বিমান দুর্ঘটনায় মারা গেলে ক্ষতিপূরণ ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা

মুক্ত ক্যাম্পাস প্রতিবেদন
সোমবার, ২৬ আগস্ট ২০১৯ | ৬:২৫ অপরাহ্ণ | 215 বার পঠিত

বিমান দুর্ঘটনায় কোনো যাত্রী মারা গেলে তার পরিবার ক্ষতিপূরণ হিসেবে ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা পাবে। এ আইনের খসড়া সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। আকাশপথে পরিবহন (মন্ট্রিল কনভেনশন, ১৯৯৯) আইন ২০১৯ খসড়ায় এমনটাই বিধান রাখা হয়েছে।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ সব কথা বলেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।

সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, সভায় মোট ছয়টি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তার মধ্যে আকাশপথে পরিবহন আইন-২০১৯-এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন হয়েছে।

বিমানযাত্রীদের অধিকার সুরক্ষার জন্য এই আইনটি করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগে দেশে বিমান দুর্ঘটনায় মারা গেলে ক্ষতিপূরণের কোনো বিধান ছিল না। ফলে নেপালে বিমান দুর্ঘটনায় হতাহতদের পরিবার কম ক্ষতিপূরণ পেয়েছে। এ বিষয়ে আইন থাকলে ক্ষতিপূরণ পেত কয়েক গুণ বেশি। একেকজন কমপক্ষে ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা করে পেত।

এ ছাড়া এই আইনে মন্ট্রিল কনভেনশন ১৯৯৯ অনুযায়ী কোনো ফ্লাইটে যাত্রী নিহত হলে ক্ষতিপূরণ আদায়ের পাশাপাশি যাত্রী আঘাতপ্রাপ্ত হলে এবং লাগেজ হারিয়ে গেলেও ক্ষতিপূরণ দেয়ার বিধান রাখা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, আইনটি কোনো উড়োজাহাজ কর্তৃপক্ষ ভঙ্গ করলে সেই কোম্পানির বিরুদ্ধে এই আইনের পৃথক ধারা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে সরকার। সে ক্ষেত্রেও মন্ট্রিল কনভেনশন ১৯৯৯ অনুযায়ী যাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় যাত্রী প্রতি ১ লাখ ৪০ হাজার ডলার করে জরিমানা করা হবে ওই উড়োজাহাজ কোম্পানিকে। এই টাকা আদায় করবে সরকার। পরে তা যাত্রীকে দেয়ার ব্যাপারে সরকার সিদ্ধান্ত নেবে।

এ ছাড়াও ব্যাগ হারিয়ে যাওয়ার ঘটনায় ক্ষতিপূরণ দিতে অস্বীকার করলে সংশ্লিষ্ট উড়োজাহাজ কোম্পানির কাছ থেকে প্রতি কেজির জন্য ৭০ ডলার করে জরিমানা আদায় করবে সরকার।

নতুন এই আইন পাস হওয়ার ফলে বিমানের ভাড়া বাড়বে কিনা— এ প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, বিমান ভাড়া বাড়বে না। কারণ ক্ষতিপূরণের এই টাকা বিমান কর্তৃপক্ষ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির কাছ থেকে নেবে।
মন্ত্রিসভায় চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য উন্নয়ন নীতিমালা-২০১৯ এর খসড়ার অনুমোদন হয়েছে। এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, রফতানি পণ্যের ক্ষেত্রে চামড়া বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী দ্বিতীয় খাত। ২০২৪ সাল নাগাদ আশা করছি ৫ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রফতানি করতে সক্ষম হবো। এই টার্গেট নিয়ে কাজ করছি। এই নীতিমালার আওতায় শিল্পমন্ত্রীর নেতৃত্বে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের উন্নয়ন নীতিমালা পরিষদ নামে ৪১ সদস্যের একটি পরিষদ গঠন হবে। আর শিল্প সচিবের নেতৃত্বে চামড়া এ চামড়াজাত পণ্যের নীতিমালা বাস্তবায়ন পরিষদ থাকবে। এর সদস্য সংখ্যা ২০ জন।

এই নীতিমালার আলোকে ট্যানারি শিল্প মালিকদের ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে সুবিধা হবে। প্রণোদনা পাওয়ার ক্ষেত্রে সুবিধা হবে। চামড়া শিল্পের উন্নত পরিবেশ নিশ্চিত করা হবে। পণ্য উৎপাদনে আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখা সহজ হবে। দক্ষ ও কার্যকর সেক্টর গড়ে ওঠার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।

মুক্ত ক্যাম্পাস/রানা/এমআর

পূর্ববর্তী নিবন্ধমানবতাবিরোধী অপরাধ : রাজশাহীর সামাদের রায় মঙ্গলবার
পরবর্তী নিবন্ধচাকরিচ্যুত হতে পারেন সেই ডিসি: মন্ত্রিপরিষদ সচিব