বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিতে সর্তকতা এইচএসসি ফলের পর

এমসি রিপোর্ট
শনিবার, ২৯ জানুয়ারি ২০২২ | ৯:১০ অপরাহ্ণ
৩৩ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই উপাচার্য!

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিতে সর্তকতা এইচএসসি ফলের পর : অননুমোদিত প্রোগ্রাম চালানো-মালিকানা দ্বন্দ্বসহ বিভিন্ন বির্তকিত কমকাণ্ডের জন্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)। বিশেষ করে ভর্তির মৌসুমকে সামনে রেখে সতর্ক থাকতে গণবিজ্ঞপ্তিতে জারি করা হয়।

আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুর দিকে ২০২১ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হবে। এরপরই উচ্চশিক্ষায় ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের শুধুমাত্র সরকার ও ইউজিসি অনুমোদিত ক্যাম্পাস ও প্রোগ্রামে ভর্তি হতে পরামর্শ দেওয়া হবে।

ইউজিসির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ বলেন, ভর্তি মৌসুম সামনে রেখে এই গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। এবারও এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর এটি প্রকাশ করা হবে।

তথ্যমতে, অনুমোদন নেই এমন প্রোগ্রাম রাখাসহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা আছে- এরকম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা প্রকাশ (আপডেট) করে বিশ্ববিদ্যালয় ইউজিসি। বছরের বিভিন্ন সময় এই হালনাগাত করে ইউজিসি। সর্বশেষ করেছিল গত বছরের সেপ্টেম্বরে। শিক্ষার্থী, অভিভাবক বা জনসাধারণের সচেতনতার্থে ইউজিসির ওয়েবসাইটে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের পাশে লাল তারকা চিহ্ন প্রদান করা হয়।

২০২১ সালের উচ্চমাধ্যমিকের ফল প্রকাশকে কেন্দ্র করে চলতি মাসের শেষে দিকে এটি আবার হালনাগাদ করা হবে।

ইউজিসির ওয়েবসাইটে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তালিকায় দেখা যায়, মোট ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের পাশে লাল তারকা চিহ্ন রয়েছে। সর্বশেষ ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির নামের পাশে লাল তারকা চিহ্ন তুলে দেয়া হয়েছে। নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে একটি রেড স্টার মার্ক দেওয়া রয়েছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়টি একটি প্রোগ্রামের অনুমোদন নিয়ে সেই প্রোগ্রামের অন্তরালে আরও ১০টি প্রোগ্রাম পরিচালনা করছে। যা সম্পূর্ণভাবে অবৈধ বলে জানিয়েছে ইউজিসি।

এর আগে গত সেপ্টেম্বরে ৬টি কারণে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে লাল তালিকাভুক্তি করবে বলে জানিয়েছিল ইউজিসি। সেবার যুক্ত হয়েছিল নতুন দুই কারণ— রাষ্ট্রপতি কর্তৃক ভিসি-ট্রেজারার নিয়োগ না দেওয়া এবং অডিট প্রতিবেদন প্রদান সংক্রান্ত আরেকটি কারণ।

৬ কারণে লাল তালিকায় পড়বে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়

১) কমিশন অননুমোদিত প্রোগ্রাম/কোর্স পরিচালনা করলে;

২) কমিশন অননুমোদিত ভবন/ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করলে;

৩) ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যদের মালিকানা সংক্রান্ত দ্বন্দ্বের প্রেক্ষিতে মামলা থাকলে;

৪) কমিশন অনুমোদিত আসন সংখ্যার অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করলে;

৫) যেসকল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬ মাসের অধিক সময়ের জন্য রাষ্ট্রপতি ও আচার্য কর্তৃক নিযুক্ত ভিসি ও ট্রেজারার না থাকলে;

৬) ২ বছর আইনের ৪৫ ধারা মোতাবেক পরবর্তী আর্থিক বৎসরের ৩১ মার্চের মধ্যে সরকার কর্তৃক মনোনীত অডিট ফার্ম কর্তৃক নিরীক্ষিত প্রতিবেদন কমিশনে প্রেরণ না করলে।

লাল তালিকায় ভিসি-ট্রেজারারবিহীন বিশ্ববিদ্যালয় থাকার প্রসঙ্গে অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ বলেন, এসব বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সময় দেওয়া হয়েছিল। এরমধ্যে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি ও ট্রেজারারের তালিকা পাঠিয়েছে, আবার অনেক পাঠায়নি। আগামীতে বসে আমরা এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবো।

প্রিয় পাঠক, শিক্ষা ও ক্যারিয়ার বিষয়ক সর্বশেষ আপডেট পেতে মুক্ত ক্যাম্পাসের ফেসবুক পেজে লাইক দিন। লিঙ্ক : https://www.facebook.com/Muktocampus

পূর্ববর্তী নিবন্ধএইচএসসি কলেজ ভর্তি রেজাল্ট ২০২২ দেখবেন যেভাবে
পরবর্তী নিবন্ধইসি নিয়োগ বিলে রাষ্ট্রপতির সম্মতি