২০২৩ সালের পর বাংলাদেশে ক্রিকেট বিশ্বকাপ!

স্পোর্টস ডেস্ক
শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি ২০২০ | ৫:৪৫ অপরাহ্ণ | 102 বার পঠিত
২০২৩ সালের পর বাংলাদেশে ক্রিকেট বিশ্বকাপ!

ক্রিকেটের বড় ইভেন্টের আয়োজক হিসেবে বাংলাদেশের সুনাম আছে। ভেবে দেখুন ২০১১ বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানসহ ৮টি ম্যাচ আয়োজনের কথা। বিশ্বকাপ শেষে বিশ্বকাপের সহআয়োজক বাংলাদেশের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিল আইসিসি! তারপর এককভাবে ২০১৪ টি- টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করে বাংলাদেশ আরও একবার মন জিতে নিয়েছে ক্রিকেট বিশ্বের।

বাংলাদেশের কি একবারও বড় বিশ্বকাপ, মানে ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ এককভাবে আয়োজনের ইচ্ছে জাগে না? জাগে, অবশ্যই জাগে। ২০ জানুয়ারি আইসিসিরি একটি প্রতিনিধি দলের উপস্থিতিতে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান সাংবাদিকদের যা বলেছেন তাতে পরিষ্কার, বাংলাদেশ বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য আইসিসির কাছে প্রার্থিতা পেশ (বিড) করবে। তবে সেই বিশ্বকাপ ২০২৩ সালের পরে অবশ্যই। সেটি হতে পারে ২০২৭ বা ২০৩১ বিশ্বকাপ। কারণ ভারত আগেই ২০২৩ বিশ্বকাপের আয়োজনভার পেয়ে বসে আছে।

আইসিসির তথাকথিত তিন পরাশক্তি (যাদের বলা হয় তিন মোড়ল) ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড ২০১৬ সাল থেকে ২০২৩ পর্যন্ত আইসিসির বেশিরভাগ আয়োজন-সত্ত¡ নিয়ে রেখেছে। এ পর্যন্ত অন্য কোনও দেশের সুযোগ নেই। তবে আইসিসিই সহায় হয়ে অন্য দেশগুলোর পাশে দাঁড়াচ্ছে। পাশে দাঁড়ানো বলতে ফিফা ও অলিম্পিকে মতো ‘বিডিং প্রক্রিয়ার’ মধ্যে গিয়ে সুযোগ করে দেওয়ার। ২০২৪ থেকে ২০৩১- এই আট বছরে
ছেলেদের ও মেয়েদের বিশ্বকাপ, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং অনূর্ধ্ব-১৯ যুবদল মিলিয়ে মোট ২৪টি ইভেন্টের জন্য বিডিং প্রক্রিয়ায় যাবে আইসিসি। বাংলাদেশ এই প্রক্রিয়ায় যাবে বলে আগ্রহটা আগেই জানিয়ে দিয়েছে বিসিবি। আর সেই কারণেই বাংলাদেশের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে তিনদিনের বাংলাদেশ সফরে এসেছে আইসিসির তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল। দলটির নেতৃত্বে রয়েছেন আইসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মনু সনি, সঙ্গে আছেন সংস্থাটির প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা ক্যাম্পবেল জেসিমন।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিজ দফতরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে আইসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মনু সনি ও বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎ শেষে নাজমুল হাসান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ‘বাংলাদেশ অবশ্যই আইসিসি ইভেন্ট আয়োজনের জন্য বিড করবে। আমাদের সুবিধা হলো টেস্ট খেলুড়ে দেশ হিসেবে আমাদের অবকাঠামো উন্নয়নে তেমন বিনিয়োগ লাগবে না। বিশ্বকাপ আয়োজন করতে হলে অন্ততপক্ষে ৮টি মাঠের প্রয়োজন। আমরা সুবিধাজনক অবস্থানেই আছি।’

আইসিসির বৈশ্বিক ইভেন্ট আয়োজনে দেশের নিরাপত্তা একটি বড় বিষয়। এ জন্যই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আইসিসি প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ বলে জানান নাজমুল হাসান, ‘নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে বাংলাদেশ অনেক সুবিধাজনক অবস্থানে আছে। ভারত হলেও তাদের ক্ষেত্রে নিরাপত্তার বিষয়টি আসে। কারণ বিড রেটিং যখন করা হবে নিরাপত্তা একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হবে।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও প্রতিনিধি দলটির সাক্ষাৎ করার কথা।

বিডিংয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করতে আইসিসি আগ্রহী সব দেশেই যাচ্ছে বলে জানা গেছে। ইতিমধ্যে আইসিসি প্রতিনিধি দল মালয়েশিয়াও ঘুরে এসেছে। অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্রসহ আগ্রহী সব দেশেই তারা যাবে।

এদিকে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ ২০২৩ পরবর্তী একটি বিশ্বকাপ আয়োজনের লক্ষ্যেই ঢাকার পূর্বাচলে শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের নির্মাণ কাজে গতি বাড়িয়েছে।

মুক্ত ক্যাম্পাসের সঙ্গে যুক্ত থাকতে এখানে ক্লিক করুন

মুক্ত ক্যাম্পাস/রানা

পূর্ববর্তী নিবন্ধঅস্ট্রেলিয়ায় কোচের দায়িত্বে শচীন!
পরবর্তী নিবন্ধরাজকন্যা যখন জর্ডানের প্রথম নারী পাইলট