বিপিএল চ্যাম্পিয়ন রাসেলের রাজশাহী রয়্যালস

স্পোর্টস ডেস্ক
শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি ২০২০ | ১১:০২ অপরাহ্ণ | 102 বার পঠিত
বিপিএল চ্যাম্পিয়ন রাসেলের রাজশাহী রয়্যালস

বঙ্গবন্ধু বিপিএলে খুলনা টাইগার্সকে ২২ রানে হারিয়ে প্রথমবারের মতো শিরোপা জিতেছে রাজশাহী রয়্যালস। গোটা আসরেই দুর্দান্ত খেলেছে রাসেলের নেতৃত্বে রাজশাহী রয়্যালস। সমান লড়াই করেছে খুলনা টাইগার্সও। তবে শেষ হেসে বিপিএল চ্যাম্পিয়ন রাজশাহী।

আজ শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) মিরপুর স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে রাজশাহীর ওপেনিং ভালো হয়নি। দলীয় ১৪ রানেই ফিরে যান আফিফ হোসেন ধ্রুব (১০)। অপর ওপেনার টুর্নামেন্টের অন্যতম সেরা রান সংগ্রাহক লিটন দাসও ২৮ বলে ২৫ রানের মন্থর ইনিংস খেলে শহিদুল ইসলামের শিকার হন।

তিন নম্বরে নেমে ৩৫ বলে ৬ চার ২ ছক্কায় ৫২ রানের ইনিংস উপহার দেন ইরফান শুকুর। লিটন দাসের সঙ্গে তার জুটি ছিল ৪৯ রানের।

পাকিস্তানি অল-রাউন্ডার শোয়েব মালিক মাত্র ৯ রান করে আউট হন। এরপর মোহাম্মদ আমিরের বলে মেহেদি মিরাজের তালুবন্দি হয়ে ইরফান শুকুর ফিরে গেলে উইকেটে জুটি বাঁধেন অধিনায়ক আন্দ্রে রাসেল আর মোহাম্মদ নওয়াজ। পঞ্চম উইকেটে তাদের গড়া অবিচ্ছন্ন ৭১ রানের জুটিতে চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ পায় রাজশাহী। রাসেল ১৬ বলে ৩ ছক্কায় ২৭ এবং নওয়াজ ২০ বলে ৬ চার ২ ছক্কায় ৪১ রানে অপরজিত থাকেন।

আন্দ্রে রাসেল ও মোহাম্মদ নাওয়াজের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৭০ রান সংগ্রহ করে রাজশাহী রয়্যালস।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের বিশেষ আসর বঙ্গবন্ধু বিপিএলের ফাইনালে মুখোমুখি হয় খুলনা টাইগার্স এবং রাজশাহী রয়্যালস। টস হেরে আগে ব্যাট করা রাজশাহীর সংগ্রহটা ছিল বেশ চ্যালেঞ্জিং। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৭০ রান করে আন্দ্রে রাসেলের দল।

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি খুলনার। ইনিংসের দ্বিতীয় বলে স্কোর বোর্ডে কোনো রান যুক্ত করার আগেই বিদায় নেন খুলনার ওপেনার ও আসরের একমাত্র বাংলাদেশি সেঞ্চুরিয়ান নাজমুল হোসেন শান্ত।

পাকিস্তানি পেসার মোহাম্মদ ইরফানের বলে অফ সাইডে খেলতে গিয়ে ধরা পড়েন লিটন দাসের হাতে, শূন্য রানে ফিরতে হয় শান্তকে। ওপেনিং পার্টনারকে হারিয়ে এ দিন আর ছন্দে থাকতে পারেননি দলটির অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ। পরের ওভারেই মাত্র ২ রান করে আবু জায়েদ রাহীর বলে শোয়েব মালিকের তালু বন্দি হন এই তরুণ অলরাউন্ডার। মাত্র ১১ রানে দুই ওপেনার হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে খুলনা। তবে চতুর্থ উইকেটের জুটিতে খাদের কিনারায় থাকা দলটিকে টেনে তুলেন সামসুর রহমান এবং রাইলি রুশো। এ জুটিতে আসে ৭৪ রান।

ষষ্ঠ ওভারের চতুর্থ বলে মালিকের বলে সহজ ক্যাচ পেয়েও তা লুফে নিতে পারেননি রাহী। এতে নতুন জীবন পেয়ে হাত খুলে খেলতে থাকে রুশো। তবে এবার আর সুযোগ দেয়নি রাজশাহীর কাপ্তান রাসেল। মোহাম্মদ নেওয়াজের বলে লং অনে খেলতে গিয়ে রাসের হাতে ধরা পড়েন রুশো। ফিরে যান ব্যক্তিগত ৩৭ রানে। রুশোর সঙ্গে লম্বা জুটি গড়া সামসুর তুলে নেন আসরে নিজের দ্বিতীয় অর্ধশতক। তবে সেটা আর লম্বা করা হলো না তার। ব্যক্তিগত ৫২ রানে কামরুল ইসলাম রাব্বির প্রথম শিকার হিসেবে আফিফের তালু বন্দি হন। ৪৩ বলে খেলেন ৪ চার ও ২ ছক্কার ইনিংস।

ইনিংসের ১৪তম ওভারটি ছিল খুলনার পরাজয়ের ওভার। এই ওভারের পঞ্চম বলে রাব্বির দ্বিতীয় শিকার হন নাজিবউল্লা জাদরান। তারপর মুশফিক ও ফ্রাইলিংক জুটি গড়েন ২৭ রানের। ষষ্ঠ উইকেটের জুটিটি জয়ের স্বপ্ন দেখালেও অধিনায়ক মুশফিকের বিদায়ের পর কাজটি হয়ে ওঠে মহা কঠিন। রাজশাহীর অধিনায়ক রাসেলের বলে সরাসরি বোল্ড হন মুশফিক (২১)। মুশফিকের বিদায়ের পর পরাজয় নিশ্চিত হয়ে যায় তার দলের। ইরফানের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফেরেন ফ্রাইলিংক (১২)।

রাজশাহীর পক্ষে মোহাম্মদ ইরফান ও কামরুল ইসলাম রাব্বি নেন দুইটি করে উইকেট। এছাড়াও রাহী, রাসেল ও নেওয়াজ নেন একটি করে উইকেট।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

রাজশাহী রয়্যালস: ১৭০/৪ (২০ ওভারে, আফিফ ৮, লিটন ২৫, শোয়েব ৯, রাসেল ২৭*, নওয়াজ ৪১*; আমির ২/৩৫, ফ্রাইলিঙ্ক ১/৩৩ ও শহিদুল ১/২৩)।

খুলনা টাইগার্স: ১৪৯/৮ (২০ ওভারে, শামসুর ৫২, রুশো ৩৭, মুশফিক ২১, ফ্রাইলিঙ্ক ১২; ইরফান ২/১৮, রাসেল ২/৩২, আবু জায়েদ ১/২৪, কামরুল ইসলাম রাব্বী ২/২৯ ও নওয়াজ ১/২৯)।

ফল: রাজশাহী রয়্যালস ২১ রানে জয়ী।

ম্যাচ সেরা: আন্দ্রে রাসেল।

প্লেয়ার অব দ্য টুর্নামেন্ট: আন্দ্রে রাসেল।

মুক্ত ক্যাম্পাসের সঙ্গে যুক্ত থাকতে এখানে ক্লিক করুন

মুক্ত ক্যাম্পাস/জেডআর

পূর্ববর্তী নিবন্ধতোমার প্রতিভা দেশের সম্পদ
পরবর্তী নিবন্ধজন্মনিবন্ধনে জালিয়াতি, বাল্যবিবাহ বন্ধ