আনতে পরীক্ষা এগিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী ১ জানুয়ারি থেকে সেশন শুরু করাই আমাদের মুখ্য উদ্দেশ্য। সেজন্যই সময় এগিয়ে নেয়া হয়েছে।

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ফি বাড়ানোর বিষয়ে সৌমিত্র শেখর বলেন, ‘সবকিছুরই দাম বেড়েছে। একইসঙ্গে কাগজেরও দাম বেড়েছে। পরীক্ষার ফি বাড়ানো নয়, এটা যুগোপযোগী করা হবে। এটা সহনীয় মাত্রায় থাকবে।

পরীক্ষার সুনির্দিষ্ট তারিখ ও ফি আগামী সোমবারের (৩০ মে) সভায় চূড়ান্ত হবে। গতবছর সাধারণ গুচ্ছের পরীক্ষার ফি ছিল ১ হাজার ২০০ টাকা।

এদিকে, এবার সাধারণ গুচ্ছভুক্ত ২২টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ২০টি গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি প্রক্রিয়ায় অংশ নেবে। এপ্রিলে কিশোরগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় ও চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ ভর্তির প্রক্রিয়ায় যুক্ত হলেও বিশ্ববিদ্যালয় দুটি এবারে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে না।

ফলে এবার ২০টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ১টি গুচ্ছে, ৩টি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আরেকটি গুচ্ছে এবং কৃষি ও কৃষিশিক্ষা প্রধান বাকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আরেকটি গুচ্ছে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হবে। ঢাকা, জাহাঙ্গীরনগর, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়সহ আটটি বিশ্ববিদ্যালয় নিজেদের মতো করেই আলাদাভাবে ভর্তি পরীক্ষা নিচ্ছে।

প্রিয় পাঠক, শিক্ষা ও ক্যারিয়ার বিষয়ক সর্বশেষ আপডেট পেতে মুক্ত ক্যাম্পাসের ফেসবুক পেজে লাইক দিন। লিঙ্ক : https://www.facebook.com/Muktocampus

পূর্ববর্তী নিবন্ধপ্রাথমিক তৃতীয় ধাপের প্রার্থীদের এডমিট ডাউনলোড ২০২২
পরবর্তী নিবন্ধঅর্থবছরের প্রথমার্ধে অধিক ব্যয়; শেষাংশে সংকট